প্রতিনিধি কুষ্টিয়া ও ঈশ্বরদী (পাবনা)
ইরি ধান ঘরে উঠেছে মাসখানেক আগে। ধানের মজুত ফুরায়নি। এর মধ্যে দেশের অন্যতম দুই চালের মোকাম পাবনার ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়ায় চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। প্রকারভেদে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ঈশ্বরদী ব্যবসায়ীরা বলছেন, কতিপয় মজুতদার ও মুনাফালোভী কোম্পানির মালিক ও করপোরেট ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে এসব করছেন। ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা বিস্মিত। ক্রেতাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় অস্বাভাবিক হারে চালের দাম বাড়ছেই।
আর কুষ্টিয়ার চালকলমালিকেরা বলছেন, প্রতিদিন বাড়ছে ধানের দাম। সে কারণে বাড়াতে হচ্ছে চালের দাম। তাই মিলগেটে কমপক্ষে ২ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বেড়েছে। তাঁরা ধানের দাম বাড়ার ওপরেও নজরদারির দাবি তুলেছেন।
ঈশ্বরদীর বাজারে এক সপ্তাহ আগে বাসমতী চাল (২৫ কেজি বস্তা) বিক্রি হয় ১ হাজার ৯৫০ টাকায়। গতকাল মঙ্গলবার সেই চাল বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ বস্তায় দাম বেড়েছে ২৫০ টাকা। একইভাবে মিনিকেট চাল ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, বিআর-২৯ চাল (৫০ কেজির বস্তা) ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বাজারেও দামের প্রভাব পড়েছে। প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সাত দিন আগে খুচরা বাজারে এক কেজি বাসমতী চাল ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। গতকাল তা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। এমনিভাবে স্পেশাল বাসমতী চাল ৮০ থেকে বেড়ে ৯০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৭০, বিআর-২৮ চাল ৫২ থেকে ৫৬ এবং বিআর-২৯ চাল ৫৩ থেকে বেড়ে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে কৃষকের কাছে ধান মজুত নেই। দেশের বড় কয়েকটি কোম্পানি ও করপোরেট হাউসের মালিকের হাতে ধান-চালের ব্যবসা চলে গেছে। ওই মালিকেরা বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে ধান কিনে মজুত রেখেছেন। চাহিদার তুলনায় তাঁরা খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে কম বিক্রি করছেন। এ অবস্থায় বাজারে চালের দাম বেড়ে গেছে।
কুষ্টিয়া পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬৪ টাকার মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকায়। কয়েক দিন আগেও ৫৯ টাকায় বিক্রি হওয়া কাজললতা চাল এখন ৬১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পৌর বাজারের চাল ব্যবসায়ী তাইজাল হোসেন জানান, বেশি দামে মোকাম থেকে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, মোটা চাল বর্তমানে পাওয়া যায় না। মোটা চালগুলোই অটোমেশিনে আবার চিকন হয়ে বাজারে আসে। খুচরা বাজারে এক সপ্তাহে প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়েছে গড়ে ৫০ টাকা।
চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটোরাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে জানান, সরু চালের জন্য প্রসিদ্ধ কুষ্টিয়ার মোকামে ধানের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে মিলগেটে চালের দাম কেজিতে কমপক্ষে ৩ টাকা বেড়েছে। তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাস থেকে ধানের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ঈদের পর থেকে সব ধরনের ধানের দাম প্রতি মণে ১৫০ টাকা বেড়েছে। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধান কিন্তু কৃষকের কাছেও নেই, মিলারের কাছেও নেই। অবৈধ মজুতদারেরা সিন্ডিকেট করে ধান মজুত রেখেছেন। তাঁদের ইচ্ছেমতো দামে বাজারে বিক্রি করছেন।
ইরি ধান ঘরে উঠেছে মাসখানেক আগে। ধানের মজুত ফুরায়নি। এর মধ্যে দেশের অন্যতম দুই চালের মোকাম পাবনার ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়ায় চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। প্রকারভেদে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ঈশ্বরদী ব্যবসায়ীরা বলছেন, কতিপয় মজুতদার ও মুনাফালোভী কোম্পানির মালিক ও করপোরেট ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে এসব করছেন। ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা বিস্মিত। ক্রেতাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় অস্বাভাবিক হারে চালের দাম বাড়ছেই।
আর কুষ্টিয়ার চালকলমালিকেরা বলছেন, প্রতিদিন বাড়ছে ধানের দাম। সে কারণে বাড়াতে হচ্ছে চালের দাম। তাই মিলগেটে কমপক্ষে ২ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বেড়েছে। তাঁরা ধানের দাম বাড়ার ওপরেও নজরদারির দাবি তুলেছেন।
ঈশ্বরদীর বাজারে এক সপ্তাহ আগে বাসমতী চাল (২৫ কেজি বস্তা) বিক্রি হয় ১ হাজার ৯৫০ টাকায়। গতকাল মঙ্গলবার সেই চাল বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ বস্তায় দাম বেড়েছে ২৫০ টাকা। একইভাবে মিনিকেট চাল ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, বিআর-২৯ চাল (৫০ কেজির বস্তা) ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বাজারেও দামের প্রভাব পড়েছে। প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সাত দিন আগে খুচরা বাজারে এক কেজি বাসমতী চাল ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। গতকাল তা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। এমনিভাবে স্পেশাল বাসমতী চাল ৮০ থেকে বেড়ে ৯০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৭০, বিআর-২৮ চাল ৫২ থেকে ৫৬ এবং বিআর-২৯ চাল ৫৩ থেকে বেড়ে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে কৃষকের কাছে ধান মজুত নেই। দেশের বড় কয়েকটি কোম্পানি ও করপোরেট হাউসের মালিকের হাতে ধান-চালের ব্যবসা চলে গেছে। ওই মালিকেরা বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে ধান কিনে মজুত রেখেছেন। চাহিদার তুলনায় তাঁরা খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে কম বিক্রি করছেন। এ অবস্থায় বাজারে চালের দাম বেড়ে গেছে।
কুষ্টিয়া পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬৪ টাকার মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকায়। কয়েক দিন আগেও ৫৯ টাকায় বিক্রি হওয়া কাজললতা চাল এখন ৬১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পৌর বাজারের চাল ব্যবসায়ী তাইজাল হোসেন জানান, বেশি দামে মোকাম থেকে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, মোটা চাল বর্তমানে পাওয়া যায় না। মোটা চালগুলোই অটোমেশিনে আবার চিকন হয়ে বাজারে আসে। খুচরা বাজারে এক সপ্তাহে প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়েছে গড়ে ৫০ টাকা।
চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটোরাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে জানান, সরু চালের জন্য প্রসিদ্ধ কুষ্টিয়ার মোকামে ধানের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে মিলগেটে চালের দাম কেজিতে কমপক্ষে ৩ টাকা বেড়েছে। তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাস থেকে ধানের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ঈদের পর থেকে সব ধরনের ধানের দাম প্রতি মণে ১৫০ টাকা বেড়েছে। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধান কিন্তু কৃষকের কাছেও নেই, মিলারের কাছেও নেই। অবৈধ মজুতদারেরা সিন্ডিকেট করে ধান মজুত রেখেছেন। তাঁদের ইচ্ছেমতো দামে বাজারে বিক্রি করছেন।
মোবাইল ফোনের কয়েকটি ট্যাপেই এখন বিদ্যুৎ বিল দেওয়া যায়, গ্রামে মায়ের হাতে টাকা পৌঁছে যায়, শহরের দোকানে কেনাকাটা করা যায়—সবকিছুই সহজ হয়ে গেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে। নগদ টাকা হাতে রাখার প্রয়োজন কমে আসছে, ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে মানুষ।
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এর ফলে দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা (এসএমই) বলছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যবসায়িক হয়রানি...
১৬ ঘণ্টা আগেজমে উঠেছে বিজিএমইএ নির্বাচন। আগামী ৩১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠনের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার উত্তরার কমপ্লেক্সে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুই প্রধান প্যানেল—‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘সম্মিলিত ফোরাম’-এর প্রার্থীরা।
১৬ ঘণ্টা আগেকর্মসংস্থান ব্যাংকের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের আঞ্চলিক ও শাখা ব্যবস্থাপক এবং মাঠকর্মীদের অংশগ্রহণে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বান্দরবানে ‘ব্যবসায়িক উন্নয়ন সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ব্যাংকের ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আরও জোর দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে