ইশতিয়াক হাসান
পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছুই আছে পেরুতে। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন এখানে। বিশেষ করে পেরু ভ্রমণে মাচুপিচুর নামটা চলে আসে সবার আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পারছেন নানান রঙের বাহারে সেজে আছে ওই পর্বত।
যখন পর্বতটির শরীরের বরফের আবরণ গলে যায়, তখনই চোখে পড়ে চোখজুড়ানো সে দৃশ্য। এখানকার জলবায়ু, বেলে ও চুনা পাথরের উপস্থিতি এবং পর্বতে নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতি পর্বতটিকে এমন চেহারা দিয়েছে। আকাশমুখী উঠে যাওয়া সোনালি, বেগুনি, লাল, সবুজাভ-নীল রঙের ছটা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ভিনিকানকা পার্বত্য এলাকাটি এমনিতে পেরুর ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে একটা সময় পর্যন্ত পর্যটকেরা খুব বেশি যেতেন না সেখানে। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে পর্বতের আশ্চর্য সুন্দর রঙের খেলার ছবি ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের প্রচার—সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেরি হয়নি। এখন এটি পেরুর কাসকো এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক আগমন হয় এমন এলাকা। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিনিকানকাতে দেড় থেকে চার হাজার মানুষ আসেন।
এমনিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে এই পাহাড়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয় পর্যটকদের। তবে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত আকাশ সবচেয়ে নীল থাকে। এ সময় পর্বতটিকেও সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অবশ্য পর্বতের ওপরের অংশে হঠাৎই বদলে যায় আবহাওয়া। ‘লোনলি প্ল্যানেটে’র দেওয়া তথ্যে জুন থেকে আগস্ট পেরুতে পর্যটকের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি, কম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
অনেক সময়ই আশ্চর্য সুন্দর এই পর্বতটি দেখতে গিয়ে মানুষকে হতাশ হতে হয়। তবে এর দায় প্রকৃতিরই, মানুষের নয়। মেঘলা আবহাওয়ায় এখানকার রঙের ছটা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পথটিতে পর্যটকদের চলাচলই বন্ধ করে দেয়।
এমন নানা রঙের ছটার কারণে সহজেই দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা থাকলেও রংধনু পর্বত খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকাটির অনেক গভীরে এর অবস্থান। এমনকি দক্ষ গাইডসহ কুশলী পর্যটকদেরও এটিকে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতো একটা সময়। হেঁটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছাতে ছয় দিন লাগত। তবে এখন কাসকো থেকে পর্বতটির মোটামুটি কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন বাসে।
পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আসাংগেট ট্রেইল ধরে হেঁটে রংধনু পর্বতের কাছে পৌঁছানোর আগে আপনার চোখ জুড়াবে উষ্ণ প্রস্রবণ, পেরুর মনোমুগ্ধকর সব গ্রাম, বাজার আর আসাংগেট হিমবাহের অসাধারণ দৃশ্য, আর দর্শন পাবেন অসাধারণ সুন্দর দুই প্রাণী গৃহপালিত লামা আর আলপাকাদের।
বাস যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে আসা-যাওয়ায় অতিক্রম করতে হয় পাঁচ মাইল পথ। তবে উচ্চতার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কারণ ভিনিকানকার চূড়া ১৬ হাজার ফুটের বেশি উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। বেশির ভাগ অংশেই ট্র্যাকিং তেমন কঠিন নয়। তবে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে কিছুটা খাড়া পথ আছে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য এখানে আছে মাউন্টেন বাইক। আর যারা বেশি হাঁটতে চান না তাঁরা যেতে পারেন ঘোড়ায় চেপে। আবার হেঁটে এগোনোর সময় দুরারোহ কিছু জায়গায় ঘোড়া পাবেন, শুধু সেই জায়গাটি পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কাসকো থেকে ৬২ মাইল দূরে অবস্থান রংধনু পর্বতের। কাসকো থেকেই অনেক ট্যুর অপারেটর এক দিনের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১০০ পেরুভিয়ান সোল বা ৩০ ডলার (৩ হাজার ১০০ টাকা) নেয় তারা সাধারণত। কাজেই একবার পেরু পৌঁছে গেলে মাচুপিচুর সঙ্গে অবশ্যই রংধনু পর্বতকে রাখা উচিত ‘অবশ্যই দেখতে হবে’র তালিকায়, কী বলেন?
সূত্র. সিএনবিসি. কম, এটলাস অবসকিউরা
পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছুই আছে পেরুতে। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন এখানে। বিশেষ করে পেরু ভ্রমণে মাচুপিচুর নামটা চলে আসে সবার আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পারছেন নানান রঙের বাহারে সেজে আছে ওই পর্বত।
যখন পর্বতটির শরীরের বরফের আবরণ গলে যায়, তখনই চোখে পড়ে চোখজুড়ানো সে দৃশ্য। এখানকার জলবায়ু, বেলে ও চুনা পাথরের উপস্থিতি এবং পর্বতে নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতি পর্বতটিকে এমন চেহারা দিয়েছে। আকাশমুখী উঠে যাওয়া সোনালি, বেগুনি, লাল, সবুজাভ-নীল রঙের ছটা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ভিনিকানকা পার্বত্য এলাকাটি এমনিতে পেরুর ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে একটা সময় পর্যন্ত পর্যটকেরা খুব বেশি যেতেন না সেখানে। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে পর্বতের আশ্চর্য সুন্দর রঙের খেলার ছবি ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের প্রচার—সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেরি হয়নি। এখন এটি পেরুর কাসকো এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক আগমন হয় এমন এলাকা। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিনিকানকাতে দেড় থেকে চার হাজার মানুষ আসেন।
এমনিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে এই পাহাড়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয় পর্যটকদের। তবে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত আকাশ সবচেয়ে নীল থাকে। এ সময় পর্বতটিকেও সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অবশ্য পর্বতের ওপরের অংশে হঠাৎই বদলে যায় আবহাওয়া। ‘লোনলি প্ল্যানেটে’র দেওয়া তথ্যে জুন থেকে আগস্ট পেরুতে পর্যটকের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি, কম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
অনেক সময়ই আশ্চর্য সুন্দর এই পর্বতটি দেখতে গিয়ে মানুষকে হতাশ হতে হয়। তবে এর দায় প্রকৃতিরই, মানুষের নয়। মেঘলা আবহাওয়ায় এখানকার রঙের ছটা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পথটিতে পর্যটকদের চলাচলই বন্ধ করে দেয়।
এমন নানা রঙের ছটার কারণে সহজেই দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা থাকলেও রংধনু পর্বত খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকাটির অনেক গভীরে এর অবস্থান। এমনকি দক্ষ গাইডসহ কুশলী পর্যটকদেরও এটিকে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতো একটা সময়। হেঁটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছাতে ছয় দিন লাগত। তবে এখন কাসকো থেকে পর্বতটির মোটামুটি কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন বাসে।
পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আসাংগেট ট্রেইল ধরে হেঁটে রংধনু পর্বতের কাছে পৌঁছানোর আগে আপনার চোখ জুড়াবে উষ্ণ প্রস্রবণ, পেরুর মনোমুগ্ধকর সব গ্রাম, বাজার আর আসাংগেট হিমবাহের অসাধারণ দৃশ্য, আর দর্শন পাবেন অসাধারণ সুন্দর দুই প্রাণী গৃহপালিত লামা আর আলপাকাদের।
বাস যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে আসা-যাওয়ায় অতিক্রম করতে হয় পাঁচ মাইল পথ। তবে উচ্চতার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কারণ ভিনিকানকার চূড়া ১৬ হাজার ফুটের বেশি উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। বেশির ভাগ অংশেই ট্র্যাকিং তেমন কঠিন নয়। তবে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে কিছুটা খাড়া পথ আছে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য এখানে আছে মাউন্টেন বাইক। আর যারা বেশি হাঁটতে চান না তাঁরা যেতে পারেন ঘোড়ায় চেপে। আবার হেঁটে এগোনোর সময় দুরারোহ কিছু জায়গায় ঘোড়া পাবেন, শুধু সেই জায়গাটি পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কাসকো থেকে ৬২ মাইল দূরে অবস্থান রংধনু পর্বতের। কাসকো থেকেই অনেক ট্যুর অপারেটর এক দিনের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১০০ পেরুভিয়ান সোল বা ৩০ ডলার (৩ হাজার ১০০ টাকা) নেয় তারা সাধারণত। কাজেই একবার পেরু পৌঁছে গেলে মাচুপিচুর সঙ্গে অবশ্যই রংধনু পর্বতকে রাখা উচিত ‘অবশ্যই দেখতে হবে’র তালিকায়, কী বলেন?
সূত্র. সিএনবিসি. কম, এটলাস অবসকিউরা
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১৫ ঘণ্টা আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৩ দিন আগে