Ajker Patrika

থাইরয়েডের সমস্যায় মিসক্যারেজ হয়

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১০: ২৩
থাইরয়েডের সমস্যায় মিসক্যারেজ হয়

প্রশ্ন: থাইরয়েড হরমোনের সঙ্গে কি গর্ভধারণ করতে পারা বা না পারার সম্পর্ক আছে? আমার হাইপার থাইরয়েডিজম আছে। কনসিভ করতে পারছি না। কোন ধরনের চিকিৎসা নিতে হবে? পল্লবী সরকার, মিরপুর, ঢাকা

উত্তর: হাইপারথাইরয়েডিজম ও হাইপোথাইরয়েডিজম—দুটোর কারণেই কনসিভ করতে সমস্যা হতে পারে। যাঁদের অ্যান্টিবডি পজিটিভ থাকে, তাঁদের থাইরয়েড ফাংশন স্বাভাবিক থাকলেও গর্ভধারণ করতে সমস্যা হতে পারে। যাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তাঁদের ভ্রূণ ইমপ্লান্টেশনের সমস্যা হয়, তাই কনসিভ হয় না বা হলেও মিসক্যারেজ হয়ে যায়। শুধু নারীদের নয়, পুরুষের থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও সন্তান নিতে সমস্যা হয়। থাইরয়েডের সমস্যা শুক্রাণুর গুণমান, সংখ্যা ও নড়াচড়ায় বিঘ্ন ঘটায়।

হাইপারথাইরয়েডিজম থেকে গর্ভধারণে অসুবিধা হতে পারে। এ রোগে মাসিক অনিয়মিত হয়, প্রোলাক্টিন হরমোন বেড়ে গিয়ে ডিম্বাণু পরিস্ফুটনে সমস্যা করতে পারে। যথাযথ চিকিৎসায় হরমোন লেবেল স্বাভাবিক হলে সন্তান নেওয়া সম্ভব। আপনি একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।  

প্রশ্ন: প্রেগন্যান্সি ডায়াবেটিসের জন্য খাদ্যাভ্যাসে কি কোনো পরিবর্তন আনতে হবে? প্রসবের পরও কি এই ডায়াবেটিস স্থায়ী হয়ে যেতে পারে? সালমা জাহান বিউটি, বগুড়া

উত্তর: গর্ভাবস্থায় যে ডায়াবেটিস হয়, তাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলে। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে সন্তান জন্মের পর এই ডায়াবেটিস আর থাকে না। তবে পরে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ফলোআপে থাকতে হবে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আমরা তিন বেলার খাবার ছয় বেলায় ভেঙে খেতে বলি। প্রতিবার খাবারে শর্করাজাতীয় খাবার (ভাত, রুটি ইত্যাদি) কম পরিমাণে খাবেন। মাটির নিচের সবজি—যেমন আলু, কচু, ওল, গাজর, শালগম কম খাবেন। মিষ্টিকুমড়া কম খাবেন। তবে অন্য সবজি স্বাভাবিক পরিমাণে খেতে পারবেন। সবুজ আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, আমড়ার মতো ফল খেতে পারবেন। চিনি, মিষ্টি ও মধু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চর্বিজাতীয় খাবার কম খাবেন। খাবারের রুটিন ঠিক করতে ও পরিমাণ জানতে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞপ্রশ্ন: আমার মায়ের ডায়াবেটিস আছে। ক্রিয়েটিনিনও বর্ডারে। তাঁর খাদ্যাভ্যাস ও চিকিৎসা কেমন হবে? রুবেল রায়হান, খুলনা

উত্তর: চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। তিন বেলার খাবার ছয় বেলায় ভাগ করে খেতে হবে। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা যাবে না। আবার একবারে বেশি শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। মিষ্টি রসাল ফল, যেমন মাল্টা, আম, কাঁঠাল কম পরিমাণে খাবেন বা খাবেন না। রাতে শোয়ার আগে হালকা নাশতা, যেমন দুধ ও ছোট্ট একটা বিস্কুট খেয়ে ঘুমান, যেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া না হয়। সেরাম ক্রিয়েটিনিন আরও বাড়তে থাকলে লাল মাংস, বীজজাতীয় খাবার এবং ডাল কম খাবেন। 

পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত