কখনো স্কুল ও দূতাবাসে পাথর ছুড়ে, কখনো বয়কটের হুমকি দিয়ে, আবার কখনো হয়রানিমূলক ফোনকল দিয়ে চলছে জাপানের বিরুদ্ধে চীনাদের অসন্তোষ প্রকাশ। এ অসন্তোষের কারণ হলো জাপানের ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের বর্জ্য পানি সমুদ্রে নিষ্কাশন। বিজ্ঞানীদের দাবি, এর প্রভাব হবে অত্যন্ত নগণ্য। তবুও চীন কঠোরভাবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, ভুল তথ্য চীনের ভয় আর সন্দেহকে কেবল বাড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণকারী সংস্থা লজিক্যালির উদ্দেশ্য ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই। তাদের এক প্রতিবেদন অনুসারে, জানুয়ারি থেকে চীন সরকার ও দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বর্জ্যপানি ছাড়াকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য প্রচার করছে।
এরই অংশ হিসেবে চীনের প্রধান প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলো পারমাণবিক বর্জ্য পানি ছাড়ার পেছনের বিজ্ঞান নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলেছে।
গত ২৪ আগস্ট পানি ছাড়ার পর থেকে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জাপানের সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেইজিং।
কয়েক দিন আগে চীনের কিংদাও শহরে জাপানি শিশুদের স্কুলে পাথর নিক্ষেপ করা হয় ও শানডংয়ের আরেকটি স্কুলমাঠে ডিম ছোড়া হয়। এ সপ্তাহেই বেইজিংয়ে অবস্থিত জাপানের দূতাবাসে ইট ছোড়া হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত চীনে কোনো জাপানি নাগরিক হতাহত হওয়ার বা কোনো সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বেইজিংয়ের কাছে নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করেছে টোকিও।
এমনকি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার ও প্রকাশ্যে জোরে জাপানি ভাষায় কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জাপানি নাগরিকের নিরাপত্তা দাবির জবাবে বলেছেন, ‘চীন সব সময় সেখানে অবস্থানরত বিদেশিদের নিরাপত্তা, নৈতিক অধিকার ও সুবিধার প্রতি খেয়াল রাখে।’ বেইজিং জাপানের উদ্বেগের বিষয়টি দেখছে বলেও জানান তিনি।
লজিক্যালির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পূর্বসতর্কতা ছাড়াই বর্জ্যপানি নিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছিল। বর্জ্যপানি ছাড়ার ফলে ঝুঁকি নিয়ে তৈরি এ বিজ্ঞাপনগুলো ইংরেজি, জার্মান ও খেমার ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষায় ও বিভিন্ন দেশে প্রচার করা হয়।
লজিক্যালিতে কর্মরত চীনা বিশেষজ্ঞ হামসিনি হারিহারান বলেন, ‘এটি যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ তা স্পষ্ট। চীন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত সূত্র থেকে পাওয়া এ বিভ্রান্তিমূলক তথ্যগুলো জনরোষ আরও তীব্র করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চীনের এ উদ্বেগ মোটেও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে নয়, কারণ চীন নিজেই খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কয়েকটি বিতর্কের সঙ্গে জড়িত। বিশ্ব ব্যবস্থায় চীন সব সময় নিজেকে “বিকল্প নেতা” হিসেবে উপস্থাপন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোকে অসম বৈশ্বিক ব্যবস্থার প্রচারক হিসেবে উপস্থাপন করেছে।’
চীনা সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে দেখা যায়, ফুকুশিমার পানি ছাড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষ লবণের বড় বড় বস্তা কিনছে। কেউ কেউ চিন্তিত ভবিষ্যতের লবণগুলো দূষিত হতে পারে।
সাংহাইয়ের এক রেস্তোরাঁ এ হুজুগের সুযোগে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় ‘অ্যান্টি–রেডিয়েশন’ বা ‘তেজস্ক্রিয়তা–বিরোধী’ খাবার তৈরির ভুয়া দাবি করে। তারা দাবি করে, তাদের ‘অ্যান্টি–রেডিয়েশন’ খাবার ত্বকের ক্ষতি কমাবে ও কোষের ক্ষতি পুষিয়ে দেবে।
কখনো স্কুল ও দূতাবাসে পাথর ছুড়ে, কখনো বয়কটের হুমকি দিয়ে, আবার কখনো হয়রানিমূলক ফোনকল দিয়ে চলছে জাপানের বিরুদ্ধে চীনাদের অসন্তোষ প্রকাশ। এ অসন্তোষের কারণ হলো জাপানের ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের বর্জ্য পানি সমুদ্রে নিষ্কাশন। বিজ্ঞানীদের দাবি, এর প্রভাব হবে অত্যন্ত নগণ্য। তবুও চীন কঠোরভাবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, ভুল তথ্য চীনের ভয় আর সন্দেহকে কেবল বাড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণকারী সংস্থা লজিক্যালির উদ্দেশ্য ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই। তাদের এক প্রতিবেদন অনুসারে, জানুয়ারি থেকে চীন সরকার ও দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বর্জ্যপানি ছাড়াকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য প্রচার করছে।
এরই অংশ হিসেবে চীনের প্রধান প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলো পারমাণবিক বর্জ্য পানি ছাড়ার পেছনের বিজ্ঞান নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলেছে।
গত ২৪ আগস্ট পানি ছাড়ার পর থেকে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জাপানের সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেইজিং।
কয়েক দিন আগে চীনের কিংদাও শহরে জাপানি শিশুদের স্কুলে পাথর নিক্ষেপ করা হয় ও শানডংয়ের আরেকটি স্কুলমাঠে ডিম ছোড়া হয়। এ সপ্তাহেই বেইজিংয়ে অবস্থিত জাপানের দূতাবাসে ইট ছোড়া হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত চীনে কোনো জাপানি নাগরিক হতাহত হওয়ার বা কোনো সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বেইজিংয়ের কাছে নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করেছে টোকিও।
এমনকি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার ও প্রকাশ্যে জোরে জাপানি ভাষায় কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জাপানি নাগরিকের নিরাপত্তা দাবির জবাবে বলেছেন, ‘চীন সব সময় সেখানে অবস্থানরত বিদেশিদের নিরাপত্তা, নৈতিক অধিকার ও সুবিধার প্রতি খেয়াল রাখে।’ বেইজিং জাপানের উদ্বেগের বিষয়টি দেখছে বলেও জানান তিনি।
লজিক্যালির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পূর্বসতর্কতা ছাড়াই বর্জ্যপানি নিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছিল। বর্জ্যপানি ছাড়ার ফলে ঝুঁকি নিয়ে তৈরি এ বিজ্ঞাপনগুলো ইংরেজি, জার্মান ও খেমার ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষায় ও বিভিন্ন দেশে প্রচার করা হয়।
লজিক্যালিতে কর্মরত চীনা বিশেষজ্ঞ হামসিনি হারিহারান বলেন, ‘এটি যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ তা স্পষ্ট। চীন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত সূত্র থেকে পাওয়া এ বিভ্রান্তিমূলক তথ্যগুলো জনরোষ আরও তীব্র করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চীনের এ উদ্বেগ মোটেও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে নয়, কারণ চীন নিজেই খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কয়েকটি বিতর্কের সঙ্গে জড়িত। বিশ্ব ব্যবস্থায় চীন সব সময় নিজেকে “বিকল্প নেতা” হিসেবে উপস্থাপন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোকে অসম বৈশ্বিক ব্যবস্থার প্রচারক হিসেবে উপস্থাপন করেছে।’
চীনা সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে দেখা যায়, ফুকুশিমার পানি ছাড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষ লবণের বড় বড় বস্তা কিনছে। কেউ কেউ চিন্তিত ভবিষ্যতের লবণগুলো দূষিত হতে পারে।
সাংহাইয়ের এক রেস্তোরাঁ এ হুজুগের সুযোগে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় ‘অ্যান্টি–রেডিয়েশন’ বা ‘তেজস্ক্রিয়তা–বিরোধী’ খাবার তৈরির ভুয়া দাবি করে। তারা দাবি করে, তাদের ‘অ্যান্টি–রেডিয়েশন’ খাবার ত্বকের ক্ষতি কমাবে ও কোষের ক্ষতি পুষিয়ে দেবে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত সরকারের বয়ান নিয়ে সন্দিহান পাকিস্তান। ফলে এ ঘটনার তদন্তে চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিগুলোকে দেখতে চায় দেশটি। বিদ্যমান উত্তেজনা নিরসনে ইরানের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। অন্যদিকে এ হামলায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদে
৮ ঘণ্টা আগেভয়াবহ শিকার কাশ্মীরের পেহেলগামে আবারও ফিরতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। সম্প্রতি গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপভোগ করতে আসা ২৬ জন পর্যটক এই হামলায় প্রাণ হারান। কিন্তু এ ঘটনার পরেও কিছু পর্যটক তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী আবারও সেখানে ঘুরতে এসেছেন। ঘুরতে আসা পর্যটকদের সবার মুখে প্রায় একই কথা শোনা
৮ ঘণ্টা আগেবিবিসি জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভিতে চারজন অফিসারের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিগুলোতে তাদেরকে কালো পোশাকে, চীনের পতাকা হাতে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিতর্কিত স্যান্ডি কেই রিফে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রতারক ও জালিয়াতদের কাছে বছরের পর বছর ধরে বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন ছিলেন এফবিআই-এর বিশেষ আর্ট ক্রাইম টিমের সদস্য রনি ওয়াকার। তবে তাঁর আসল পরিচয় ছিল গোপন। তিনি ছিলেন ছদ্মবেশী এক গোয়েন্দা।
১০ ঘণ্টা আগে