জাহীদ রেজা নূর
কৌতুকগুলো সোভিয়েত আমলের। একটায় শুধু ব্রেঝনেভের জায়গায় পুতিনের নাম বসিয়ে নিয়েছি। রুশ জনগণ খুবই কৌতুকপ্রিয়। সোভিয়েত আমলেও নিজেদের নিয়ে এমন সব কৌতুক করত, যাতে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যেত। হঠাৎ মনে হলো, কমিউনিজম আর কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ে যে রসিকতাগুলো ছিল, সেগুলো একটু শুনলে ক্ষতি কী?
বলে রাখা ভালো, এগুলো নিতান্তই রসিকতা। রাশিয়ায় এখনো অনেক মানুষ আছে, যারা কমিউনিজমের স্বপ্ন এখনো দেখেন। সুতরাং এই কৌতুকগুলোর অর্থ এমন নয় যে, গোটা রাশিয়াই কমিউনিজমের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গেছে।
বাদ দিন এই আলোচনা। একটু কৌতুকগুলো শুনে নিই।
১.
-পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট রসিকতা কী?
-কমিউনিজম।
২.
শিক্ষক বক্তৃতা করতে গিয়ে বলছেন, ‘কমিউনিজম এরই মধ্যে দিগন্তে এসে পৌঁছেছে।’
ছাত্র: দিগন্ত কাকে বলে, স্যার?
শিক্ষক: এটা একটা কল্পিত লেখা, যেখানে আকাশ আর মাটি একাকার হয়ে যায়। আমরা যতই দিগন্তের কাছে আসার চেষ্টা করি, ততই তা দূরে সরে যায়।
৩.
-পুঁটি মাছ কাকে বলে?
-পুঁটি মাছ হলো বহু দূর থেকে কমিউনিজমের দিকে সাঁতরে আসা এক বিশাল রুই মাছ।
৪.
-কবে কমিউনিজম আসবে?
-এ ব্যাপারে পার্টির রুদ্ধদ্বার কক্ষে সিদ্ধান্ত হবে।
৫.
-দাদি, লেনিন কি ভালো মানুষ ছিল?
-হ্যাঁ, ভালো মানুষ ছিল।
-দাদি, স্তালিন কি খারাপ মানুষ ছিল?
-হ্যাঁ, খারাপ মানুষ ছিল।
-আর পুতিন কি ভালো মানুষ?
-আগে মরুক, তারপর জানব খারাপ না ভালো।
৬.
সোভিয়েত ইউনিয়নে থাকতে হলে যে ছয়টি কথা সব সময় মনে রাখতে হবে:
ক. ভাববে না।
খ. ভাবলেও তা বলবে না।
গ. বললেও তা লিখবে না।
ঘ. লিখলেও তা ছাপাবে না।
ঙ. ছাপালেও তাতে নিজের নাম স্বাক্ষর করবে না।
চ. সাক্ষর দিলে সঙ্গে সঙ্গে বলো, এটা তোমার সাক্ষর নয়, কেউ জাল করেছে।
৭.
টেলিভিশনের প্রথম চ্যানেলে দেখা গেল ব্রেজনেভ বক্তৃতা করছেন। ঘুরিয়ে দ্বিতীয় চ্যানেলে দেখা গেল, ব্রেঝনেভ এখানেও। তৃতীয় চ্যানেলেও একই দৃশ্য—ব্রেঝনেভের বক্তৃতা। চতুর্থ চ্যানেলে দেখা গেল, পুলিশের লোক চোখ বড় বড় করে বসে আছে এবং রিমোট হাতে টিভি দর্শকের দিকে তাকিয়ে বলছে, ‘আর একবার চ্যানেল বদল করলে তোকেই বদল করে দেব শয়তান!’
৮.
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউ থেকে রুশ টেলি সাংবাদিক সরাসরি প্রতিবেদনে—আমি এখন ম্যানহাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউতে। এই যে সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একজন, তাঁকে আমি কিছু জিজ্ঞেস করব। ‘হোয়াটস ইয়োর নেইম?’
-মাই নেইম ইজ জন।
রিপোর্টার অনুবাদ করছেন, ‘তিনি বললেন, তাঁর নাম জন এবং তিনি পাঁচ দিন কিছু খাননি।’
৯.
-দর্শন মানে কী?
-কালো বেড়ালকে কালো ঘরে খুঁজে পাওয়ার নাম দর্শন।
-আর মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট দর্শন?
-এটা হলো কালো ঘরটায় বিড়াল নেই, কিন্তু যারা খুঁজতে এসেছে, তারা চিৎকার করে বলছে, ‘ধরেছি ধরেছি, বিড়ালটা ধরেছি!’
১০.
জরিপ চলছে।
-আপনি কেমন আছেন?
-ভালো।
-আপনি কী কী পড়েন?
-আমি পত্রিকা আর ম্যাগাজিন পড়ি। এগুলো পড়েই তো জানতে পারি যে, ভালো আছি।
১১.
এক ছোকরার সঙ্গে দেখা হয়েছে ব্রেঝনেভের।
-কেমন আছিস, তুই? কী সুন্দর সাইকেল তোর!
-আমাদের সবকিছুই এখন সুন্দর। আমার সাইকেল, আমাদের গাড়ি, আমাদের ফ্ল্যাট, আমাদের বাগানবাড়ি!
-খুব ভালো। আমি নিজে আর পার্টি মিলে এগুলো দিয়েছি তোর বাবাকে। এবার বুঝতে পারছিস, আমি কে?
ছেলেটা চিৎকার করে বাবাকে ডাকল, ‘বাবা, বাবা, আমেরিকা থেকে আন্তন কাকু এসেছে!’
আরও পড়ুন
কৌতুকগুলো সোভিয়েত আমলের। একটায় শুধু ব্রেঝনেভের জায়গায় পুতিনের নাম বসিয়ে নিয়েছি। রুশ জনগণ খুবই কৌতুকপ্রিয়। সোভিয়েত আমলেও নিজেদের নিয়ে এমন সব কৌতুক করত, যাতে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যেত। হঠাৎ মনে হলো, কমিউনিজম আর কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ে যে রসিকতাগুলো ছিল, সেগুলো একটু শুনলে ক্ষতি কী?
বলে রাখা ভালো, এগুলো নিতান্তই রসিকতা। রাশিয়ায় এখনো অনেক মানুষ আছে, যারা কমিউনিজমের স্বপ্ন এখনো দেখেন। সুতরাং এই কৌতুকগুলোর অর্থ এমন নয় যে, গোটা রাশিয়াই কমিউনিজমের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গেছে।
বাদ দিন এই আলোচনা। একটু কৌতুকগুলো শুনে নিই।
১.
-পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট রসিকতা কী?
-কমিউনিজম।
২.
শিক্ষক বক্তৃতা করতে গিয়ে বলছেন, ‘কমিউনিজম এরই মধ্যে দিগন্তে এসে পৌঁছেছে।’
ছাত্র: দিগন্ত কাকে বলে, স্যার?
শিক্ষক: এটা একটা কল্পিত লেখা, যেখানে আকাশ আর মাটি একাকার হয়ে যায়। আমরা যতই দিগন্তের কাছে আসার চেষ্টা করি, ততই তা দূরে সরে যায়।
৩.
-পুঁটি মাছ কাকে বলে?
-পুঁটি মাছ হলো বহু দূর থেকে কমিউনিজমের দিকে সাঁতরে আসা এক বিশাল রুই মাছ।
৪.
-কবে কমিউনিজম আসবে?
-এ ব্যাপারে পার্টির রুদ্ধদ্বার কক্ষে সিদ্ধান্ত হবে।
৫.
-দাদি, লেনিন কি ভালো মানুষ ছিল?
-হ্যাঁ, ভালো মানুষ ছিল।
-দাদি, স্তালিন কি খারাপ মানুষ ছিল?
-হ্যাঁ, খারাপ মানুষ ছিল।
-আর পুতিন কি ভালো মানুষ?
-আগে মরুক, তারপর জানব খারাপ না ভালো।
৬.
সোভিয়েত ইউনিয়নে থাকতে হলে যে ছয়টি কথা সব সময় মনে রাখতে হবে:
ক. ভাববে না।
খ. ভাবলেও তা বলবে না।
গ. বললেও তা লিখবে না।
ঘ. লিখলেও তা ছাপাবে না।
ঙ. ছাপালেও তাতে নিজের নাম স্বাক্ষর করবে না।
চ. সাক্ষর দিলে সঙ্গে সঙ্গে বলো, এটা তোমার সাক্ষর নয়, কেউ জাল করেছে।
৭.
টেলিভিশনের প্রথম চ্যানেলে দেখা গেল ব্রেজনেভ বক্তৃতা করছেন। ঘুরিয়ে দ্বিতীয় চ্যানেলে দেখা গেল, ব্রেঝনেভ এখানেও। তৃতীয় চ্যানেলেও একই দৃশ্য—ব্রেঝনেভের বক্তৃতা। চতুর্থ চ্যানেলে দেখা গেল, পুলিশের লোক চোখ বড় বড় করে বসে আছে এবং রিমোট হাতে টিভি দর্শকের দিকে তাকিয়ে বলছে, ‘আর একবার চ্যানেল বদল করলে তোকেই বদল করে দেব শয়তান!’
৮.
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউ থেকে রুশ টেলি সাংবাদিক সরাসরি প্রতিবেদনে—আমি এখন ম্যানহাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউতে। এই যে সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একজন, তাঁকে আমি কিছু জিজ্ঞেস করব। ‘হোয়াটস ইয়োর নেইম?’
-মাই নেইম ইজ জন।
রিপোর্টার অনুবাদ করছেন, ‘তিনি বললেন, তাঁর নাম জন এবং তিনি পাঁচ দিন কিছু খাননি।’
৯.
-দর্শন মানে কী?
-কালো বেড়ালকে কালো ঘরে খুঁজে পাওয়ার নাম দর্শন।
-আর মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট দর্শন?
-এটা হলো কালো ঘরটায় বিড়াল নেই, কিন্তু যারা খুঁজতে এসেছে, তারা চিৎকার করে বলছে, ‘ধরেছি ধরেছি, বিড়ালটা ধরেছি!’
১০.
জরিপ চলছে।
-আপনি কেমন আছেন?
-ভালো।
-আপনি কী কী পড়েন?
-আমি পত্রিকা আর ম্যাগাজিন পড়ি। এগুলো পড়েই তো জানতে পারি যে, ভালো আছি।
১১.
এক ছোকরার সঙ্গে দেখা হয়েছে ব্রেঝনেভের।
-কেমন আছিস, তুই? কী সুন্দর সাইকেল তোর!
-আমাদের সবকিছুই এখন সুন্দর। আমার সাইকেল, আমাদের গাড়ি, আমাদের ফ্ল্যাট, আমাদের বাগানবাড়ি!
-খুব ভালো। আমি নিজে আর পার্টি মিলে এগুলো দিয়েছি তোর বাবাকে। এবার বুঝতে পারছিস, আমি কে?
ছেলেটা চিৎকার করে বাবাকে ডাকল, ‘বাবা, বাবা, আমেরিকা থেকে আন্তন কাকু এসেছে!’
আরও পড়ুন
আজ ৩১ অক্টোবর। হ্যালোইন উৎসবের দিন। মৃত আত্মাদের স্মরণে দিনটি পালন করা হলেও এখন ভয়ংকর সব পোশাকে বা ভূতের মতো সাজাটা এই উৎসবের মূল অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছ। আর এই দিনে আমরা পরিচিত হবে বিশ্বের ভুতুড়ে পাঁচটি জায়গার সঙ্গে।
৫ মিনিট আগেউড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগে