Ajker Patrika

আজ বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৩: ০২
আজ বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি

চলমান পরিস্থিতিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করবেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। 

তিনি জানান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করবেন। আজ (মঙ্গলবার) বেলা ৩টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সোমবার বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারকে বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানালেও সরকার কর্ণপাত করছে না; বরং দিনে দিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিন বিএনপির মহাসচিব বলেন, নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ভয়ভীতির কারণে দেশব্যাপী সরকারের নির্মম, নির্দয় অত্যাচার ও নিপীড়নের সব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিভিন্নভাবে যেসব তথ্য আসছে, সেগুলো রীতিমতো লোমহর্ষ এবং মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

তিনি বলেন, আগেও এসব অন্যায়, অত্যাচার, আটক, নির্যাতন ও নিপীড়নের প্রতিবাদ করা হয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিস্ট ও কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী ভোটারবিহীন সরকার তা কর্ণপাত করেনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সরকারের এসব মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানালেও সরকার তা অব্যাহত রেখেছে এবং দিনে দিনে তা বৃদ্ধি করছে। 

এ সময় তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক গোলাম পরওয়ারকে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানান। তিনি বলেন, বারবার রিমান্ডে নেওয়া এবং রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন সংবিধানবিরোধী। সর্বোচ্চ আদালতের এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের কারণে সাধারণ ছাত্র-জনতা, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের কারফিউ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে ব্লক রেইড করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অনেককে তুলে নিয়ে গেলেও তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে সোপর্দ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেককে চার-পাঁচ দিন বা এরও বেশি সময় পর আদালতে নেওয়া হচ্ছে। 

রিমান্ডে নিয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর অমানুষিক ও অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শিক্ষার্থী বা নেতা-কর্মীদের আটক করতে বাসাবাড়িতে অভিযানের নামে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ এবং বাসার আসবাব ভাঙচুর করা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বাসায় না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের আটক করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশে মৃতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে অনেক ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছে। 

চলমান আন্দোলনে সরকারঘোষিত নিহতদের নাম ও সংখ্যা গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। দেশ-বিদেশের সব নাগরিক দেখার পরও রংপুরের আবু সাঈদের মৃত্যুকে গুলিতে নয়, ইটের আঘাতে মৃত্যু বলা হচ্ছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, সব দায় নিয়ে সরকারের উচিত জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পদত্যাগ করা। তিনি গ্রেপ্তার করা সব শিক্ষার্থী ও দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, রিমান্ডে নির্যাতন বন্ধ, নিঃশর্ত মুক্তি এবং গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত সন্ধান না পাওয়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের জনসমক্ষে হাজির করার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত