যৌতুক মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। ইসলামি শরিয়তে যৌতুকের কোনো স্থান নেই। কন্যাপক্ষ থেকে জোর করে কোনো কিছু আদায় করা ইসলামে হারাম। বরং ইসলামে বিয়ের বিনিময়ে কন্যাকে দেনমোহর আদায় করার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা নারীদের মোহরানা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আদায় করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৪) তা ছাড়া বাংলাদ
মহানবী (সা.)-এর সময়ে আরবের প্রখ্যাত পৌত্তলিক নেতা ছিলেন আমর ইবনে হিশাম। তাঁর উপাধি ছিল আবুল হাকাম তথা প্রজ্ঞার জনক। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন এবং কোরাইশের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দক্ষতা ও উপলব্ধির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে ইসলামের প্রতি ভীষণ শত্রুতা প্রদর্শন এবং ইসলামের বাণী প্রত্যাখ
রাসুল (সা.) হুদায়বিয়া সন্ধি সম্পন্ন করার পর বিভিন্ন রাজা-বাদশাহর কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি সপ্তম হিজরিতে ছয়জন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে ইসলামের দাওয়াতসংবলিত পত্র লেখেন।
আমাদের দেশে মাঝেমধ্যেই হিল্লা বিয়ের কথা শোনা যায়। ইসলামে কি এই বিয়ে বৈধ?
বগুড়া জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মোগল আমলের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা খেরুয়া মসজিদ। প্রায় ৫৯ শতাংশ জমির বিশাল এক মাঠের পশ্চিম পাশে অবস্থিত এই মসজিদ। এর চারপাশ ঘিরে আছে তাল, নারকেল, আম ও কদমগাছের সারি। মসজিদের দেয়ালে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ সালে জওহর আলী কাকশালের পুত্র মির
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নফল নামাজ রয়েছে। কোরআন-হাদিসে সেসব নামাজের ব্যাপারে অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত ও আওয়াবিন সেসব নফল নামাজের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
সুরা আন-নাসর পবিত্র কোরআনের ১১০তম সুরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ। এর আয়াতসংখ্যা ৩। এই সুরায় মহানবী (সা.)-এর নবুয়তি মিশনের সমাপ্তির দিকের অবস্থা চিত্রিত হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) ওবায়দুল্লাহ ইবনে উতবাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সর্বশেষ নাজিলকৃত পূর্ণাঙ্গ সুরা কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘সুরা নাসর।’ (মুসলিম)
জন্মভূমির প্রতি মানুষের ভালোবাসা সহজাত। নবী-রাসুলগণও এই ভালোবাসার বাইরে ছিলেন না। তাঁরাও নিজের দেশ ও জন্মভূমিকে ভালোবেসেছেন গভীরভাবে। আমাদের মহানবী (সা.)ও দেশের প্রতি গভীর মমতা লালন করতেন। তাঁর বিভিন্ন কথা-কাজে তার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামের প্রতিটি কাজেই রয়েছে কিছু নীতিমালা ও শিষ্টাচার, যা মেনে চললে কাজ হয় সুন্দর ও পরিপাটি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পানাহার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই এখানেও রয়েছে কিছু শিষ্টাচার ও বিধিনিষেধ। এখানে পানাহারের কয়েকটি বর্জনীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
দৃষ্টি সংযত রাখা প্রত্যেক মুসলমানের নৈতিক দায়িত্ব। কোরআন-হাদিসে এ ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ নজরের হেফাজত না করার কারণে গুনাহের পথ খুলে যায়। ইসলামে যেসব বিষয়ে দৃষ্টি সংযত করতে বলা হয়েছে, তাতে অনিচ্ছাকৃত দৃষ্টি পড়ে গেলে কোনো গুনাহ নেই। তবে পরে ইচ্ছাকৃত দৃষ্টি দিলে বা বারবার দেখলে গুনাহ হব
১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয়ের দিন। এই দিনে জন্ম হয়েছিল আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল বিজয়ের সূর্য। বিজয়ের এই দিন আমাদের কাছে তাই এত গুরুত্বপূর্ণ।
আরবি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। বিশ্বের প্রায় ২৪ কোটি মানুষের মাতৃভাষা আরবি। আরবি জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষার একটি। ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর আরবিকে জাতিসংঘের ষষ্ঠ দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ১৮ ডি
আলেপ্পো শহরের অন্যতম বিখ্যাত মসজিদ হচ্ছে আল-আদিলিয়াহ মসজিদ। এটি ১৫৫৫ খ্রিষ্টাব্দে অটোমান শাসক সুলতান সোলেমানের নির্দেশে নির্মিত হয়। সুলতান সোলেমান (১৫২০-১৫৬৬), যিনি সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট নামে পরিচিত, ন্যায়বিচারের জন্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। তাঁর শাসনামলে সমতার ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করেছিলেন
বনি ইসরাইলের কাছে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী পাঠিয়েছেন। তবে তারা তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। বরং তাঁদের হত্যা, অবাধ্যতাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের বিভিন্নভাবে আজাব দেন। পবিত্র কোরআনের এক আয়াতে তাদের ৫টি আজাবের কথা এসেছে।
শাম অঞ্চল বলতে মূলত সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন, সাইপ্রাস, জর্ডান ও তুরস্কের দক্ষিণাংশকে বোঝানো হয়। সেকালে এই পুরো অঞ্চলকেই শাম বলা হতো। এ অঞ্চলে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি নবী-রাসুলের আগমন ঘটেছে। পবিত্র কোরআনে শাম শব্দটি সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও পাঁচটি আয়াতে শামের কথা এসেছে।
আরবি ফাসাদ শব্দের অর্থ কল্যাণের পরিপন্থী কাজ করা। মানুষের জন্য কল্যাণকর নয় জেনেও কোনো কাজ করলে, তা ইসলামের দৃষ্টিতে ফাসাদ বা বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি। সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ইসলামে বিশ্বাসীদের কাজ নয়।
ইসলামে পরিবারব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শুধু ব্যক্তিগত শান্তি নয়, বরং সামাজিক স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। ইসলাম পরিবারকে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করে...