কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
দেশের কোনো সেক্টরেই যেন বৈষম্য না থাকে
জুন থেকে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। ঈদের কারণে বন্ধ থাকার পর আবারও জুলাইয়ে আন্দোলন শুরু করি আমরা। দিন দিন আন্দোলনে মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়তে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হন সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে ধীরে ধীরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকেন। মূলত বাংলা ব্লকেডের সময় সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হলেন আন্দোলনে।
এরপর ১৫ জুলাই হামলা হলো। আমরা যে যেভাবে পেরেছি, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে তথ্য দিয়ে মানুষকে যুক্ত করার চেষ্টা করেছি। ১৭ তারিখের পর হলছাড়া করা হলে ১৮ তারিখ পর্যন্ত আমরা অনলাইনেই প্রচার করেছি বিভিন্ন তথ্য ও ছবি। পরিকল্পনা ছিল সমন্বয়কেরা কোনোভাবে আমাদের নির্দেশনা দিতে না পারলেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। কারফিউর সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা সবাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ করি। আর হল ছাড়ার পর আমরা যে যে এলাকায় ছিলাম, সেখানকার মানুষদের নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করেছি। তারপরের ইতিহাস তো আমরা সবাই জানি।
এতগুলো প্রাণের বিনিময়ে যে দেশ আমরা পেয়েছি, তার সব সেক্টর থেকে যেন বৈষম্য দূর হয়। আমরা চেষ্টা করেছি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের কথা বলতে। নতুন সরকারের কাছে আমাদের দাবি, প্রশাসন আর বিচার বিভাগের সংস্কার।
আশরেফা খাতুন, শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নিজেদের অধিকারের কথা বলেছি
ন্যায্য অধিকারের দাবিতে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে মাঠে ছিলাম। ৭ জুলাই থেকে আমি রাজপথে নেমেছি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। সবাই মিলে কাজ করাটা একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল প্রথম দিকে। প্রতিদিন পোস্টার বানানো থেকে শুরু করে রোডম্যাপ করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য খাওয়ার ও পানি নিশ্চিত করা পর্যন্ত সব নিজেরাই করেছি। শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে পারলেও ধীরে ধীরে অবস্থা খারাপ হতে থাকে। প্রথম দিকে খাবার পানির সংকট আর মেয়েরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটত। ধীরে ধীরে আন্দোলন যখন আরও জোরালো হতে থাকে, তখন কিছু মেজর সমস্যা দেখা দেয়। যেমন প্রাথমিক চিকিৎসাব্যবস্থা, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়া। অনেক হাসপাতালই চিকিৎসা দিতে পারছিল না। গুলি বা কাঁদানে গ্যাসের শেলে আক্রান্ত আন্দোলনকারীদের চিকিৎসা দিতেও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। আমরা আত্মরক্ষার অনেক কিছুই জানতাম না।
ন্যায় আর অন্যায়ের মধ্যে যে বিশাল তফাত, তা দেখে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। কোটা আন্দোলন বৈষম্য দূর করার আন্দোলন ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য রাস্তায় নেমেছিল। আমরা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারি, তাহলে মেরুদণ্ড শক্ত করে বাঁচা সম্ভব নয়। কারও অধিকারে হক বসাতে চাইনি আমরা। নিজেদের অধিকারের কথা বলেছি।
হাফসা আহমেদ , ইডেন মহিলা কলেজ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ
দেশের কোনো সেক্টরেই যেন বৈষম্য না থাকে
জুন থেকে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। ঈদের কারণে বন্ধ থাকার পর আবারও জুলাইয়ে আন্দোলন শুরু করি আমরা। দিন দিন আন্দোলনে মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়তে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হন সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে ধীরে ধীরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকেন। মূলত বাংলা ব্লকেডের সময় সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হলেন আন্দোলনে।
এরপর ১৫ জুলাই হামলা হলো। আমরা যে যেভাবে পেরেছি, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে তথ্য দিয়ে মানুষকে যুক্ত করার চেষ্টা করেছি। ১৭ তারিখের পর হলছাড়া করা হলে ১৮ তারিখ পর্যন্ত আমরা অনলাইনেই প্রচার করেছি বিভিন্ন তথ্য ও ছবি। পরিকল্পনা ছিল সমন্বয়কেরা কোনোভাবে আমাদের নির্দেশনা দিতে না পারলেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। কারফিউর সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা সবাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ করি। আর হল ছাড়ার পর আমরা যে যে এলাকায় ছিলাম, সেখানকার মানুষদের নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করেছি। তারপরের ইতিহাস তো আমরা সবাই জানি।
এতগুলো প্রাণের বিনিময়ে যে দেশ আমরা পেয়েছি, তার সব সেক্টর থেকে যেন বৈষম্য দূর হয়। আমরা চেষ্টা করেছি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের কথা বলতে। নতুন সরকারের কাছে আমাদের দাবি, প্রশাসন আর বিচার বিভাগের সংস্কার।
আশরেফা খাতুন, শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নিজেদের অধিকারের কথা বলেছি
ন্যায্য অধিকারের দাবিতে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে মাঠে ছিলাম। ৭ জুলাই থেকে আমি রাজপথে নেমেছি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। সবাই মিলে কাজ করাটা একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল প্রথম দিকে। প্রতিদিন পোস্টার বানানো থেকে শুরু করে রোডম্যাপ করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য খাওয়ার ও পানি নিশ্চিত করা পর্যন্ত সব নিজেরাই করেছি। শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে পারলেও ধীরে ধীরে অবস্থা খারাপ হতে থাকে। প্রথম দিকে খাবার পানির সংকট আর মেয়েরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটত। ধীরে ধীরে আন্দোলন যখন আরও জোরালো হতে থাকে, তখন কিছু মেজর সমস্যা দেখা দেয়। যেমন প্রাথমিক চিকিৎসাব্যবস্থা, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়া। অনেক হাসপাতালই চিকিৎসা দিতে পারছিল না। গুলি বা কাঁদানে গ্যাসের শেলে আক্রান্ত আন্দোলনকারীদের চিকিৎসা দিতেও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। আমরা আত্মরক্ষার অনেক কিছুই জানতাম না।
ন্যায় আর অন্যায়ের মধ্যে যে বিশাল তফাত, তা দেখে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। কোটা আন্দোলন বৈষম্য দূর করার আন্দোলন ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য রাস্তায় নেমেছিল। আমরা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারি, তাহলে মেরুদণ্ড শক্ত করে বাঁচা সম্ভব নয়। কারও অধিকারে হক বসাতে চাইনি আমরা। নিজেদের অধিকারের কথা বলেছি।
হাফসা আহমেদ , ইডেন মহিলা কলেজ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ
নড়াইল শহরের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের খেলার মাঠের দক্ষিণ দিকে রাস্তার পাশে চারতলা ভবন। নাম ‘অন্তি কটেজ’। এ ভবনের ৩ হাজার বর্গফুট ছাদজুড়ে তনিমা আফরিনের বাগান। তিনতলায় স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাওয়া তনিমা।
৮ ঘণ্টা আগেঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
৮ ঘণ্টা আগেদিন যত যাচ্ছে, গৃহকর্মী নির্যাতন যেন বাড়ছেই। বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে ২৫ লাখ গৃহকর্মী কাজ করে। আর বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশের ৮০ শতাংশ গৃহকর্মী নারী।
৯ ঘণ্টা আগেহতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা।
৯ ঘণ্টা আগে