Ajker Patrika

এখন চিকিৎসার কথা বলেন, লজ্জা করে না: হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৩৫
এখন চিকিৎসার কথা বলেন, লজ্জা করে না: হানিফ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলায় হত্যাচেষ্টার পর এখন চিকিৎসার কথা বলতে লজ্জা করে কি না, তা জানতে চেয়ে বিএনপির কাছে প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিবার্তা ২৪ ডট নেট ও জাগরণ টিভি আয়োজিত ‘ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ও তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুফতি হান্নানদের নিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। সেই হামলার তদন্ত করতে দেওয়া হয়নি। মামলা নিতে দেওয়া হয়নি। আইভি রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় জাহাঙ্গীর গেটেই আটকে দেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়া তখন সংসদে বসে শেখ হাসিনাকে নিয়ে রসিকতা করেছিলেন যে শেখ হাসিনা গ্রেনেড ব্যাগে করে নিয়ে এসেছেন। আর এখন চিকিৎসার কথা বলেন, লজ্জা করে না?’

আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আজ সকাল-বিকেল চিকিৎসার কথা বলে কাঁদছেন। সিলেটে বোমা হামলার পর এস এম কিবরিয়াকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনার কথা বলা হয়েছিল। অনুমতি দেওয়া হয়নি। অ্যাম্বুলেন্সে করে আনার সময় তিনি মারা গিয়েছিলেন। খালেদা জিয়াকে বলে মানবতার মা। এই উনার মানবতা?’

জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন দাবি করে হানিফ বলেন,‘যারা আমার বাবা-মাকে হত্যা করেছিল, বোনকে পাশবিক নির্যাতন করেছিল, তাদের ক্ষমা করার অধিকার তাকে কে দিয়েছে? মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। উনি তাদের আবারও রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনেছেন। গোলাম আযম ১৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত দুই পাকিস্তান এক করতে মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে বেড়িয়েছেন।’

হানিফ আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জয় বাংলা স্লোগান, জাতির পিতার ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন। তিনি যদি মুক্তিযোদ্ধাই হতেন, তাহলে যেখানে মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে, সেই জায়গায় শিশুপার্ক বানালেন কেন? আজ যাঁরা ন্যায়বিচার চাইছেন, তাঁরা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ইনডেমনিটি আইন করেছিলেন।’

কোনো বিবেকবান মানুষ এমন অশুভ শক্তির পেছনে ছুটতে পারে না দাবি করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জাতির মধ্যে যে বিভাজন তৈরি করে গেছেন, তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি, আরেক দিকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি।' এ সময় তিনি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে তরুণদের আহ্বান জানান।’ 

আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাসুম বিল্লাহ। এ ছাড়া আরও আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক স্বকৃত নোমান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, প্রজন্ম ’৭১-এর সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন আব্বাস, ডিবিসি নিউজের পরিচালক সালাউদ্দিন চৌধুরী, যুব মহিলা লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত