সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোর অভিশংসনকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে সহিংস বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের জেরে গতকাল দেশটির দুজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পেরুর সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী ও পেদ্রো কাস্তিলোর সমর্থকদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আয়াকুচো অঞ্চলে সংঘর্ষে আরও আটজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত বিক্ষোভে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ায় হাজার হাজার পর্যটক কুসকো শহরে আটকা পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা প্রধান সড়ক ও বিমানবন্দর অবরোধ করে রেখেছেন।
কুসকোর মেয়র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দর অবরোধ করে রাখায় প্রায় ৫ হাজার পর্যটক শহরে আটকা পড়েছে।’
পদত্যাগ করা দুই মন্ত্রীর একজন শিক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া কোরেয়া। পদত্যাগের পর তিনি এক টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘দেশের মানুষের এভাবে মৃত্যুর কোনো যুক্তি নেই।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পদত্যাগ করা অপর মন্ত্রীর নাম জাইর পেরেজ। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সহিংসতায় অনেক মানুষের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে টুইটারে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
গত ৭ ডিসেম্বর পেরুর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণের পরে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দিনা বোলুয়ার্তে।
এর আগে কাস্তিলো বলেছিলেন, তিনি কংগ্রেসের পরিবর্তে একটি ‘ব্যতিক্রমী জরুরি সরকারের মাধ্যমে’ দেশ পরিচালনা করবেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তেসহ অন্যান্য সংসদ সদস্য। তাঁরা জরুরি বৈঠক করে প্রেসিডেন্ট কাস্তিলোকে অপসারণ করেন। এরপর তাঁকে আটক করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর থেকে কারাবন্দী পেদ্রো কাস্তিলোর মুক্তি এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। ৫৩ বছর বয়সী পেদ্রো এখন পেরুর রাজধানী লিমায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। ইতিমধ্যে মেক্সিকোতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। পেদ্রোর আবেদনটি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে চলমান বিক্ষোভ থামাতে গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) জরুরি অবস্থা জারি করেছে পেরুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলবার্তো ওতারোলা ভাঙচুর ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ৩০ দিনের তৎপরতা ঘোষণা করেন, যার মধ্যে রয়েছে স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও সমাবেশ স্থগিতসহ কারফিউ জারির মতো পদক্ষেপ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাঁর ঘোষণায় বলেন, ‘ব্যক্তিগত সম্পত্তি, কৌশলগত অবকাঠামোসহ জনগণের নিরাপত্তায় দেশের পুলিশ সশস্ত্র বাহিনীকে সব রকমের সহায়তা করবে।’
কাস্তিলোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগের শুনানি শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোর অভিশংসনকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে সহিংস বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের জেরে গতকাল দেশটির দুজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পেরুর সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী ও পেদ্রো কাস্তিলোর সমর্থকদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আয়াকুচো অঞ্চলে সংঘর্ষে আরও আটজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত বিক্ষোভে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ায় হাজার হাজার পর্যটক কুসকো শহরে আটকা পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা প্রধান সড়ক ও বিমানবন্দর অবরোধ করে রেখেছেন।
কুসকোর মেয়র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দর অবরোধ করে রাখায় প্রায় ৫ হাজার পর্যটক শহরে আটকা পড়েছে।’
পদত্যাগ করা দুই মন্ত্রীর একজন শিক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া কোরেয়া। পদত্যাগের পর তিনি এক টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘দেশের মানুষের এভাবে মৃত্যুর কোনো যুক্তি নেই।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পদত্যাগ করা অপর মন্ত্রীর নাম জাইর পেরেজ। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সহিংসতায় অনেক মানুষের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে টুইটারে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
গত ৭ ডিসেম্বর পেরুর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণের পরে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দিনা বোলুয়ার্তে।
এর আগে কাস্তিলো বলেছিলেন, তিনি কংগ্রেসের পরিবর্তে একটি ‘ব্যতিক্রমী জরুরি সরকারের মাধ্যমে’ দেশ পরিচালনা করবেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তেসহ অন্যান্য সংসদ সদস্য। তাঁরা জরুরি বৈঠক করে প্রেসিডেন্ট কাস্তিলোকে অপসারণ করেন। এরপর তাঁকে আটক করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর থেকে কারাবন্দী পেদ্রো কাস্তিলোর মুক্তি এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। ৫৩ বছর বয়সী পেদ্রো এখন পেরুর রাজধানী লিমায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। ইতিমধ্যে মেক্সিকোতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। পেদ্রোর আবেদনটি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে চলমান বিক্ষোভ থামাতে গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) জরুরি অবস্থা জারি করেছে পেরুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলবার্তো ওতারোলা ভাঙচুর ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ৩০ দিনের তৎপরতা ঘোষণা করেন, যার মধ্যে রয়েছে স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও সমাবেশ স্থগিতসহ কারফিউ জারির মতো পদক্ষেপ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাঁর ঘোষণায় বলেন, ‘ব্যক্তিগত সম্পত্তি, কৌশলগত অবকাঠামোসহ জনগণের নিরাপত্তায় দেশের পুলিশ সশস্ত্র বাহিনীকে সব রকমের সহায়তা করবে।’
কাস্তিলোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগের শুনানি শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত সরকারের বয়ান নিয়ে সন্দিহান পাকিস্তান। ফলে এ ঘটনার তদন্তে চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিগুলোকে দেখতে চায় দেশটি। বিদ্যমান উত্তেজনা নিরসনে ইরানের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। অন্যদিকে এ হামলায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদে
৬ ঘণ্টা আগেভয়াবহ শিকার কাশ্মীরের পেহেলগামে আবারও ফিরতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। সম্প্রতি গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপভোগ করতে আসা ২৬ জন পর্যটক এই হামলায় প্রাণ হারান। কিন্তু এ ঘটনার পরেও কিছু পর্যটক তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী আবারও সেখানে ঘুরতে এসেছেন। ঘুরতে আসা পর্যটকদের সবার মুখে প্রায় একই কথা শোনা
৬ ঘণ্টা আগেবিবিসি জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভিতে চারজন অফিসারের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিগুলোতে তাদেরকে কালো পোশাকে, চীনের পতাকা হাতে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিতর্কিত স্যান্ডি কেই রিফে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রতারক ও জালিয়াতদের কাছে বছরের পর বছর ধরে বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন ছিলেন এফবিআই-এর বিশেষ আর্ট ক্রাইম টিমের সদস্য রনি ওয়াকার। তবে তাঁর আসল পরিচয় ছিল গোপন। তিনি ছিলেন ছদ্মবেশী এক গোয়েন্দা।
৮ ঘণ্টা আগে