Ajker Patrika

কনজাংটিভাইটিস

মো. আরমান বিন আজিজ
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ৩৮
কনজাংটিভাইটিস

চোখ ওঠা একটি স্পর্শকাতর রোগ। চিকিৎসা পরিভাষায় এটি কনজাংটিভাইটিস বা রেড/পিংক আই নামে পরিচিত। কনজাংটিভা নামে চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে তাকে সাধারণত চোখ ওঠা রোগ বলা হয়।

চোখ ওঠা ভাইরাসজনিত ও অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে রোগ। ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জির কারণেও চোখ ওঠে। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত চোখ কিছুদিন পর ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এটি আশপাশে অনেককেই আক্রান্ত করে বা করতে পারে। কারও হয়তো তিন দিনে ভালো হয়ে যায়, কারও তিন সপ্তাহও লাগতে পারে। সেটা নির্ভর করে কোন ধরনের ভাইরাস চোখ আক্রান্ত করেছে এবং সেই রোগীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কেমন, তার ওপর।

যেভাবে ছড়ায়

চোখে প্রদাহ হলে অশ্রুতে ভাইরাস ভেসে বেড়ায়। এই অশ্রু মোছার সময় তা হাতে লাগে। এর পর থেকে সেই হাত দিয়ে যা কিছুই ছোঁয়া হোক না কেন, সেখানে ভাইরাস সংক্রমিত হয়। যেমন কারও সঙ্গে করমর্দন, টিভি বা এয়ারকন্ডিশনার রিমোট, ব্যবহৃত তোয়ালে, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, মুঠোফোন ইত্যাদি। তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে এ সময় বাসায় থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, পিচুটি জমে চোখ বন্ধ হয়ে থাকা, অনেক সময় চোখের পাতা ফুলে যাওয়া এগুলো সাধারণ লক্ষণ। কারও চোখের কর্নিয়া আক্রান্ত হলে তার দৃষ্টি ঝাপসা হয় এবং আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

  • চোখের পানি বা ময়লা মোছার জন্য আলাদা তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করা ও পরিচ্ছন্ন থাকা।
  • ধুলাবালু থেকে চোখ রক্ষা করতে কালো চশমা ব্যবহার।
  • বাইরের পানি দিয়ে ঝাপটা না দেওয়া। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পানির মাধ্যমেই সংক্রমণ বেশি হয়।
  • চোখের পাতা বেশি ফুলে গেলে হালকা সেঁক দেওয়া।
  • হাত না ধুয়ে যখন-তখন চোখ ঘষা বা চুলকানো বন্ধ করা।
  • চোখ ওঠা শিশুদের আলাদা বিছানায় শোয়ানো।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ও ওষুধ সেবন করা।

লেখক: সাবেক ফ্যাকাল্টি ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত