অনলাইন ডেস্ক
গত বছর একটি রাতের অনুষ্ঠানে এক ভ্লগারের ক্যামেরায় অপ্রত্যাশিত এবং অশালীন মন্তব্য করে রাতারাতি ভাইরাল হন হেইলি ওয়েলচ। দ্রুতই ‘হক তুয়াহ’ নামে খ্যাতি পান তিনি।
সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, নিজের নামে চালু করা বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে তাঁরই অনেক ভক্ত ফতুর হয়েছিলেন। এই ভক্তদের মধ্যে এমন একজন ছিলেন যিনি জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে হেইলির ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছিলেন। সেই যুবকই পরে তাঁর প্রেমিক হয়েছেন!
ওই রাতে ‘কী কারণে একজন পুরুষ বিছানায় পাগল হয়ে যায়?’ —এমন একটি প্রশ্নের জবাবে হেইলি একটি অসংলগ্ন মন্তব্য করেছিলেন। মূলত ওই মন্তব্যের কারণেই তিনি রাতারাতি ‘হক তুয়াহ গার্ল’ নামে পরিচিতি পান। এই অপ্রত্যাশিত খ্যাতির সুযোগ নিয়ে হেইলি পরবর্তীতে $Hawk নামে একটি মিমকয়েন (ক্রিপ্টোকারেন্সি) চালু করেন।
তবে, শিগগিরই তাঁর এই উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে। ক্রিপ্টো টাইমস–এর তথ্য মতে, চালু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই $Hawk–এর বাজারমূল্য প্রায় ৪৯০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। কিন্তু দ্রুতই তা ৯০ শতাংশের বেশি দাম হারায়। মাত্র ৪১ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে মিমকয়েকনটির বাজারমূল্য।
এই আকস্মিক পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন। অনেকেই অভিযোগ করেন, হেইলি এবং তাঁর সহযোগীরা ‘রাগ পুল’ (কারসাজি করে দাম বাড়ানো) করেছেন। ক্রিপ্টোকারেন্সির নির্মাতারা যখন সুযোগ বুঝে তাঁদের শেয়ার বিক্রি করে দেন, ফলে দাম দ্রুত কমে যায় এবং বিনিয়োগকারীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখতে পান, তাঁদের হাত থাকা কয়েন প্রায় মূল্যহীন হয়ে পড়েছে—এটিকেই বলে ‘রাগ পুল’। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনেকেই হেইলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন।
তবে, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ‘টক তুয়াহ’ পডকাস্টের একটি পর্বে ফেইজ ক্ল্যান (ই–স্পোর্টস ও বিনোদন সংস্থা)–এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যাংকসের সঙ্গে কথোপকথনে হেইলি জানান, তাঁর প্রেমিক, পুকি (ওরফে কেলবি ব্ল্যাকওয়েল) নিজেও এই কেলেঙ্কারির শিকার হয়েছেন।
হেইলি বলেন, ‘পুকিও টাকা হারিয়েছে। সে আমাকে বলেছিল, তুমি কীভাবে আমার টাকা নিতে পারলে? সে এখনো আমাকে খোঁচা দেয়, বলে, ইশ! যদি আমার ৩০০ ডলার ফেরত পেতাম!’
আলোচনার একপর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন হেইলি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার সব সত্যিকারের ভক্ত এবং যারা আমার কাজ দেখেন ও আমার সঙ্গে থাকেন তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা সবকিছু ঠিক করার এবং এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। ওহ মাই গড, আমি কেঁদে ফেলব!’
ব্যাংকস তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
হেইলি আরও বলেন, ‘আসলে, এই আইডিয়াটা আমাকে দেওয়া হয়েছিল এমনভাবে, যেন এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি কয়েন হবে। আর যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্টটি চালাচ্ছিল, সে বলেছিল, আমরা ক্রিপ্টো সম্পর্কে সবার ধারণা বদলে দেব। ক্রিপ্টো (বিনিয়োগের) একটা ভালো জায়গা হবে। যারা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। এটা আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। আর এই এপিসোড থেকে যত টাকা আসবে, তা এখানকার অগ্নিকাণ্ডে (লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল) ক্ষতিগ্রস্ত পশুদের দান করা হবে।’
এই পর্বটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাংকস সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘হেইলি ওয়েলচের ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারির পেছনের গল্প শোনার চেষ্টা হিসেবে আমি তাঁর প্রথম পডকাস্টে অংশ নিতে রাজি হয়েছিলাম। আমার কিছু কঠিন শর্ত ছিল, যার মধ্যে অন্যতম হলো, কোনো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই এপিসোডের অস্তিত্ব ফাঁস করে বাজারকে প্রভাবিত করার অনুমতি দেওয়া হবে না। তার টিমকে অবশ্যই তার উপার্জিত অর্থ এবং $HAWK প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি এবং আমাদের বলা হয়েছে যে, আমরা স্পষ্টভাবে অনুমতি দিলেই কেবল এই এপিসোডটি আলোর মুখ দেখবে।’
হেইলি ওয়েলচের এই স্বীকারোক্তি এবং ব্যাংকসের বক্তব্য ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। বিনিয়োগকারীদের অর্থ হারানোর ঘটনা এবং নির্মাতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে, হঠাৎ করে একজনের তারকা বনে যাওয়া এবং তাঁর বিতর্কিত পদক্ষেপগুলোও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা এখন তাদের অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য আইনি পদক্ষেপের চিন্তা করছেন।’
গত বছর একটি রাতের অনুষ্ঠানে এক ভ্লগারের ক্যামেরায় অপ্রত্যাশিত এবং অশালীন মন্তব্য করে রাতারাতি ভাইরাল হন হেইলি ওয়েলচ। দ্রুতই ‘হক তুয়াহ’ নামে খ্যাতি পান তিনি।
সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, নিজের নামে চালু করা বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে তাঁরই অনেক ভক্ত ফতুর হয়েছিলেন। এই ভক্তদের মধ্যে এমন একজন ছিলেন যিনি জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে হেইলির ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছিলেন। সেই যুবকই পরে তাঁর প্রেমিক হয়েছেন!
ওই রাতে ‘কী কারণে একজন পুরুষ বিছানায় পাগল হয়ে যায়?’ —এমন একটি প্রশ্নের জবাবে হেইলি একটি অসংলগ্ন মন্তব্য করেছিলেন। মূলত ওই মন্তব্যের কারণেই তিনি রাতারাতি ‘হক তুয়াহ গার্ল’ নামে পরিচিতি পান। এই অপ্রত্যাশিত খ্যাতির সুযোগ নিয়ে হেইলি পরবর্তীতে $Hawk নামে একটি মিমকয়েন (ক্রিপ্টোকারেন্সি) চালু করেন।
তবে, শিগগিরই তাঁর এই উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে। ক্রিপ্টো টাইমস–এর তথ্য মতে, চালু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই $Hawk–এর বাজারমূল্য প্রায় ৪৯০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। কিন্তু দ্রুতই তা ৯০ শতাংশের বেশি দাম হারায়। মাত্র ৪১ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে মিমকয়েকনটির বাজারমূল্য।
এই আকস্মিক পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন। অনেকেই অভিযোগ করেন, হেইলি এবং তাঁর সহযোগীরা ‘রাগ পুল’ (কারসাজি করে দাম বাড়ানো) করেছেন। ক্রিপ্টোকারেন্সির নির্মাতারা যখন সুযোগ বুঝে তাঁদের শেয়ার বিক্রি করে দেন, ফলে দাম দ্রুত কমে যায় এবং বিনিয়োগকারীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখতে পান, তাঁদের হাত থাকা কয়েন প্রায় মূল্যহীন হয়ে পড়েছে—এটিকেই বলে ‘রাগ পুল’। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনেকেই হেইলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন।
তবে, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ‘টক তুয়াহ’ পডকাস্টের একটি পর্বে ফেইজ ক্ল্যান (ই–স্পোর্টস ও বিনোদন সংস্থা)–এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যাংকসের সঙ্গে কথোপকথনে হেইলি জানান, তাঁর প্রেমিক, পুকি (ওরফে কেলবি ব্ল্যাকওয়েল) নিজেও এই কেলেঙ্কারির শিকার হয়েছেন।
হেইলি বলেন, ‘পুকিও টাকা হারিয়েছে। সে আমাকে বলেছিল, তুমি কীভাবে আমার টাকা নিতে পারলে? সে এখনো আমাকে খোঁচা দেয়, বলে, ইশ! যদি আমার ৩০০ ডলার ফেরত পেতাম!’
আলোচনার একপর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন হেইলি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার সব সত্যিকারের ভক্ত এবং যারা আমার কাজ দেখেন ও আমার সঙ্গে থাকেন তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা সবকিছু ঠিক করার এবং এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। ওহ মাই গড, আমি কেঁদে ফেলব!’
ব্যাংকস তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
হেইলি আরও বলেন, ‘আসলে, এই আইডিয়াটা আমাকে দেওয়া হয়েছিল এমনভাবে, যেন এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি কয়েন হবে। আর যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্টটি চালাচ্ছিল, সে বলেছিল, আমরা ক্রিপ্টো সম্পর্কে সবার ধারণা বদলে দেব। ক্রিপ্টো (বিনিয়োগের) একটা ভালো জায়গা হবে। যারা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। এটা আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। আর এই এপিসোড থেকে যত টাকা আসবে, তা এখানকার অগ্নিকাণ্ডে (লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল) ক্ষতিগ্রস্ত পশুদের দান করা হবে।’
এই পর্বটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাংকস সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘হেইলি ওয়েলচের ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারির পেছনের গল্প শোনার চেষ্টা হিসেবে আমি তাঁর প্রথম পডকাস্টে অংশ নিতে রাজি হয়েছিলাম। আমার কিছু কঠিন শর্ত ছিল, যার মধ্যে অন্যতম হলো, কোনো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই এপিসোডের অস্তিত্ব ফাঁস করে বাজারকে প্রভাবিত করার অনুমতি দেওয়া হবে না। তার টিমকে অবশ্যই তার উপার্জিত অর্থ এবং $HAWK প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি এবং আমাদের বলা হয়েছে যে, আমরা স্পষ্টভাবে অনুমতি দিলেই কেবল এই এপিসোডটি আলোর মুখ দেখবে।’
হেইলি ওয়েলচের এই স্বীকারোক্তি এবং ব্যাংকসের বক্তব্য ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। বিনিয়োগকারীদের অর্থ হারানোর ঘটনা এবং নির্মাতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে, হঠাৎ করে একজনের তারকা বনে যাওয়া এবং তাঁর বিতর্কিত পদক্ষেপগুলোও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা এখন তাদের অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য আইনি পদক্ষেপের চিন্তা করছেন।’
সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে পাচার হচ্ছে বড় আকারের লাখ লাখ পিঁপড়া। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোতে এসব পিঁপড়া পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ কেনিয়া থেকে সম্প্রতি হাজার হাজার জীবন্ত পিঁপড়া পাচারকালে ৪ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
২ দিন আগেরাজনীতি তো বটেই, একের পর এক উদ্ভট কথা আর কাণ্ডের জন্যও আলোচনায় থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবার (২ এপ্রিল) বিশ্বজুড়ে শতাধিক দেশের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। এরপর থেকেই এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা গুরুগম্ভীর আলোচনা, বিশ্লেষণ চলছে। আবার সামাজিক মাধ্যমে চলছে
১৪ দিন আগেচলচ্চিত্রের প্রতি উন্মাদনা যুগ যুগ ধরে। প্রিয় নায়কের, পছন্দের চলচ্চিত্রের পোস্টার ও কার্ড সংগ্রহে রাখার বাতিক অনেকেরই। এমনই একজন সংগ্রাহক যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল এস্টেট এজেন্ট ডুইট ক্লিভল্যান্ড। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে জমিয়েছেন চলচ্চিত্রের পোস্টার ও লবি কার্ড। এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর সংগ্র
১৬ মার্চ ২০২৫অনেক ব্যস্ত মানুষের জন্য বিছানায় শুয়ে ১০ দিন নেটফ্লিক্স দেখার ধারণাটি খুবই আকর্ষণীয় হতে পারে। তবে, এখন শুয়ে থেকেই ৪ হাজার ১০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৪ টাকা) উপার্জন করা সম্ভব। এ জন্য একটি গবেষণায় জন্য অংশগ্রহণকারী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
১৬ মার্চ ২০২৫