Ajker Patrika

টাইটানিকের ৭০০ যাত্রীকে বাঁচানো ক্যাপ্টেনের সোনার ঘড়ি ১৫ লাখ পাউন্ডে বিক্রি

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ৩৬
১৮ ক্যারেট স্বর্ণের পকেট ঘড়িটি ক্যাপ্টেন আর্থার রোস্টরনকেকে উপহার দিয়েছিলেন তিন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর বিধবা স্ত্রীরা। ছবি: হেনরি অলড্রিজ অ্যান্ড সন
১৮ ক্যারেট স্বর্ণের পকেট ঘড়িটি ক্যাপ্টেন আর্থার রোস্টরনকেকে উপহার দিয়েছিলেন তিন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর বিধবা স্ত্রীরা। ছবি: হেনরি অলড্রিজ অ্যান্ড সন

টাইটানিকের সাত শতাধিক যাত্রী ও ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড, অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।

১৮ ক্যারেট স্বর্ণের টিফানি অ্যান্ড কো.-এর পকেট ঘড়িটি ক্যাপ্টেন আর্থার রোস্টরনকেকে উপহার দিয়েছিলেন তিন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর বিধবা স্ত্রীরা। এই তিনজনই ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল হিমশৈলে ধাক্কা লেগে টাইটানিক ডুবির ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।

গত রোববার নিলামকারী প্রতিষ্ঠান হেনরি অলড্রিজ অ্যান্ড সন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে।

১৯১২ সালে টাইটানিক দুর্ঘটনার সময় বাষ্পীয় ইঞ্জিনের জাহাজ আরএমএস কার্পেথিয়া নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে ভূমধ্যসাগরের দিকে যাত্রা করেছিলেন আর্থার রোস্টরন। ডুবতে থাকা টাইটানিকের সাহায্যের সংকেত পেয়ে জাহাজের গতিপথ বদলে সেদিকে যাত্রা করেন ক্যাপ্টেন।

ঘড়িটিতে লেখা, ‘আন্তরিক কৃতজ্ঞতাসহ ক্যাপ্টেন রোস্টরনকে, ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল টাইটানিক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া তিন যাত্রী মিসেস জন বি থেয়ার, মিসেস জন জ্যাকব এস্টর এবং মিসেস জর্জ ডি উইডেনার।’

১৯১২ সালের ৩১ মে উপহারটি দেওয়া হয় ক্যাপ্টেনকে। ছবি: হেনরি অলড্রিজ অ্যান্ড সন
১৯১২ সালের ৩১ মে উপহারটি দেওয়া হয় ক্যাপ্টেনকে। ছবি: হেনরি অলড্রিজ অ্যান্ড সন

মিসেস এস্টরের স্বামী চতুর্থ জন জ্যাকব এস্টর ছিলেন টাইটানিকে ভ্রমণ করা সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া জেমস ক্যামেরনের বিখ্যাত ছবি ‘টাইটানিকে’ খুব গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে তাঁকে। জ্যাকব এস্টর তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে লাইফবোটে তুলে দিতে পারলেও আরও হাজার দেড়েক যাত্রী এবং ক্রুর সঙ্গে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।

রোস্টনকে তাঁর দুঃসাহসিক কাজের জন্য ১৯১২ সালের ৩১ মে মিসেস এস্টরের নিউইয়র্কের ম্যানসনে উপহারটি দেওয়া হয় বলে জানায় নিলামকারী প্রতিষ্ঠানটি।

ঘড়িটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রাইভেট সংগ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয় এবং বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ক্রেতার দেওয়া বিভিন্ন ফি এবং ট্যাক্স অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

টাইটানিকের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো জিনিস নিলামে বিক্রির আগের রেকর্ডটিও ছিল একটি পকেট ঘড়ির দখলে। এ বছরে ১১ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ডে (১৪ লাখ ৮৫ হাজার ডলার) বিকোয় ঘড়িটি।

নিলামকারী অ্যান্ড্রু অলড্রিজের মতে, টাইটানিকের গল্পে মানুষের আগ্রহ যে এখনো বিন্দুমাত্র কমেনি, সর্বশেষ বিক্রয়টি তারই প্রমাণ।

রোববার সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘এ বছর টাইটানিকের স্মৃতিচিহ্ন বিক্রির বিশ্ব রেকর্ড দুবার ভেঙেছে। তা প্রমাণ করে জাহাজ সম্পর্কিত স্মৃতিচিহ্নের সরবরাহ হ্রাস পাচ্ছে এবং চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মিডিয়া ছুটায় দেব, চেনো আমাদের’—সাংবাদিককে হুমকি কুড়িগ্রামের এসপির

মেঘনা আলম ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’, কারণ জানাল পুলিশ

তিন সুপারস্টারেও ফ্লপ, ৩৪ বছর আগে যে সর্বভারতীয় ছবি প্রযোজককে দেউলিয়া বানিয়েছিল

বান্দরবান, মণিপুর, মিজোরাম ও রাখাইন নিয়ে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র চলছে: বজলুর রশীদ

ইসলামপুর বিএনপির সহসভাপতি যোগ দিলেন জামায়াতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত