ডা. নূরজাহান বেগম
সবকিছু পেছনে ফেলে কোরবানির ঈদ আসছে। এই ঈদের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে রান্না আর খাওয়াদাওয়া। ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকটা দিন চলবে প্রতি বেলায় মাংসের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবারের সমাহার। ক্যালরি মেপে হিসাব করে মাংস খাওয়া খুবই মুশকিলের ব্যাপার এ সময়; বিশেষ করে শিশুদের জন্য, যাদের অধিকাংশের কাছে মাংস মানেই আনন্দ।
কোরবানির ঈদ মানে গরু কিংবা খাসির মাংস, যা লাল মাংস হিসেবে পরিচিত। অনেকেই এই লাল মাংস শিশুদের খাওয়াতে ভয় পান। তবে লাল মাংস বিভিন্ন পুষ্টিগুণে পূর্ণ। এটি উৎকৃষ্ট প্রোটিন এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জিংক, বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য প্রয়োজন।
বিভিন্ন পেডিয়াট্রিকস অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ছয় মাস বয়স থেকে বাড়তি খাবারের একটা অংশ হিসেবে লাল ও সাদা উভয় ধরনের মাংস খাওয়ানো যাবে। তবে প্রতি দুই-তিন দিন পরপর একটা করে নতুন খাবার যোগ করতে হবে খাদ্যতালিকায় এবং লক্ষ করতে হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, নতুন খাবারে।
একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ ৮৫ গ্রাম বা ৩ আউন্স মাংস নিরাপদে খেতে পারেন। এতে ১৭৩ থেকে ১৭৫ গ্রাম ক্যালরি এবং ২৫ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। তবে যাঁরা অসুস্থ কিংবা যাঁদের প্রোটিন খাওয়া নিষেধ, তাঁদের মাংস না খাওয়াই ভালো।
এ ছাড়া যেসব শিশুর ডায়াবেটিস আছে, কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে কিংবা অতিরিক্ত ওজন, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেসব শিশু কতটুকু মাংস খাচ্ছে, সেটা নজরে রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে আগে থেকে ধারণা দিয়ে রাখতে হবে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর অতিরিক্ত মাংসের প্রভাব সম্পর্কে। এ ক্ষেত্রে মাংস রান্না করার আগে গরম পানি দিয়ে সেদ্ধ করে চর্বি সরিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া অ্যালার্জি কিংবা হজমে সমস্যা হচ্ছে কি না, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে।
উচ্চ তাপমাত্রায় মাংস রান্না করা হলে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট তৈরি হয়। তাই অল্প আঁচে উচ্চ চাপে ভালো করে সেদ্ধ করে রান্না করলে মাংসের সবটুকু উপকার পাওয়া যাবে।
ঈদের এই খুশি যেন অসুস্থতার ছোঁয়ায় নষ্ট না হয়, তাই অতিরিক্ত জনসমাগম যথাসাধ্য এড়িয়ে ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়গুলো মেনে চলতে হবে।
ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
সবকিছু পেছনে ফেলে কোরবানির ঈদ আসছে। এই ঈদের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে রান্না আর খাওয়াদাওয়া। ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকটা দিন চলবে প্রতি বেলায় মাংসের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবারের সমাহার। ক্যালরি মেপে হিসাব করে মাংস খাওয়া খুবই মুশকিলের ব্যাপার এ সময়; বিশেষ করে শিশুদের জন্য, যাদের অধিকাংশের কাছে মাংস মানেই আনন্দ।
কোরবানির ঈদ মানে গরু কিংবা খাসির মাংস, যা লাল মাংস হিসেবে পরিচিত। অনেকেই এই লাল মাংস শিশুদের খাওয়াতে ভয় পান। তবে লাল মাংস বিভিন্ন পুষ্টিগুণে পূর্ণ। এটি উৎকৃষ্ট প্রোটিন এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জিংক, বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য প্রয়োজন।
বিভিন্ন পেডিয়াট্রিকস অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ছয় মাস বয়স থেকে বাড়তি খাবারের একটা অংশ হিসেবে লাল ও সাদা উভয় ধরনের মাংস খাওয়ানো যাবে। তবে প্রতি দুই-তিন দিন পরপর একটা করে নতুন খাবার যোগ করতে হবে খাদ্যতালিকায় এবং লক্ষ করতে হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, নতুন খাবারে।
একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ ৮৫ গ্রাম বা ৩ আউন্স মাংস নিরাপদে খেতে পারেন। এতে ১৭৩ থেকে ১৭৫ গ্রাম ক্যালরি এবং ২৫ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। তবে যাঁরা অসুস্থ কিংবা যাঁদের প্রোটিন খাওয়া নিষেধ, তাঁদের মাংস না খাওয়াই ভালো।
এ ছাড়া যেসব শিশুর ডায়াবেটিস আছে, কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে কিংবা অতিরিক্ত ওজন, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেসব শিশু কতটুকু মাংস খাচ্ছে, সেটা নজরে রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে আগে থেকে ধারণা দিয়ে রাখতে হবে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর অতিরিক্ত মাংসের প্রভাব সম্পর্কে। এ ক্ষেত্রে মাংস রান্না করার আগে গরম পানি দিয়ে সেদ্ধ করে চর্বি সরিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া অ্যালার্জি কিংবা হজমে সমস্যা হচ্ছে কি না, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে।
উচ্চ তাপমাত্রায় মাংস রান্না করা হলে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট তৈরি হয়। তাই অল্প আঁচে উচ্চ চাপে ভালো করে সেদ্ধ করে রান্না করলে মাংসের সবটুকু উপকার পাওয়া যাবে।
ঈদের এই খুশি যেন অসুস্থতার ছোঁয়ায় নষ্ট না হয়, তাই অতিরিক্ত জনসমাগম যথাসাধ্য এড়িয়ে ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়গুলো মেনে চলতে হবে।
ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
গবেষকেরা বলছেন, ওজন কমানো এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধের প্রভাবে মস্তিষ্কে পরিবর্তন আসে, যার কারণে বিষণ্নতার ঝুঁকি তৈরি হয়। এই ওষুধগুলো হরমোনে প্রভাব ফেলে, রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষুধা দমন করে। তবে, গবেষণায় দেখা গেছে, এই ওষুধগুলো মস্তিষ্কের সেই অংশগুলোর ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে...
২ ঘণ্টা আগেপুরুষদের জন্য নতুন একটি জন্মনিরোধক আনার চেষ্টা করা হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। অবশেষে হয়তো বিজ্ঞানীরা সফল হতে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক এক ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে’ দেখা গেছে, পুরুষের শুক্রাণু নালিতে স্থাপনযোগ্য এই জন্মনিরোধক দুই বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকতে পারে। এই জন্মনিরোধক স্থাপনে শরীরের হরমোনে কোনো পরিবর্তন আসে
১ দিন আগেআধুনিক সমাজে আমাদের একধরনের ব্যস্ততা আছে, তাড়া আছে। কোনো কিছুতেই যেন সময় হয়ে উঠছে না আমাদের। প্রতিদিন রান্না করার বিষয়টিও সেই সময়সংকটের মধ্যে পড়েছে। ফলে এখন এক দিনেই বেশি রান্নার পর একাধিক দিন গরম করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। অথচ রান্না করা খাবার পুনরায় গরম করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে...
১ দিন আগেহিমোফিলিয়া একটি বিরল অথচ গুরুতর ধরনের রক্তক্ষরণজনিত রোগ। এটি সাধারণত বংশগত কারণে হয়। তবে মাঝে মাঝে কোনো জিনগত পরিবর্তনের কারণেও কেউ জন্মসূত্রে হিমোফিলিয়া নিয়ে জন্মায়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধানোর জন্য প্রয়োজনীয় একটি নির্দিষ্ট ক্লটিং ফ্যাক্টরের ঘাটতি থাকে। ফলে সামান্য আঘাতেও..
১ দিন আগে