অনলাইন ডেস্ক
চীনের একটা চিড়িয়াখানার এক সূর্য ভালুককে নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একটি ভিডিওতে এটিকে দেখে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন এটি আসলে ভালুকের ছদ্মবেশে থাকা কোনো মানুষ। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রাণী বিশেষজ্ঞরা এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এটি সূর্য ভালুকই।
ভালুকটির মানুষের মতো দুই পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই মূলত একে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ওটার শরীরের পেছনের অংশের ঝুলে থাকা চামড়া আর ছোট ছোট থলথলে পা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে অন্য কোণ থেকে ধারণ করা অপর একটি ভিডিও ঘটনাটি আরেকভাবে দেখতে সাহায্য করেছে।
চীনের যে চিড়িয়াখানায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি অর্থাৎ হাংঝও জু কর্তৃপক্ষ দ্রুতই এর জবাব দিয়েছে। তাঁর চার বছরের মালয়ী সূর্য ভালুক অ্যাঞ্জেলার হয়ে লিখেছে, ‘মনে হচ্ছে তোমরা আমাকে ভালোভাবে বুঝতে পারোনি।’ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এটাও নিশ্চিত করেছে, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি চিড়িয়াখানায় এমন ছলচাতুরির সুযোগ নেই।
অবশ্য প্রাণী বিশেষজ্ঞরাও বিষয়টা খোলাসা করেছেন। যুক্তরাজ্যের চেষ্টার জুর বিশেষজ্ঞ ড. অ্যাশলেইঘ মার্শাল যেমন বিবিসিকে বলেন, এই প্রাণী নিঃসন্দেহে একটি ভালুক।
তিনি ওটার পেছনের চামড়া ভাঁজ বা ঝুলে থাকা অংশটি, যেটিকে মানুষ ভেবেছিল আলগা পোশাক, সেটিরও ব্যাখ্যা দেন। এই নারী গবেষক জানান, এ ঢিলেঢালা চামড়া অন্য শিকারি প্রাণীর কবল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পেছন থেকে কোনো শিকারি প্রাণী আঁকড়ে ধরলে যেন চামড়ার মধ্যে থেকেই চটজলদি ঘুরেতে এবং লড়াই করতে পারে—এ জন্য এদের চামড়া এমন।
মজার ঘটনা, ভিডিওটা এতটাই আলোড়ন তোলে যে চিড়িয়াখানাটিতে দর্শনার্থী আসা ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
এমনই এক দর্শনার্থী মি. ইউ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইন্টারনেটে ভালুকটিকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমি চেয়েছিলাম বাস্তবে এটা কেমন তা দেখতে।’
কিয়াং মিং নামের অপের একজন পর্যটক স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে জানান, ১৫০ মাইল দূরের শহর সুজও থেকে ট্রেনে চেপে এসেছেন কেবল ভালুকটিকে একনজর দেখতে। ‘রাতে ভ্রমণ করে এখানে এসেছি আমরা।’ বলেন তিনি।
তবে হাংঝও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ভালুকটির এমন আচরণের কারণ ব্যাখ্যা করে দ্রুতই জানায়, ভালুকের কথা চিন্তা করলে প্রথম যে বিষয়টি আমাদের মনে হয় সেটি হলো বিশাল আকার ও প্রচণ্ড শক্তির একটা কিছু। তবে সব ভালুকই বিশাল আকারের এবং বিপজ্জনক নয়।
চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র ভালুকটি আসলে ছদ্মবেশে একজন মানুষ—এমন গুজব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘গরমের সময় কেউ এমন মোটা চামড়ার কোনো পোশাক পরে কয়েক মিনিটের বেশি এভাবে থাকতে পারবে না। তাকে বসে বা শুয়ে পড়তে হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটি সরকারনিয়ন্ত্রিত একটি চিড়িয়াখানা। এখানে কখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।’
উল্লেখ্য, গ্রীষ্মে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়।
তবে অ্যাঞ্জেলা যে গোটা বিশ্বের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। তার ভিডিও অনলাইনে দেখা হয়েছে ৩ কোটি বারের বেশি।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দালু নামের একটি ভালুকের সঙ্গে তার ‘ডেট’ চলছে। তবে অ্যাঞ্জেলা তড়িঘড়ি না করে একটু আস্তে-ধীরে বিষয়টি এগোক সেটাই চাইছে। ভালুকদের খাবার খাওয়ানো থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
সূর্য ভালুকের চেহারার কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন ছোট, মসৃণ কালো একটি চামড়া, বুকে ফ্যাকাশে হলুদ একটি অর্ধচন্দ্রাকার চিহ্ন। মুখটা একটু হালকা রঙের। মূলত বুকের ওই চিহ্নের কারণে এরা সূর্য ভালুক নামে পরিচিত। আবার মধু পছন্দ করায় হানি বিয়ার নামেও এদের চেনেন কেউ কেউ।
লোম ছাড়া তালুসহ বড় থাবা এদের পায়ের কাজই করে, তবে একই সঙ্গে এটা এদের গাছ বাইতে সহায়তা করে। এই ভালুকেরা মোটামুটি বড়সড় একটা কুকুরের সমান। পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়ালে ৪ ফুট ৩ ইঞ্চির মতো উচ্চতা হয়। অনেকেরই জানা নেই বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো কোনো অরণ্যে এখনো অল্প সংখ্যায় হলেও টিকে আছে সূর্য ভালুক।
চিড়িয়াখানার দেওয়া তথ্য বলছে, গ্রিজলিসহ কোনো কোনো জাতের ভালুক সূর্য ভালুকের দ্বিগুণ হয় লম্বায়। ভালুকের প্রজাতিগুলোর মধ্যে এরা সবচেয়ে ছোট। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জঙ্গলে এদের বসবাস।
এভাবে নকল পোশাক পরে ভালুক সাজার ঘটনা আগে ঘটেনি, তবে ২০১৯ সালে চীনের চাংজিয়াওয়ের ইয়ানচেং ওয়াইল্ড অ্যানিমেল ওয়ার্ল্ডের দুজন চিড়িয়াখানা কর্মচারীকে গরিলার পোশাক পরে লাফাতে দেখা যায়। তবে অভিযোগ আসার পর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, এপ্রিল ফুলে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য এটা করা হয়েছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
চীনের একটা চিড়িয়াখানার এক সূর্য ভালুককে নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একটি ভিডিওতে এটিকে দেখে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন এটি আসলে ভালুকের ছদ্মবেশে থাকা কোনো মানুষ। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রাণী বিশেষজ্ঞরা এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এটি সূর্য ভালুকই।
ভালুকটির মানুষের মতো দুই পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই মূলত একে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ওটার শরীরের পেছনের অংশের ঝুলে থাকা চামড়া আর ছোট ছোট থলথলে পা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে অন্য কোণ থেকে ধারণ করা অপর একটি ভিডিও ঘটনাটি আরেকভাবে দেখতে সাহায্য করেছে।
চীনের যে চিড়িয়াখানায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি অর্থাৎ হাংঝও জু কর্তৃপক্ষ দ্রুতই এর জবাব দিয়েছে। তাঁর চার বছরের মালয়ী সূর্য ভালুক অ্যাঞ্জেলার হয়ে লিখেছে, ‘মনে হচ্ছে তোমরা আমাকে ভালোভাবে বুঝতে পারোনি।’ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এটাও নিশ্চিত করেছে, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি চিড়িয়াখানায় এমন ছলচাতুরির সুযোগ নেই।
অবশ্য প্রাণী বিশেষজ্ঞরাও বিষয়টা খোলাসা করেছেন। যুক্তরাজ্যের চেষ্টার জুর বিশেষজ্ঞ ড. অ্যাশলেইঘ মার্শাল যেমন বিবিসিকে বলেন, এই প্রাণী নিঃসন্দেহে একটি ভালুক।
তিনি ওটার পেছনের চামড়া ভাঁজ বা ঝুলে থাকা অংশটি, যেটিকে মানুষ ভেবেছিল আলগা পোশাক, সেটিরও ব্যাখ্যা দেন। এই নারী গবেষক জানান, এ ঢিলেঢালা চামড়া অন্য শিকারি প্রাণীর কবল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পেছন থেকে কোনো শিকারি প্রাণী আঁকড়ে ধরলে যেন চামড়ার মধ্যে থেকেই চটজলদি ঘুরেতে এবং লড়াই করতে পারে—এ জন্য এদের চামড়া এমন।
মজার ঘটনা, ভিডিওটা এতটাই আলোড়ন তোলে যে চিড়িয়াখানাটিতে দর্শনার্থী আসা ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
এমনই এক দর্শনার্থী মি. ইউ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইন্টারনেটে ভালুকটিকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমি চেয়েছিলাম বাস্তবে এটা কেমন তা দেখতে।’
কিয়াং মিং নামের অপের একজন পর্যটক স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে জানান, ১৫০ মাইল দূরের শহর সুজও থেকে ট্রেনে চেপে এসেছেন কেবল ভালুকটিকে একনজর দেখতে। ‘রাতে ভ্রমণ করে এখানে এসেছি আমরা।’ বলেন তিনি।
তবে হাংঝও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ভালুকটির এমন আচরণের কারণ ব্যাখ্যা করে দ্রুতই জানায়, ভালুকের কথা চিন্তা করলে প্রথম যে বিষয়টি আমাদের মনে হয় সেটি হলো বিশাল আকার ও প্রচণ্ড শক্তির একটা কিছু। তবে সব ভালুকই বিশাল আকারের এবং বিপজ্জনক নয়।
চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র ভালুকটি আসলে ছদ্মবেশে একজন মানুষ—এমন গুজব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘গরমের সময় কেউ এমন মোটা চামড়ার কোনো পোশাক পরে কয়েক মিনিটের বেশি এভাবে থাকতে পারবে না। তাকে বসে বা শুয়ে পড়তে হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটি সরকারনিয়ন্ত্রিত একটি চিড়িয়াখানা। এখানে কখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।’
উল্লেখ্য, গ্রীষ্মে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়।
তবে অ্যাঞ্জেলা যে গোটা বিশ্বের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। তার ভিডিও অনলাইনে দেখা হয়েছে ৩ কোটি বারের বেশি।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দালু নামের একটি ভালুকের সঙ্গে তার ‘ডেট’ চলছে। তবে অ্যাঞ্জেলা তড়িঘড়ি না করে একটু আস্তে-ধীরে বিষয়টি এগোক সেটাই চাইছে। ভালুকদের খাবার খাওয়ানো থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
সূর্য ভালুকের চেহারার কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন ছোট, মসৃণ কালো একটি চামড়া, বুকে ফ্যাকাশে হলুদ একটি অর্ধচন্দ্রাকার চিহ্ন। মুখটা একটু হালকা রঙের। মূলত বুকের ওই চিহ্নের কারণে এরা সূর্য ভালুক নামে পরিচিত। আবার মধু পছন্দ করায় হানি বিয়ার নামেও এদের চেনেন কেউ কেউ।
লোম ছাড়া তালুসহ বড় থাবা এদের পায়ের কাজই করে, তবে একই সঙ্গে এটা এদের গাছ বাইতে সহায়তা করে। এই ভালুকেরা মোটামুটি বড়সড় একটা কুকুরের সমান। পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়ালে ৪ ফুট ৩ ইঞ্চির মতো উচ্চতা হয়। অনেকেরই জানা নেই বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো কোনো অরণ্যে এখনো অল্প সংখ্যায় হলেও টিকে আছে সূর্য ভালুক।
চিড়িয়াখানার দেওয়া তথ্য বলছে, গ্রিজলিসহ কোনো কোনো জাতের ভালুক সূর্য ভালুকের দ্বিগুণ হয় লম্বায়। ভালুকের প্রজাতিগুলোর মধ্যে এরা সবচেয়ে ছোট। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জঙ্গলে এদের বসবাস।
এভাবে নকল পোশাক পরে ভালুক সাজার ঘটনা আগে ঘটেনি, তবে ২০১৯ সালে চীনের চাংজিয়াওয়ের ইয়ানচেং ওয়াইল্ড অ্যানিমেল ওয়ার্ল্ডের দুজন চিড়িয়াখানা কর্মচারীকে গরিলার পোশাক পরে লাফাতে দেখা যায়। তবে অভিযোগ আসার পর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, এপ্রিল ফুলে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য এটা করা হয়েছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৮ দিন আগে