
শুরুর মতো এবারের বইমেলার শেষ দিনটিও ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। গতকাল শুক্রবার তাই সকাল থেকে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। শিশুপ্রহরে বাচ্চাদের দল এসেছিল পরিবারের সঙ্গে। ক্রমে বেলা বাড়তেই বড়দের ভিড় লেগে যায়। এক বছরের জন্য বিদায় নিচ্ছে বইমেলা, তাই ভিড় ছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।

আজ সাঙ্গ হচ্ছে মাসব্যাপী বইয়ের উৎসব বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলা। বিদায়ের সুর গতকালই বেজে ওঠে। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। বিক্রি কমবেশি থাকলেও অনেক স্টলেই ছিল ঢিলেঢালা ভাব, মেলা ভাঙার হাওয়া। মেলায় নিয়মিত আসা বইপ্রেমীদের মন খারাপের শুরুও হয়ে যায় যেন কালই।

সাভারের তেঁতুলঝোড়া কলেজের শিক্ষক আতিক রহমান এক সহকর্মীকে নিয়ে এসেছিলেন কলেজের লাইব্রেরির জন্য বই কিনতে। সময় করে উঠতে পারেননি, তাই মেলার শেষ দিকে আসা। জানালেন, শিক্ষার্থীদের জন্য চিরায়ত সাহিত্য কিনেছেন।

শিশুদের সাইকোলজি আগে বুঝতে হবে—যতটা সরলীকরণ করা যায়। পরের পাতায় কী আছে, এ রকম একটা কৌতূহল রাখি। রংটা খুব উজ্জ্বল থাকে। সামাজিক সচেতনতা বাড়ায়, চিন্তার বিকাশ ঘটায়—এমন কাজ করি। চরিত্রদের এক্সপ্রেশনে ব্যাপক ফান থাকতে হবে।