বাঁশ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বালচ নদে সেতু না থাকায় দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বালচে নির্মাণ করা হয়নি একটি সেতু। ফলে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয় গ্রামবাসীকে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে বালচ নদে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে জান

দুটো বাঁশ, সামান্য নুয়ে আছে। যদিও তাদের মাঝে জোড়া লাগানোর চেষ্টা আছে, আছে সেতুবন্ধ। তবু কি আর করবে বলুন! নুয়ে থাকা ছাড়া তাদের যে আর উপায়ন্তর নেই। কারণ তাদের আগায় যে ‘পচ্চুর’ কারেন্ট!

তিতাস নদের চারপাশে পানি থইথই করছে। সেখানে দিনরাতে চলছে শত শত নৌকা। মাথার ওপর দিয়ে গেছে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন। বিদ্যুতের তার ঝুলছে বাঁশের খুঁটির ওপর। নৌকার ধাক্কা, পানির স্রোত কিংবা ঝড়-বৃষ্টিতে

বাঁশের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য জুন-আগস্ট ৩ মাস বাঁশ কাটা এবং পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বাঁশদস্যুরা তা মানছে না। এতে বিনাশ হচ্ছে চারাসহ মা বাঁশ। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার বাঁশদস্যুরা বন বিভাগ ও আইনি কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে এসব বাঁশ কাটছেন।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শাহজিবাজার, সুতরাং, সুরাবই, পুরাসুন্ধ্যা, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার দাউদনগর, বিরামচর, জগন্নাথপুর, পশ্চিমবড়চর, বছরতপুর, নুরপুর, ব্রাহ্মডুরা এলাকার গ্রামগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বাঁশ ও বেত জন্মাত। সম্প্রতি এ সকল বাঁশ ও বেতশিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে দাঁড়িয়েছে। এতে হারিয়ে যেতে বসেছ

ইছামতী আর পদ্মা নদীবিধৌত মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় এককালে ছিল বাঁশ আর বেতের বন। সে বাঁশ আর বেতকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় গড়ে উঠেছিল বাঁশ-বেতশিল্প। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ এলাকার ঋষিপাড়ার মানুষেরা সে শিল্পকে কেন্দ্র করে...

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তারাপুর ইউনিয়নে বুড়াইল নদীতে ভেঙে পড়া নড়বড়ে সেই বাঁশের সাঁকো পুনরায় নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর) ও ২৯ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ

বাঁশের পণ্য তৈরি বাঙালির পুরোনো ঐতিহ্য। কিন্তু দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁশের পণ্য তৈরি। বাঁশ তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরেরা।

লবণাক্ত মাটি ছাড়া সব ধরনের মাটিতে নতুন প্রজাতির এই তিন ধরনের বাঁশ উৎপাদন করা যাবে। জুন থেকে আগস্ট মাসে এই বাঁশ রোপণ করতে হবে। এরপর শুষ্ক মৌসুমে মাটিতে আর্দ্রতার জন্য সামান্য পানি দিতে হবে। তবে বর্ষার মৌসুমে পানি সেচ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

জানা যায়, একসময় গ্রামের গৃহস্থালির কাজে বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবের ব্যাপক ব্যবহার থাকলেও বর্তমানে এর ব্যবহার একেবারেই কমে গেছে। এ জন্য বাজারে বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবের চাহিদা তেমন নেই

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পুলহাট বাজার। পথের ধারে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ডে লেখা বাঁশের চারা উৎপাদনকারী নার্সারির নাম।