Ajker Patrika

কোটার বিষয়ে আপিল বিভাগের আদেশের অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৪, ১২: ১৬
কোটার বিষয়ে আপিল বিভাগের আদেশের অপেক্ষা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনের বিষয়ে আজ সাড়ে ১১টায় আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ। আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনটি শুনানির জন্য আসে। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের একটি আবেদন আছে। তাই উভয় আবেদনের শুনানি ও আদেশের জন্য আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সময় নির্ধারণ করেন আদালত।’

আবেদন করা দুই শিক্ষার্থী হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান। 

গতকাল মঙ্গলবার ওই দুই শিক্ষার্থী হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। পরে বেলা ২টার পর চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন। 

আবেদনকারীদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক মঙ্গলবার বলেন, ‘আবেদনকারীরা সাধারণ শিক্ষার্থী। তারা আন্দোলনকারী না। আবেদনে হাইকোর্টের রায় স্থগিত ও কোটা সংস্কার চাওয়া হয়েছে, বাতিল নয়।’ 

সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালে জারি করা এসংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। চেম্বার বিচারপতি গত ৯ জুন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। 

গত ৪ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। ওই দিন রিটকারীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় সময় চাওয়া হয়। তখন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ নট টুডে বলে আদেশ দেন। 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্রে বলা হয়—৯ম (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং ৯ম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। 

পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। তাতে হাইকোর্ট ওই পরিপত্র বাতিল করে রায় দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত