পৃথিবীর সবচেয়ে খর্বাকৃতি যুগলের উচ্চতা কত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৪, ১৫: ৩৪
Thumbnail image

৬ ফুট উচ্চতার মানুষ এমনকি বাংলাদেশেও খুব অস্বাভাবিক নয়। আজ যে দুজনের গল্প বলব, তাঁদের উচ্চতাও ৬ ফুটের কাছাকাছি। তবে এটি তাদের মিলিত উচ্চতা। ব্রাজিলের পাওলো গ্যাব্রিয়েল দ্য সিলভা বারোস এবং কাতিওচিয়া লিয়ে হোশিনো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিবেচনায় পৃথিবীর সবচেয়ে খর্বাকৃতি বিবাহিত দম্পতি। 

এই দুজনের মিলিত দৈর্ঘ্য ১৮১ দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার বা প্রায় ৫ ফুট সাড়ে ১১ ইঞ্চি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, আকারে ছোট হলেও হৃদয়টা তাঁদের অনেক বড়। 

ব্রাজিলের পাওলো গ্যাব্রিয়েল দ্য সিলভা বারোস এবং কাতিওচিয়া লিয়ে হোশিনোর অনলাইনে প্রথম পরিচয় ২০০৬ সালে। তখন তাঁদের বয়স একেবারেই কম। কারণ এখন সিলভা বারোসের বয়স ৩১, অন্যদিকে লিয়ে হোশিনোর বয়স ২৮। অনেকগুলো বছর চমৎকার সম্পর্কের পর তাঁদের প্রেম পরিণয়ে গড়ায় ২০১৬ সালে। ওই বছরের ৩ নভেম্বর খর্বাকৃতি দম্পতি হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠে তাঁদের। 

তাঁরা বলেন, আমরা খর্বাকৃতি হতে পারি, তবে আমাদের হৃদয় অনেক বড়। একে অপরের প্রতি এমনকি আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষের জন্য অনেক ভালোবাসার জায়গা হয় সেখানে। আমাদের জীবন অবশ্যই চ্যালেঞ্জ ছাড়া নয়। কিন্তু আমরা খুব খুশি যে আমরা একসঙ্গে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারছি। 

এই জুটির একত্রে উচ্চতা ১৮১ দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার বা ৭১ দশমিক ৪২ ইঞ্চি। এর মধ্যে পাওলোর উচ্চতা ৯০ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার (৩৫ দশমিক ৫৪ ইঞ্চি) এবং কাতিওসিয়ার উচ্চতা ৯১ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার (৩৫ দশমিক ৮৮ ইঞ্চি)। 

এই যুগলের মিলিত দৈর্ঘ্য ১৮১ দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার বা প্রায় ৫ ফুট সাড়ে ১১ ইঞ্চি। ছবি: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসএদিকে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এই যুগলকে নিয়ে একটি পোস্ট দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। সেখানে ব্যবহারকারীরা এই দম্পতির আকারের চেয়ে তাঁদের ভালোবাসা নিয়েই ছিলেন বেশি আপ্লুত। 

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ভালোবাসার জয়।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘চমৎকার। তোমাদের দুজনকেই অভিনন্দন।’ 

কেউ কেউ বলেছেন, যুগলের কারও উচ্চতাই কম নয়। একজন যেমন লিখেছেন, ‘তাঁদের দুজনের উচ্চতাই আমার মতো।’ 

পাওলো ও কাতিওসিয়া বিয়ে করেন ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গিনেস বুকে নাম ওঠার পর গত সাড়ে সাত বছর ধরে মানুষের আগ্রহ তাঁদের নিয়ে। 

নিজেদের সম্পর্কে পাওলো আগে বলেছিলেন, ‘প্রথম যখন দেখি, তাঁকে অসাধারণ সুন্দরী মনে হয় আমার।’ 

কাতিওসিয়া শুরুতে ম্যাসেজ প্ল্যাটফরম অরকুচিতে (এখন বিলুপ্ত) পাওলোকে ব্লক করেন। তাই পাওলোকে তার মন জয় করতে সাধনা করতে হয়েছে। এরপর তাঁদের মধ্যে খুদেবার্তা আদান-প্রদান ও ফোনে আলাপ চলতে থাকে। সরাসরি প্রথম দেখা হয় ২০০৮ সালের ২০ ডিসেম্বর। 

চার বছর বড় একটা দূরত্বে থাকতে হয় দুজনকে। কাতিওসিয়া তার নিজের শহর লোন্দ্রিনা থেকে পাওলোর শহর ইতাপেভায় চলে আসেন ২০১২ সালে। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন স্থায়ীভাবে গাঁটছড়া বাঁধার। 

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, দ্য মিরর

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত