জীবনধারা ডেস্ক
এটা নারীদের কাজ নয়, নারীরা এসব কাজ পারে না—এমন আটপৌরে কথা ধীরে ধীরে বাক্সবন্দী হয়ে পড়ছে। আগুন নেভানোর সরকারি কাজে কিংবা অন্য কোনো চ্যালেঞ্জিং কাজে এত দিন নারীদের অংশগ্রহণ ছিল না। কিন্তু ২০২৩ সালে সে সীমারেখাটা মুছে গেল। এ বছর ফায়ার ফাইটার, ডগ হ্যান্ডলার ও ট্রেন অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে যুক্ত হয়েছেন নারীরা।
তাঁরা ৭ জন
বেসিক কেনাইন হ্যান্ডলার ট্রেনিং কোর্সে অংশ নিয়ে নতুন যুগের সূচনা করেছেন সাতজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা। হাতে কলমে প্রশিক্ষণ শেষ করে এখন কাজ করছেন ৭ জন ডগ হ্যান্ডলার। যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের পেশাদার ডগ স্কোয়াড প্রশিক্ষক টনি ব্রাইসন ও মেলিন ব্রডউইকের কাছে প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন তাঁরা। সাত সদস্যের এই দলটির প্রতিটি নারী সদস্যই স্বেচ্ছায় এ কাজে এসেছিলেন।
হিংস্র কুকুরকে পোষ মানানো যেকোনো মানুষের পক্ষেই কষ্ট সাধ্য। তবে প্রশিক্ষণ আর একাগ্রতা এই কাজ করার সাহস ও যোগ্যতা জোগায়। ২০১৭ সালে দুটি ল্যাবরেডর, দুইটি জার্মান শেফার্ড ও চারটি বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস জাতের কুকুর এবং ১৬ জন হ্যান্ডলার নিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কেনাইন ইউনিট যাত্রা শুরু করে। শুধু বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় এই ডগ স্কোয়াড বিমানবন্দরে আসা যাত্রী, সহযাত্রী এবং তাদের ব্যাগেজ স্ক্রিনিংয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া ক্যানোপি নিরাপত্তা, পার্কিং এরিয়া এবং যানবাহনে বিস্ফোরক পদার্থের উপস্থিতি শনাক্ত করা, ব্যাগেজ বেল্ট এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা এবং ভিভিআইপি নিরাপত্তা রক্ষায়ও কাজ করেন কেনাইন ইউনিটের সদস্যরা। এ যাত্রায় এবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ৭ নারী পুলিশ সদস্য। ১৫ অগ্নি যোদ্ধা
হাটহাজারী কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার দিনা যোগ দিয়েছেন নারী ফায়ার ফাইটার হিসেবে। তিনি রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালকের কন্যা। বাবাকে নিজের অনুপ্রেরণা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য থাকবে সেবা করা।
আগে শুধু অফিসার পদে ছিল নারীদের উপস্থিতি সম্প্রতি ফায়ার সার্ভিসে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫ নারী ফায়ার ফাইটার। জমা পড়া ২ হাজার ৭০০ টির বেশি আবেদনের মধ্যে বাছাই করে এই ১৫ জনকে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৮ নভেম্বর তাঁরা কাজে যোগ দেন। তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে তাঁদের। প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু কিছু ক্ষেত্রে জেন্ডার ভিত্তিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি একই রকম প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অগ্নি যোদ্ধা নারীরা।
তাঁরা ট্রেন বালা
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথম এই পদে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ এর প্রথম ট্রেনটি। সেখানেই পরীক্ষামূলকভাবে নয়জন নারী অ্যাটেনডেন্ট যুক্ত করা হয়। প্রথম দিন ১ হাজার ২০ জন যাত্রীর সেবায় নিয়োজিত ২৪ জন অ্যাটেনডেন্টের মধ্যে ছিলেন ৯ জন নারী অ্যাটেনডেন্ট।
এই ৯ জনের বাইরে এরই মধ্যে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে ২৬ জন নারী অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল পথে চালু হতে যাওয়া নতুন সুবর্ণ এক্সপ্রেসেও ২০ জন নারী অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এটা নারীদের কাজ নয়, নারীরা এসব কাজ পারে না—এমন আটপৌরে কথা ধীরে ধীরে বাক্সবন্দী হয়ে পড়ছে। আগুন নেভানোর সরকারি কাজে কিংবা অন্য কোনো চ্যালেঞ্জিং কাজে এত দিন নারীদের অংশগ্রহণ ছিল না। কিন্তু ২০২৩ সালে সে সীমারেখাটা মুছে গেল। এ বছর ফায়ার ফাইটার, ডগ হ্যান্ডলার ও ট্রেন অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে যুক্ত হয়েছেন নারীরা।
তাঁরা ৭ জন
বেসিক কেনাইন হ্যান্ডলার ট্রেনিং কোর্সে অংশ নিয়ে নতুন যুগের সূচনা করেছেন সাতজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা। হাতে কলমে প্রশিক্ষণ শেষ করে এখন কাজ করছেন ৭ জন ডগ হ্যান্ডলার। যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের পেশাদার ডগ স্কোয়াড প্রশিক্ষক টনি ব্রাইসন ও মেলিন ব্রডউইকের কাছে প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন তাঁরা। সাত সদস্যের এই দলটির প্রতিটি নারী সদস্যই স্বেচ্ছায় এ কাজে এসেছিলেন।
হিংস্র কুকুরকে পোষ মানানো যেকোনো মানুষের পক্ষেই কষ্ট সাধ্য। তবে প্রশিক্ষণ আর একাগ্রতা এই কাজ করার সাহস ও যোগ্যতা জোগায়। ২০১৭ সালে দুটি ল্যাবরেডর, দুইটি জার্মান শেফার্ড ও চারটি বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস জাতের কুকুর এবং ১৬ জন হ্যান্ডলার নিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কেনাইন ইউনিট যাত্রা শুরু করে। শুধু বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় এই ডগ স্কোয়াড বিমানবন্দরে আসা যাত্রী, সহযাত্রী এবং তাদের ব্যাগেজ স্ক্রিনিংয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া ক্যানোপি নিরাপত্তা, পার্কিং এরিয়া এবং যানবাহনে বিস্ফোরক পদার্থের উপস্থিতি শনাক্ত করা, ব্যাগেজ বেল্ট এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা এবং ভিভিআইপি নিরাপত্তা রক্ষায়ও কাজ করেন কেনাইন ইউনিটের সদস্যরা। এ যাত্রায় এবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ৭ নারী পুলিশ সদস্য। ১৫ অগ্নি যোদ্ধা
হাটহাজারী কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার দিনা যোগ দিয়েছেন নারী ফায়ার ফাইটার হিসেবে। তিনি রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালকের কন্যা। বাবাকে নিজের অনুপ্রেরণা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য থাকবে সেবা করা।
আগে শুধু অফিসার পদে ছিল নারীদের উপস্থিতি সম্প্রতি ফায়ার সার্ভিসে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫ নারী ফায়ার ফাইটার। জমা পড়া ২ হাজার ৭০০ টির বেশি আবেদনের মধ্যে বাছাই করে এই ১৫ জনকে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৮ নভেম্বর তাঁরা কাজে যোগ দেন। তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে তাঁদের। প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু কিছু ক্ষেত্রে জেন্ডার ভিত্তিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি একই রকম প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অগ্নি যোদ্ধা নারীরা।
তাঁরা ট্রেন বালা
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথম এই পদে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ এর প্রথম ট্রেনটি। সেখানেই পরীক্ষামূলকভাবে নয়জন নারী অ্যাটেনডেন্ট যুক্ত করা হয়। প্রথম দিন ১ হাজার ২০ জন যাত্রীর সেবায় নিয়োজিত ২৪ জন অ্যাটেনডেন্টের মধ্যে ছিলেন ৯ জন নারী অ্যাটেনডেন্ট।
এই ৯ জনের বাইরে এরই মধ্যে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে ২৬ জন নারী অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল পথে চালু হতে যাওয়া নতুন সুবর্ণ এক্সপ্রেসেও ২০ জন নারী অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নড়াইল শহরের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের খেলার মাঠের দক্ষিণ দিকে রাস্তার পাশে চারতলা ভবন। নাম ‘অন্তি কটেজ’। এ ভবনের ৩ হাজার বর্গফুট ছাদজুড়ে তনিমা আফরিনের বাগান। তিনতলায় স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাওয়া তনিমা।
১৬ ঘণ্টা আগেঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
১৬ ঘণ্টা আগেদিন যত যাচ্ছে, গৃহকর্মী নির্যাতন যেন বাড়ছেই। বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে ২৫ লাখ গৃহকর্মী কাজ করে। আর বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশের ৮০ শতাংশ গৃহকর্মী নারী।
১৭ ঘণ্টা আগেহতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা।
১৭ ঘণ্টা আগে