কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
কিছু মানুষের নাম শুনলেই মনের কোণে ভেসে ওঠে নানান গল্প। কারণ, সেই সব মানুষের গল্প এতবার এতভাবে পড়া হয়েছে যে সেগুলো এখন জীবন্ত হয়ে গেছে। কিন্তু বহুশ্রুত সেই সব গল্পও যদি চরিত্রটির মুখ থেকে শোনার সুযোগ আসে, নিজেকে ধন্য মনে হয়। এবার তেমনই একটি সুযোগ এলে হৃৎকম্প বেড়ে গেল। ধমনির রক্তস্রোতের শব্দ শুনতে শুনতে মোবাইল ফোনের নম্বর টিপেই ফেললাম। অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এল, ‘হ্যালো।’ বুঝলাম, বাংলাদেশের ওয়ান অ্যান্ড অনলি রাণী হামিদ অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন গেলেও সেটা রিসিভ করেন। নিজের কথা সবিস্তারে বললাম তাঁকে। বললাম নিজের ইচ্ছার কথাও। খুব বিনয়ের সঙ্গে বললেন, ‘ফোনে কথা বললে হয় না? এখন আর সাক্ষাৎকার দিতে ভালো লাগে না যে!’ কথা যেভাবেই হোক, বললেই চলবে। আমি রাজি হয়ে গেলাম। তিনি নামাজের জন্য কিছু সময় চেয়ে নিলেন।
মধ্যবর্তী এই সময়গুলোতে মনে মনে তাঁকে করার মতো কিছু প্রশ্ন খুঁজতে থাকলাম। কিন্তু হাতি, ঘোড়া মেরে, মন্ত্রী-সান্ত্রি উড়িয়ে রাজার সঙ্গে টক্কর দিয়ে যিনি কিস্তিমাত করেছেন, তাঁকে কুপোকাত করার মতো কোনো প্রশ্ন যে আমার কাছে নেই, সেটা ভেবে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লাম। ‘যাক বাবা’ বলে সময়মতো আবারও তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিলাম। ধরেই বললেন, ‘হ্যাঁ, এবার বলো!’ অর্বাচীনের মতো জানতে চাইলাম, ‘কেন দাবা খেলা বেছে নিয়েছিলেন?’ খুবই সাবলীল হাসি হেসে বললেন, ‘জানি না তো! ছোটবেলায় আমার বাবাকে দেখতাম অনেক খেলাধুলা করতেন। পুলিশ ছিলেন তো। অনেক ধরনের খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি দাবা খেলতেন। বাবাকে খুব প্রশ্ন করতাম তখন। এটা কীভাবে হয়, ওই চালটা কেমন। অবসরে ভাইবোনদের সঙ্গে খেলতাম। এভাবেই দাবার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয় ছোটবেলা থেকে। কিন্তু তখন কেউ দাবা খেলত না। স্কুলে অবশ্য আমি দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম।’ জানতে চাইলাম, ‘তাহলে ছোটবেলা থেকেই…।’ কথার পিঠেই বলে উঠলেন, ‘না না! আমি যে আমলের কথা বলছি, তখন মেয়েদের দাবা খেলার প্রচলনই ছিল না এ দেশে। আমি খেলা শুরু করেছি বিয়ের পর।’
এরপর খুব উৎফুল্ল কণ্ঠে রাণী হামিদ বলে গেলেন তাঁর গৃহিণী থেকে দাবার রাণী হয়ে ওঠার গল্প। বলে গেলেন দাবার চৌষট্টি খোপের বোর্ডটাকে জীবনের সঙ্গে একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়ে কীভাবে হয়ে উঠলেন দাবার রানি। মজা করে বলেন, ‘আমি তো নির্ভেজাল একজন হাউস ওয়াইফ ছিলাম, যার মাথায় সারাক্ষণ সংসার আর বাচ্চা ছিল। দাবা যে খেলব, এটার কোনো চিন্তাই ছিল না মাথায়।’
১৮ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার পর স্বামী আর চার সন্তান নিয়ে ছিল রাণীর নিজের ভুবন। একবার মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে জানাল, তার বান্ধবীর বাবা অনেক বড় দাবাড়ু। রাণী শুনে হাসির ছলেই মেয়েকে বলেছিলেন, ‘একদিন আমার সঙ্গে খেলতে বলিস, দেখব কত ভালো দাবাড়ু।’ সেই বান্ধবীর বাবা ছিলেন ওই সময়ের বিখ্যাত দাবাড়ু ড. আকমল হোসেন। তাঁর সঙ্গে এক দান খেলে রাণী বুঝেছিলেন, দাবার অনেক কিছুই আরও বুঝতে হবে তাঁকে। এরপর আকমল হোসেনের কাছেই দাবা শিখতে শুরু করেন। ১৯৭৭ সালে নবদিগন্ত সংসদ নামের একটি ক্লাবের দাবা প্রতিযোগিতায় হয়ে যান চ্যাম্পিয়ন। সেখান থেকে নতুন জীবন শুরু হয় এক সাধারণ গৃহিণীর।
কথার মাঝে জানতে চাইলাম, ‘নির্ভেজাল গৃহিণী ছিলেন, তাহলে দাবার মতো একটা খেলা খেলবেন বলে ভাবলেন কেন?’ খুব সাদামাটা উত্তর এল, ‘অনেকেই বলেন, দাবা বুদ্ধির খেলা, ধৈর্যের খেলা। কিন্তু আমার কাছে দাবা একটা মজার খেলা। এটা খেলে আমি আনন্দ পাই। অনেক কিছু করে ফেলব ভেবে খেলা শুরু করিনি। খেলতে খেলতে খেলাটা শিখে নিয়েছি। দাবার প্রতি ভালোবাসা বাবার খেলা দেখে। তাই উত্তরাধিকারসূত্রে বাবার কিছু নেওয়ার বেলায় তাঁর রেখে যাওয়া দাবার বোর্ডটাই দখল করেছিলাম আমি।’ আবার একটু হেসে নিলেন আপন মনে। তাঁর স্বচ্ছ আর নিপাট কথাবার্তা আমাকে অনেক বেশি সহজ করে ফেলেছিল ততক্ষণে। জানতে চাইলাম, ‘সেই ১৯৭৭ সাল থেকে খেলছেন, কত বড় বড় রেকর্ড করেছেন ব্যক্তিগতভাবে। দেশের হয়ে অনেকবার খেলেছেন, সম্মান বয়ে এনেছেন। এসব ভাবলে কী মনে হয়?’ এবার নরম, তবে কিছুটা হতাশামাখা কণ্ঠে উত্তর এল, ‘আমি যখন খেলা শুরু করলাম, তখন জানতামই না, বই পড়ে দাবা খেলতে হয়। মেয়েদের দেখতাম হাতে করে বই নিয়ে আসত। তখন তাদের দেখে আমিও পড়তাম ওই বইগুলো। ধীরে ধীরে নিজেকে গড়লাম। সংসার, বাচ্চা সামলিয়ে খেলাটাই ছিল ধ্যানজ্ঞান। যা অর্জন করেছি, সব অবশ্যই গর্বের। এত কিছু ভেবে করিনি।’
দেশে নারীদের দাবা খেলার পথিকৃৎ হিসেবে রাণী হামিদের নাম উচ্চারিত হয়। জানতে চাইলাম, তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুতে খেলার পরিবেশ আর এখনকার পরিবেশের ভিন্নতা কোথায়। প্রশ্ন শুনে একটু সময় নিলেন। বললেন, দেখো, পরিবেশ তো বদলেছেই। আগের দিনে দাবা খেলার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মধ্যে যে আড্ডাটা হতো, তা এখন অনেকটাই হয়ে ওঠে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর মোবাইল ফোনই আড্ডার ক্ষেত্রটা দখল করে নিয়েছে। তবে আগের চেয়ে সুযোগ অনেক বেড়েছে এখন। আমরা খুব কম ট্রেনিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আজকালকার বাচ্চারা এই সুযোগগুলো পাচ্ছে, স্পনসর পাচ্ছে। খেলতে বাইরে যাচ্ছে। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলেই ভালো করা সম্ভব।’
এবার উল্টো প্রশ্ন ভেসে এল, ‘আর কিছু জানতে চাও?’ তাঁর এমন প্রশ্ন আমাকে মনে করিয়ে দিল, আমি এবার বোধ হয় বেশি সময় নিয়ে নিচ্ছি। ঝটপট বলে ফেললাম নিজের আবেগের কথা। একজন মানুষ যিনি ৩৩ বছর বয়স থেকে দাবার ঘুঁটির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন, তাঁর সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারা আমার জন্য অনেক আনন্দের হতো। এ কথা বলায় আবারও নিপাট হাসি হেসে রাণী হামিদ বললেন, ‘সামনে সেপ্টেম্বরেই একটা টুর্নামেন্ট আছে। চলে এসো, সেখানে দেখা করব। চলে এসো!’ একটা সরল আহ্বান আবারও বুঝিয়ে দিল, দাবা আসলেই মজার খেলা। চালের মারপ্যাঁচ থাকলেও তা কারও অভিব্যক্তি কিংবা ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে না। এত অর্জনের পরেও রাণী হামিদ একজন সরল মানুষ। যিনি স্বপ্ন দেখেন, আরও খেলবেন। বলছিলেন, ‘বয়সের কারণে অনেক ওষুধ খেতে হয়। একেক ওষুধের একেক পাওয়ার। তবে যত দিন মস্তিষ্ক সচল থাকবে, আমি খেলে যাব।’
কিছু মানুষের নাম শুনলেই মনের কোণে ভেসে ওঠে নানান গল্প। কারণ, সেই সব মানুষের গল্প এতবার এতভাবে পড়া হয়েছে যে সেগুলো এখন জীবন্ত হয়ে গেছে। কিন্তু বহুশ্রুত সেই সব গল্পও যদি চরিত্রটির মুখ থেকে শোনার সুযোগ আসে, নিজেকে ধন্য মনে হয়। এবার তেমনই একটি সুযোগ এলে হৃৎকম্প বেড়ে গেল। ধমনির রক্তস্রোতের শব্দ শুনতে শুনতে মোবাইল ফোনের নম্বর টিপেই ফেললাম। অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এল, ‘হ্যালো।’ বুঝলাম, বাংলাদেশের ওয়ান অ্যান্ড অনলি রাণী হামিদ অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন গেলেও সেটা রিসিভ করেন। নিজের কথা সবিস্তারে বললাম তাঁকে। বললাম নিজের ইচ্ছার কথাও। খুব বিনয়ের সঙ্গে বললেন, ‘ফোনে কথা বললে হয় না? এখন আর সাক্ষাৎকার দিতে ভালো লাগে না যে!’ কথা যেভাবেই হোক, বললেই চলবে। আমি রাজি হয়ে গেলাম। তিনি নামাজের জন্য কিছু সময় চেয়ে নিলেন।
মধ্যবর্তী এই সময়গুলোতে মনে মনে তাঁকে করার মতো কিছু প্রশ্ন খুঁজতে থাকলাম। কিন্তু হাতি, ঘোড়া মেরে, মন্ত্রী-সান্ত্রি উড়িয়ে রাজার সঙ্গে টক্কর দিয়ে যিনি কিস্তিমাত করেছেন, তাঁকে কুপোকাত করার মতো কোনো প্রশ্ন যে আমার কাছে নেই, সেটা ভেবে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লাম। ‘যাক বাবা’ বলে সময়মতো আবারও তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিলাম। ধরেই বললেন, ‘হ্যাঁ, এবার বলো!’ অর্বাচীনের মতো জানতে চাইলাম, ‘কেন দাবা খেলা বেছে নিয়েছিলেন?’ খুবই সাবলীল হাসি হেসে বললেন, ‘জানি না তো! ছোটবেলায় আমার বাবাকে দেখতাম অনেক খেলাধুলা করতেন। পুলিশ ছিলেন তো। অনেক ধরনের খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি দাবা খেলতেন। বাবাকে খুব প্রশ্ন করতাম তখন। এটা কীভাবে হয়, ওই চালটা কেমন। অবসরে ভাইবোনদের সঙ্গে খেলতাম। এভাবেই দাবার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয় ছোটবেলা থেকে। কিন্তু তখন কেউ দাবা খেলত না। স্কুলে অবশ্য আমি দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম।’ জানতে চাইলাম, ‘তাহলে ছোটবেলা থেকেই…।’ কথার পিঠেই বলে উঠলেন, ‘না না! আমি যে আমলের কথা বলছি, তখন মেয়েদের দাবা খেলার প্রচলনই ছিল না এ দেশে। আমি খেলা শুরু করেছি বিয়ের পর।’
এরপর খুব উৎফুল্ল কণ্ঠে রাণী হামিদ বলে গেলেন তাঁর গৃহিণী থেকে দাবার রাণী হয়ে ওঠার গল্প। বলে গেলেন দাবার চৌষট্টি খোপের বোর্ডটাকে জীবনের সঙ্গে একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়ে কীভাবে হয়ে উঠলেন দাবার রানি। মজা করে বলেন, ‘আমি তো নির্ভেজাল একজন হাউস ওয়াইফ ছিলাম, যার মাথায় সারাক্ষণ সংসার আর বাচ্চা ছিল। দাবা যে খেলব, এটার কোনো চিন্তাই ছিল না মাথায়।’
১৮ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার পর স্বামী আর চার সন্তান নিয়ে ছিল রাণীর নিজের ভুবন। একবার মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে জানাল, তার বান্ধবীর বাবা অনেক বড় দাবাড়ু। রাণী শুনে হাসির ছলেই মেয়েকে বলেছিলেন, ‘একদিন আমার সঙ্গে খেলতে বলিস, দেখব কত ভালো দাবাড়ু।’ সেই বান্ধবীর বাবা ছিলেন ওই সময়ের বিখ্যাত দাবাড়ু ড. আকমল হোসেন। তাঁর সঙ্গে এক দান খেলে রাণী বুঝেছিলেন, দাবার অনেক কিছুই আরও বুঝতে হবে তাঁকে। এরপর আকমল হোসেনের কাছেই দাবা শিখতে শুরু করেন। ১৯৭৭ সালে নবদিগন্ত সংসদ নামের একটি ক্লাবের দাবা প্রতিযোগিতায় হয়ে যান চ্যাম্পিয়ন। সেখান থেকে নতুন জীবন শুরু হয় এক সাধারণ গৃহিণীর।
কথার মাঝে জানতে চাইলাম, ‘নির্ভেজাল গৃহিণী ছিলেন, তাহলে দাবার মতো একটা খেলা খেলবেন বলে ভাবলেন কেন?’ খুব সাদামাটা উত্তর এল, ‘অনেকেই বলেন, দাবা বুদ্ধির খেলা, ধৈর্যের খেলা। কিন্তু আমার কাছে দাবা একটা মজার খেলা। এটা খেলে আমি আনন্দ পাই। অনেক কিছু করে ফেলব ভেবে খেলা শুরু করিনি। খেলতে খেলতে খেলাটা শিখে নিয়েছি। দাবার প্রতি ভালোবাসা বাবার খেলা দেখে। তাই উত্তরাধিকারসূত্রে বাবার কিছু নেওয়ার বেলায় তাঁর রেখে যাওয়া দাবার বোর্ডটাই দখল করেছিলাম আমি।’ আবার একটু হেসে নিলেন আপন মনে। তাঁর স্বচ্ছ আর নিপাট কথাবার্তা আমাকে অনেক বেশি সহজ করে ফেলেছিল ততক্ষণে। জানতে চাইলাম, ‘সেই ১৯৭৭ সাল থেকে খেলছেন, কত বড় বড় রেকর্ড করেছেন ব্যক্তিগতভাবে। দেশের হয়ে অনেকবার খেলেছেন, সম্মান বয়ে এনেছেন। এসব ভাবলে কী মনে হয়?’ এবার নরম, তবে কিছুটা হতাশামাখা কণ্ঠে উত্তর এল, ‘আমি যখন খেলা শুরু করলাম, তখন জানতামই না, বই পড়ে দাবা খেলতে হয়। মেয়েদের দেখতাম হাতে করে বই নিয়ে আসত। তখন তাদের দেখে আমিও পড়তাম ওই বইগুলো। ধীরে ধীরে নিজেকে গড়লাম। সংসার, বাচ্চা সামলিয়ে খেলাটাই ছিল ধ্যানজ্ঞান। যা অর্জন করেছি, সব অবশ্যই গর্বের। এত কিছু ভেবে করিনি।’
দেশে নারীদের দাবা খেলার পথিকৃৎ হিসেবে রাণী হামিদের নাম উচ্চারিত হয়। জানতে চাইলাম, তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুতে খেলার পরিবেশ আর এখনকার পরিবেশের ভিন্নতা কোথায়। প্রশ্ন শুনে একটু সময় নিলেন। বললেন, দেখো, পরিবেশ তো বদলেছেই। আগের দিনে দাবা খেলার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মধ্যে যে আড্ডাটা হতো, তা এখন অনেকটাই হয়ে ওঠে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর মোবাইল ফোনই আড্ডার ক্ষেত্রটা দখল করে নিয়েছে। তবে আগের চেয়ে সুযোগ অনেক বেড়েছে এখন। আমরা খুব কম ট্রেনিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আজকালকার বাচ্চারা এই সুযোগগুলো পাচ্ছে, স্পনসর পাচ্ছে। খেলতে বাইরে যাচ্ছে। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলেই ভালো করা সম্ভব।’
এবার উল্টো প্রশ্ন ভেসে এল, ‘আর কিছু জানতে চাও?’ তাঁর এমন প্রশ্ন আমাকে মনে করিয়ে দিল, আমি এবার বোধ হয় বেশি সময় নিয়ে নিচ্ছি। ঝটপট বলে ফেললাম নিজের আবেগের কথা। একজন মানুষ যিনি ৩৩ বছর বয়স থেকে দাবার ঘুঁটির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন, তাঁর সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারা আমার জন্য অনেক আনন্দের হতো। এ কথা বলায় আবারও নিপাট হাসি হেসে রাণী হামিদ বললেন, ‘সামনে সেপ্টেম্বরেই একটা টুর্নামেন্ট আছে। চলে এসো, সেখানে দেখা করব। চলে এসো!’ একটা সরল আহ্বান আবারও বুঝিয়ে দিল, দাবা আসলেই মজার খেলা। চালের মারপ্যাঁচ থাকলেও তা কারও অভিব্যক্তি কিংবা ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে না। এত অর্জনের পরেও রাণী হামিদ একজন সরল মানুষ। যিনি স্বপ্ন দেখেন, আরও খেলবেন। বলছিলেন, ‘বয়সের কারণে অনেক ওষুধ খেতে হয়। একেক ওষুধের একেক পাওয়ার। তবে যত দিন মস্তিষ্ক সচল থাকবে, আমি খেলে যাব।’
নড়াইল শহরের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের খেলার মাঠের দক্ষিণ দিকে রাস্তার পাশে চারতলা ভবন। নাম ‘অন্তি কটেজ’। এ ভবনের ৩ হাজার বর্গফুট ছাদজুড়ে তনিমা আফরিনের বাগান। তিনতলায় স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাওয়া তনিমা।
১২ মিনিট আগেঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
৩৭ মিনিট আগেদিন যত যাচ্ছে, গৃহকর্মী নির্যাতন যেন বাড়ছেই। বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে ২৫ লাখ গৃহকর্মী কাজ করে। আর বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশের ৮০ শতাংশ গৃহকর্মী নারী।
৪৪ মিনিট আগেহতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা।
১ ঘণ্টা আগে