নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চালুর প্রথম সপ্তাহে ভালো সাড়া ছিল সর্বজনীন পেনশন স্কিমে। প্রথম সপ্তাহেই যুক্ত হন ৮ হাজার ৪১ জন। তবে প্রথম মাস শেষে এই সংখ্যা ১২ হাজার ৯৫৯ জন। অর্থাৎ পরের তিন সপ্তাহে যোগ হয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৯৫৯ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের বুঝে উঠতে সময় লাগছে। এ ছাড়া পেনশন নিয়ে নানা বক্তব্য মানুষের মধ্যে হয়তো সংশয় তৈরি করছে। এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এটি রাষ্ট্রের কর্মসূচি, তাই কোনো সংশয় নেই। এক মাসের হিসাব দিয়ে মূল্যায়ন সম্ভব নয়। মানুষকে বোঝানো গেলে এতে অংশগ্রহণ বাড়বেই।
গত ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় সর্বজনীন পেনশন স্কিম। প্রথম মাসে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ এই স্কিমে যুক্ত হয়ে চাঁদা দিয়েছেন ৭ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, মোট চাঁদাদাতার প্রায় অর্ধেক ‘প্রগতি’ স্কিমের বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। প্রগতিতে চাঁদা দিয়েছেন ৬ হাজার ২০৩ জন। তাঁদের জমার পরিমাণ ৪ কোটি ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।
স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য ‘সুরক্ষা’ স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন ৫ হাজার ৩৬ জন, যা মোট চাঁদাদাতার ৩৮ শতাংশ। তাঁদের জমার পরিমাণ ২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। নিম্ন আয়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য নেওয়া ‘সমতা’ স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন ১ হাজার ৩৬২ জন, চাঁদার পরিমাণ ২২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। তবে প্রবাসীদের জন্য চালু করা ‘প্রবাস’ স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন মাত্র ৩৯৮ জন। তাঁদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্যোগটা প্রশংসনীয়, তবে মাস শেষে সংখ্যাটা আমার কাছে কমই মনে হয়। তবে লোকের এটা বুঝে উঠতেও সময় লাগবে। আবার যাঁরা পেনশনে চাঁদা দিয়ে অংশ নেবেন, তাঁদের মনে হয়তো সংশয় আছে, মেয়াদ শেষে টাকাটা পাবেন কি না? আস্তে আস্তে সংখ্যা বাড়তে পারে।’
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এক মাসের হিসাব দিয়ে পেনশন স্কিমের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। পেনশনের চারটি স্কিমের মধ্যে প্রবাস স্কিমে গ্রাহক অনেক কম। বিদেশে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সংযুক্ত করতে একটু সময় লাগবে।
অনেকে মনে করছেন, পেনশন স্কিম নিয়ে নানামুখী বক্তব্য মানুষের মনে হয়তো সংশয় ও দ্বিধা তৈরি করেছে। সরকার ও বিরোধী দল নানা বক্তব্য দিচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় না এলে পেনশনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি সর্বজনীন পেনশন নিয়ে অপপ্রচার ঠেকানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, উন্নয়নকাজের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে সরকার ঋণ নিতে পারবে।
পেনশন চালুর পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পেনশন স্কিমের নামে সরকার নির্বাচনী তহবিল তৈরির ফন্দি করছে।
বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্যের কোনো প্রভাব পেনশন স্কিমে পড়ছে কি না, এমন প্রশ্নে এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সব সময়ই থাকবে। সেটা অন্য বিষয়। তবে যাঁরা পেনশনে অংশ নেবেন, তাঁদের মনে যাতে কোনো সংশয় না আসে, সেই উদ্যোগ নিতে হবে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, জাতীয় সংসদে পাস হওয়া আইনের মাধ্যমে পেনশন চালু হয়েছে। সংবিধিবদ্ধভাবে একটি কর্তৃপক্ষও প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই এটি রাষ্ট্রের কর্মসূচি। এ নিয়ে তিনি কোনো ধরনের সংশয় দেখেন না। ধীরে ধীরে মানুষকে বোঝানো গেলে অংশগ্রহণ বাড়বেই।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, যে সংখ্যক মানুষ চাঁদা দিয়েছেন, নিবন্ধনকারীর সংখ্যা এর অন্তত ১০ গুণ। কিন্তু তাঁরা টাকা জমা না দেওয়ায় আবেদন সম্পূর্ণ হয়নি।
চালুর প্রথম সপ্তাহে ভালো সাড়া ছিল সর্বজনীন পেনশন স্কিমে। প্রথম সপ্তাহেই যুক্ত হন ৮ হাজার ৪১ জন। তবে প্রথম মাস শেষে এই সংখ্যা ১২ হাজার ৯৫৯ জন। অর্থাৎ পরের তিন সপ্তাহে যোগ হয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৯৫৯ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের বুঝে উঠতে সময় লাগছে। এ ছাড়া পেনশন নিয়ে নানা বক্তব্য মানুষের মধ্যে হয়তো সংশয় তৈরি করছে। এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এটি রাষ্ট্রের কর্মসূচি, তাই কোনো সংশয় নেই। এক মাসের হিসাব দিয়ে মূল্যায়ন সম্ভব নয়। মানুষকে বোঝানো গেলে এতে অংশগ্রহণ বাড়বেই।
গত ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় সর্বজনীন পেনশন স্কিম। প্রথম মাসে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ এই স্কিমে যুক্ত হয়ে চাঁদা দিয়েছেন ৭ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, মোট চাঁদাদাতার প্রায় অর্ধেক ‘প্রগতি’ স্কিমের বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। প্রগতিতে চাঁদা দিয়েছেন ৬ হাজার ২০৩ জন। তাঁদের জমার পরিমাণ ৪ কোটি ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।
স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য ‘সুরক্ষা’ স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন ৫ হাজার ৩৬ জন, যা মোট চাঁদাদাতার ৩৮ শতাংশ। তাঁদের জমার পরিমাণ ২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। নিম্ন আয়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য নেওয়া ‘সমতা’ স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন ১ হাজার ৩৬২ জন, চাঁদার পরিমাণ ২২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। তবে প্রবাসীদের জন্য চালু করা ‘প্রবাস’ স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন মাত্র ৩৯৮ জন। তাঁদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্যোগটা প্রশংসনীয়, তবে মাস শেষে সংখ্যাটা আমার কাছে কমই মনে হয়। তবে লোকের এটা বুঝে উঠতেও সময় লাগবে। আবার যাঁরা পেনশনে চাঁদা দিয়ে অংশ নেবেন, তাঁদের মনে হয়তো সংশয় আছে, মেয়াদ শেষে টাকাটা পাবেন কি না? আস্তে আস্তে সংখ্যা বাড়তে পারে।’
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এক মাসের হিসাব দিয়ে পেনশন স্কিমের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। পেনশনের চারটি স্কিমের মধ্যে প্রবাস স্কিমে গ্রাহক অনেক কম। বিদেশে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সংযুক্ত করতে একটু সময় লাগবে।
অনেকে মনে করছেন, পেনশন স্কিম নিয়ে নানামুখী বক্তব্য মানুষের মনে হয়তো সংশয় ও দ্বিধা তৈরি করেছে। সরকার ও বিরোধী দল নানা বক্তব্য দিচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় না এলে পেনশনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি সর্বজনীন পেনশন নিয়ে অপপ্রচার ঠেকানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, উন্নয়নকাজের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে সরকার ঋণ নিতে পারবে।
পেনশন চালুর পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পেনশন স্কিমের নামে সরকার নির্বাচনী তহবিল তৈরির ফন্দি করছে।
বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্যের কোনো প্রভাব পেনশন স্কিমে পড়ছে কি না, এমন প্রশ্নে এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সব সময়ই থাকবে। সেটা অন্য বিষয়। তবে যাঁরা পেনশনে অংশ নেবেন, তাঁদের মনে যাতে কোনো সংশয় না আসে, সেই উদ্যোগ নিতে হবে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, জাতীয় সংসদে পাস হওয়া আইনের মাধ্যমে পেনশন চালু হয়েছে। সংবিধিবদ্ধভাবে একটি কর্তৃপক্ষও প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই এটি রাষ্ট্রের কর্মসূচি। এ নিয়ে তিনি কোনো ধরনের সংশয় দেখেন না। ধীরে ধীরে মানুষকে বোঝানো গেলে অংশগ্রহণ বাড়বেই।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, যে সংখ্যক মানুষ চাঁদা দিয়েছেন, নিবন্ধনকারীর সংখ্যা এর অন্তত ১০ গুণ। কিন্তু তাঁরা টাকা জমা না দেওয়ায় আবেদন সম্পূর্ণ হয়নি।
বাংলাদেশের আরও ৩০ লাখ মানুষের জীবনে নেমে আসতে পারে দারিদ্র্যের অন্ধকার। বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে, চলতি অর্থবছরেই এই বিপর্যয় সামনে আসছে। একসময় যে মানুষগুলো অল্প আয়ের ভেতরেও বুকভরা আশা নিয়ে দিন কাটাত, আজ তারা রুটি-রুজির টানাপোড়েনে নুয়ে পড়ছে।
১ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংকিং খাতে আবারও ঋণ পুনঃ তপসিলের হিড়িক পড়েছে। পুরোনো ধারাবাহিকতায় বছরের পর বছর ঋণ পুনঃ তপসিল করে আড়াল করা হচ্ছে প্রকৃত খেলাপি ঋণের চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালে প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনঃ তপসিল হয়েছে। এর বড় একটি অংশ, প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা পুনঃ তপসিল কর
১ ঘণ্টা আগেগত এক দশকে বাংলাদেশের চামড়াশিল্প টানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে দেশের অন্যান্য রপ্তানিমুখী খাত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেখানে চামড়া খাত বিপরীত চিত্র দেখাচ্ছে। ২০১২ সালে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার, যা ২০২৪ সালে নেমে এসেছে ৯৭ কোটি ডলারে। অর্থাৎ ১০ বছরে বাৎসরিক আয়
১ ঘণ্টা আগেতরুণ স্থপতিদের মেধা ও স্বপ্নকে সম্মান জানাতে ষষ্ঠবারের মতো দেওয়া হলো ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড’। আধুনিক স্থাপত্য ভাবনার দূরদর্শিতা ও সৃজনশীলতায় এগিয়ে থাকা তিনজন শিক্ষার্থী পেলেন এই সম্মাননা। গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন অন্তর্বর্তী
২ ঘণ্টা আগে