নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস (আরআইটিইএস) লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী বগি (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) কেনার চুক্তি হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
রেলওয়রের তথ্যমতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা)।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তিস্বাক্ষরের আগে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে আপনারা যে আমাদের ২০০ ব্রডগেজ ক্যারেজ দিচ্ছেন, এর জন্য ধন্যবাদ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরবরাহের সময়টা চুক্তিতে উল্লেখ করা উচিত। এতে করে একটা পরিকল্পনা থাকে যে, এই সময়ের মধ্যে ক্যারেজগুলো পাওয়া যাবে। জরুরি ভিত্তিতে রেলওয়ের ক্যারেজ দরকার। বিশেষ করে দুইটা সেট আগামী দুই মাসের মধ্যে দেওয়া যায়, তবে সেটা ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রেলের কর্মকর্তারা সবাই দক্ষ কিন্তু স্লো (ধীর)। ওনারা চেষ্টা করে না যে, এটা দুই মাসের মধ্যে বা তিন মাসের মধ্যে দেওয়া সম্ভব। ওনারা মনে করে পাঁচ থেকে ছয় মাস লাগবে। এটা আসলেই আমার জন্য দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ডিজাইনের কোনো বিষয় নয়। বগি তো রেলওয়ে চালাচ্ছেই, শুধুমাত্র নামাজের স্থানটা আপনারা বলে দেবেন। এ ছাড়া তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। এতে করে খুব সমস্যা হবে না।’
অনুষ্ঠানে রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। এর ফলে এসব প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ রেল-যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে।’
রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।’
সংশ্লিষ্ট জানা যায়, প্রকল্পের সময় ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৬। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা)। এতে করে প্রতিটি বগির দাম আসে ৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এটি দেবে ইআইবি, যা ম্যাটেরিয়াল চার্জ। এরপর দেশে বগি আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সেটি খালাস বাবদ আরও ৩৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে। এই অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার, যা প্রায় ৩০৩ কোটি টাকা।
চুক্তি অনুযায়ী সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাসের পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে, যা চলবে ৩৬ মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ১৬ মাসের মধ্যে রেলওয়ে এই বগিগুলো পাবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, ক্যারেজের প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা প্রদান, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন রুটে রেল পরিচালনা, পুরোনো ও আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া যাত্রী ক্যারেজগুলো প্রতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা।
রেলওয়ে বলছে, বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতি সম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি ও পরিবেশবান্ধব হবে। এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
সারা দেশে রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়লেও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে বলে স্বীকার করেছে রেলওয়ে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প দ্রুততার সাথে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। তবে এ প্রকল্প দুটি পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে যাত্রী বহনের সুবিধার্থে সাহায্য করবে।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস (আরআইটিইএস) লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী বগি (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) কেনার চুক্তি হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
রেলওয়রের তথ্যমতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা)।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তিস্বাক্ষরের আগে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে আপনারা যে আমাদের ২০০ ব্রডগেজ ক্যারেজ দিচ্ছেন, এর জন্য ধন্যবাদ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরবরাহের সময়টা চুক্তিতে উল্লেখ করা উচিত। এতে করে একটা পরিকল্পনা থাকে যে, এই সময়ের মধ্যে ক্যারেজগুলো পাওয়া যাবে। জরুরি ভিত্তিতে রেলওয়ের ক্যারেজ দরকার। বিশেষ করে দুইটা সেট আগামী দুই মাসের মধ্যে দেওয়া যায়, তবে সেটা ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রেলের কর্মকর্তারা সবাই দক্ষ কিন্তু স্লো (ধীর)। ওনারা চেষ্টা করে না যে, এটা দুই মাসের মধ্যে বা তিন মাসের মধ্যে দেওয়া সম্ভব। ওনারা মনে করে পাঁচ থেকে ছয় মাস লাগবে। এটা আসলেই আমার জন্য দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ডিজাইনের কোনো বিষয় নয়। বগি তো রেলওয়ে চালাচ্ছেই, শুধুমাত্র নামাজের স্থানটা আপনারা বলে দেবেন। এ ছাড়া তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। এতে করে খুব সমস্যা হবে না।’
অনুষ্ঠানে রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। এর ফলে এসব প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ রেল-যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে।’
রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।’
সংশ্লিষ্ট জানা যায়, প্রকল্পের সময় ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৬। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা)। এতে করে প্রতিটি বগির দাম আসে ৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এটি দেবে ইআইবি, যা ম্যাটেরিয়াল চার্জ। এরপর দেশে বগি আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সেটি খালাস বাবদ আরও ৩৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে। এই অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার, যা প্রায় ৩০৩ কোটি টাকা।
চুক্তি অনুযায়ী সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাসের পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে, যা চলবে ৩৬ মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ১৬ মাসের মধ্যে রেলওয়ে এই বগিগুলো পাবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, ক্যারেজের প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা প্রদান, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন রুটে রেল পরিচালনা, পুরোনো ও আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া যাত্রী ক্যারেজগুলো প্রতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা।
রেলওয়ে বলছে, বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতি সম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি ও পরিবেশবান্ধব হবে। এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
সারা দেশে রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়লেও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে বলে স্বীকার করেছে রেলওয়ে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প দ্রুততার সাথে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। তবে এ প্রকল্প দুটি পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে যাত্রী বহনের সুবিধার্থে সাহায্য করবে।
দেশের আট জেলায় ঝড় ও বজ্রপাতে নারীসহ অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ঘর এবং গাছপালা ভেঙে যাওয়া, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়া এবং ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
২৬ মিনিট আগেমন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীমের মূল দায়িত্ব জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগে। এর অতিরিক্ত হিসেবে তাঁকে প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ, কমিটি ও অর্থনৈতিক অনুবিভাগ এবং অতিরিক্ত সচিবের দপ্তরও সামলাতে হচ্ছে। এই বিভাগের নিচের স্তরের অনেক কর্মকর্তাকেও একাধিক দায়িত্বে রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে১৭ হাজার ৭৭৭ জন মালয়েশিয়া যেতে না পারার পেছনে রিক্রুটিং এজেন্সির দায় রয়েছে বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি। গতকাল রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে কী ব
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘ যে প্রস্তাব দিয়েছে, সরকার তাতে নীতিগতভাবে সম্মত আছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার ঢাকায় সরকারের এ ভাবনার কথা জানান।
৪ ঘণ্টা আগে