অনলাইন ডেস্ক
বেগুনের নাম শুনলেই অনেকে চোখ চুলকাতে শুরু করে! নিরীহ গোবেচারা সবজিটি এই মাত্রায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। চারপাশে এই পরিস্থিতি দেখে যার কোনো কিছুতেই শরীর সাড়া দেয় না সেও বেগুন স্পর্শ না করার পণ করে।
এইভাবে বেগুনের বাজার তলানিতে পড়ার কথা ছিল। কিন্তু পোড়া তেলে ভাজা বেসন (মূলত আটা-ময়দা) মাখানো জামদানির মতো ফিনফিনে বেগুনের ফালি ইফতারের অপরিহার্য আইটেম হয়ে ওঠার পর চুলকানি উৎপাদনকারী এই সবজি বেশ জাতে উঠেছে! রমজান মাস এলেই পত্রিকাগুলোতে দৈনিক বাজারের খবরে মর্যাদার আসন দখল থাকে লম্বা অথবা গোল বিটি বেগুন।
তবে এবার আঁৎকা অসময়ে আলোচনার তুঙ্গে বেগুন। এক গবেষণাকে কেন্দ্র করে টিভি টকশো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। শরীর ছাড়িয়ে এবার গণমাধ্যমেও ভালোই অ্যালার্জি ছড়িয়ে দিতে পেরেছে এই রসিক সবজি।
কথা হলো, বেগুনে আসলেই কি অ্যালার্জি (পড়ুন চুলকানি) সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান আছে? বেগুন খেলে অ্যালার্জি হওয়াটা কি অবধারিত? নজর দেওয়া যাক একটু গভীরে, বেগুনের ভেতরের রসায়ন কী বলছে?
ইমিউনোগ্লোবোলিন ই একধরনের প্রোটিন যা মূলত স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা সৃষ্ট একটি অ্যান্টিবডি। কোনো কারণে এই ধরনের অ্যান্টবডির উৎপাদন ত্বরান্বিত হলেই অ্যালার্জি জাতীয় প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অর্থাৎ এটিকে এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় প্রতিরোধ ব্যবস্থার লক্ষণ বলা যেতে পারে।
সোলানেসি পরিবারের সবজি যেমন: আলু, বেগুন, টমেটো, ক্যাপসিকাম ইত্যাদির মধ্যে কমবেশি এই অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান (প্রোটিন) রয়েছে। বিশেষ করে বেগুনের খোসায় এই অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানের পরিমাণ বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, খোসাসহ বেগুন খেলে অ্যালার্জির মাত্রা যতোটা তীব্র হয় খোসা ছাড়িয়ে খেলে ততোটা নয়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০০৯ সালের ওয়ার্ল্ড অ্যালার্জি অরগানাইজেশনের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেগুন খেয়ে অ্যালার্জির সমস্যা বেশি হয় নারীদের। ৭৪১ জনের মধ্যে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে বেগুনের প্রতি অ্যালার্জির সমস্যা বেশি দেখা যায়।
বেগুন খেলে অ্যালার্জির উপসর্গ হিসেবে- শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, চোখের পাতায় চুলকানি বা ফুলে যাওয়া, বমি, লাল চাকা চাকা দাগ, হাঁচি, কাশি, র্যাশ, পেটে সমস্যা বা অস্বস্তিবোধ, গলায় সুরসুর করা বা গলা বসে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
বেগুনের খালি দোষ বর্ণনা করা হলো এতোক্ষণ। যার নেই গুণ, তার নাম বেগুন- এই আপ্তবাক্যই যে প্রতিষ্ঠিত হলো। কিন্তু সত্যি বলতে বেগুনের অনেক গুণও রয়েছে।
বেগুনে আছে- আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং খনিজ পদার্থ। এর মধ্যে অন্যতম ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট রক্ত চলাচল বাড়ায়। এতে উচ্চ মাত্রার বায়োফ্লেভনয়েড থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
বেগুনে খাদ্যআঁশ থাকার ফলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত বেগুন খেলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। বেগুন কম ক্যালরি যুক্ত একটি সবজি। এক কাপ বেগুনে রয়েছে মাত্র ৩৫ ক্যালরি। এতে ফ্যাট নেই। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্র সবল রাখে।
বেগুনের নাম শুনলেই অনেকে চোখ চুলকাতে শুরু করে! নিরীহ গোবেচারা সবজিটি এই মাত্রায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। চারপাশে এই পরিস্থিতি দেখে যার কোনো কিছুতেই শরীর সাড়া দেয় না সেও বেগুন স্পর্শ না করার পণ করে।
এইভাবে বেগুনের বাজার তলানিতে পড়ার কথা ছিল। কিন্তু পোড়া তেলে ভাজা বেসন (মূলত আটা-ময়দা) মাখানো জামদানির মতো ফিনফিনে বেগুনের ফালি ইফতারের অপরিহার্য আইটেম হয়ে ওঠার পর চুলকানি উৎপাদনকারী এই সবজি বেশ জাতে উঠেছে! রমজান মাস এলেই পত্রিকাগুলোতে দৈনিক বাজারের খবরে মর্যাদার আসন দখল থাকে লম্বা অথবা গোল বিটি বেগুন।
তবে এবার আঁৎকা অসময়ে আলোচনার তুঙ্গে বেগুন। এক গবেষণাকে কেন্দ্র করে টিভি টকশো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। শরীর ছাড়িয়ে এবার গণমাধ্যমেও ভালোই অ্যালার্জি ছড়িয়ে দিতে পেরেছে এই রসিক সবজি।
কথা হলো, বেগুনে আসলেই কি অ্যালার্জি (পড়ুন চুলকানি) সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান আছে? বেগুন খেলে অ্যালার্জি হওয়াটা কি অবধারিত? নজর দেওয়া যাক একটু গভীরে, বেগুনের ভেতরের রসায়ন কী বলছে?
ইমিউনোগ্লোবোলিন ই একধরনের প্রোটিন যা মূলত স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা সৃষ্ট একটি অ্যান্টিবডি। কোনো কারণে এই ধরনের অ্যান্টবডির উৎপাদন ত্বরান্বিত হলেই অ্যালার্জি জাতীয় প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অর্থাৎ এটিকে এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় প্রতিরোধ ব্যবস্থার লক্ষণ বলা যেতে পারে।
সোলানেসি পরিবারের সবজি যেমন: আলু, বেগুন, টমেটো, ক্যাপসিকাম ইত্যাদির মধ্যে কমবেশি এই অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান (প্রোটিন) রয়েছে। বিশেষ করে বেগুনের খোসায় এই অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানের পরিমাণ বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, খোসাসহ বেগুন খেলে অ্যালার্জির মাত্রা যতোটা তীব্র হয় খোসা ছাড়িয়ে খেলে ততোটা নয়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০০৯ সালের ওয়ার্ল্ড অ্যালার্জি অরগানাইজেশনের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেগুন খেয়ে অ্যালার্জির সমস্যা বেশি হয় নারীদের। ৭৪১ জনের মধ্যে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে বেগুনের প্রতি অ্যালার্জির সমস্যা বেশি দেখা যায়।
বেগুন খেলে অ্যালার্জির উপসর্গ হিসেবে- শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, চোখের পাতায় চুলকানি বা ফুলে যাওয়া, বমি, লাল চাকা চাকা দাগ, হাঁচি, কাশি, র্যাশ, পেটে সমস্যা বা অস্বস্তিবোধ, গলায় সুরসুর করা বা গলা বসে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
বেগুনের খালি দোষ বর্ণনা করা হলো এতোক্ষণ। যার নেই গুণ, তার নাম বেগুন- এই আপ্তবাক্যই যে প্রতিষ্ঠিত হলো। কিন্তু সত্যি বলতে বেগুনের অনেক গুণও রয়েছে।
বেগুনে আছে- আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং খনিজ পদার্থ। এর মধ্যে অন্যতম ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট রক্ত চলাচল বাড়ায়। এতে উচ্চ মাত্রার বায়োফ্লেভনয়েড থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
বেগুনে খাদ্যআঁশ থাকার ফলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত বেগুন খেলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। বেগুন কম ক্যালরি যুক্ত একটি সবজি। এক কাপ বেগুনে রয়েছে মাত্র ৩৫ ক্যালরি। এতে ফ্যাট নেই। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্র সবল রাখে।
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১ দিন আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৪ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৯ দিন আগে