সম্পাদকীয়
নরেন বিশ্বাস নানা গুণে গুণান্বিত একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। তিনি জীবনব্যাপী প্রমিত উচ্চারণে কথা বলার জন্য কাজ করে গেছেন।
এ জন্য তাঁকে ‘বাকশিল্পাচার্য’ বলা হয়ে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের জনপ্রিয় অধ্যাপক ছিলেন। এর বাইরে তিনি বাচিক শিল্পী, সংগঠক, লেখক ও গবেষক হিসেবে পরিচিত। ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য পাকিস্তানি বাহিনীর চোখ এড়িয়ে কলকাতায় পাড়ি জমান। এ সময় তিনি বাংলা বেতারের জন্য নাটক, কথিকা প্রভৃতি রচনার পাশাপাশি এগুলোতে অংশ নিতেন। এ সময় তিনি সেখানকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লেখালেখিও করতেন। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসে গোর্কির ‘মাদার’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘মা’ নাটক রচনা ও মঞ্চায়ন করেন। যদিও তাঁর নাট্যচর্চা শুরু হয় ছাত্রজীবনেই।
একসময় তিনি চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেন। প্রায় অন্ধ চোখে অন্যের হাত ধরেই দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যেতেন কেবল উচ্চারণের ক্লাস নিতে। উচ্চারণের ক্লাসে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা এবং আনন্দ দুটোই একসঙ্গে গ্রহণ করতেন।
সহজ-সরলভাবে উচ্চারণের নিয়ম মুখে মুখে ফোটাতে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন।
নরেন বিশ্বাসের লিখিত বইয়ের অধিকাংশই ছিল ভাষা ও উচ্চারণকেন্দ্রিক। যেমন বাংলা উচ্চারণ অভিধান, প্রসঙ্গ বাংলা ভাষা, প্রসঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি, ভারতীয় কাব্যতত্ত্ব, কাব্যতত্ত্ব অন্বেষা, অলঙ্কার অন্বেষা, বাংলা উচ্চারণ সূত্র, বাংলা উচ্চারণ তত্ত্ব ও প্রয়োগবিধি তত্ত্ব প্রভৃতি। নাটক: নিহত কুশীলব, রৌদ্রদিন, ক্রুশবিদ্ধ যীশু, তমসীর ফাঁসি প্রভৃতি।
চর্যাপদ থেকে শুরু করে আধুনিক সাহিত্য বিষয়ে তাঁর বক্তৃতা ২০টি ক্যাসেটে বন্দী করেছেন। এ ছাড়া ‘প্রিয় পঙ্ক্তিমালা’ ও ‘উচ্চারণ শিক্ষাবিষয়ক বক্তৃতামালা’ দুটি ক্যাসেটে লিপিবদ্ধ করেছেন। ‘ঐতিহ্যের অঙ্গীকার’ শিরোনামে ১৩টি ক্যাসেটের জন্য তিনি কলকাতার ‘আনন্দ পুরস্কার’ লাভ করেন।
এই গুণী মানুষটি ১৯৪৫ সালের ১৬ নভেম্বর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার মাঝিগাতীতে জন্মগ্রহণ করেন।
নরেন বিশ্বাস নানা গুণে গুণান্বিত একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। তিনি জীবনব্যাপী প্রমিত উচ্চারণে কথা বলার জন্য কাজ করে গেছেন।
এ জন্য তাঁকে ‘বাকশিল্পাচার্য’ বলা হয়ে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের জনপ্রিয় অধ্যাপক ছিলেন। এর বাইরে তিনি বাচিক শিল্পী, সংগঠক, লেখক ও গবেষক হিসেবে পরিচিত। ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য পাকিস্তানি বাহিনীর চোখ এড়িয়ে কলকাতায় পাড়ি জমান। এ সময় তিনি বাংলা বেতারের জন্য নাটক, কথিকা প্রভৃতি রচনার পাশাপাশি এগুলোতে অংশ নিতেন। এ সময় তিনি সেখানকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লেখালেখিও করতেন। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসে গোর্কির ‘মাদার’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘মা’ নাটক রচনা ও মঞ্চায়ন করেন। যদিও তাঁর নাট্যচর্চা শুরু হয় ছাত্রজীবনেই।
একসময় তিনি চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেন। প্রায় অন্ধ চোখে অন্যের হাত ধরেই দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যেতেন কেবল উচ্চারণের ক্লাস নিতে। উচ্চারণের ক্লাসে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা এবং আনন্দ দুটোই একসঙ্গে গ্রহণ করতেন।
সহজ-সরলভাবে উচ্চারণের নিয়ম মুখে মুখে ফোটাতে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন।
নরেন বিশ্বাসের লিখিত বইয়ের অধিকাংশই ছিল ভাষা ও উচ্চারণকেন্দ্রিক। যেমন বাংলা উচ্চারণ অভিধান, প্রসঙ্গ বাংলা ভাষা, প্রসঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি, ভারতীয় কাব্যতত্ত্ব, কাব্যতত্ত্ব অন্বেষা, অলঙ্কার অন্বেষা, বাংলা উচ্চারণ সূত্র, বাংলা উচ্চারণ তত্ত্ব ও প্রয়োগবিধি তত্ত্ব প্রভৃতি। নাটক: নিহত কুশীলব, রৌদ্রদিন, ক্রুশবিদ্ধ যীশু, তমসীর ফাঁসি প্রভৃতি।
চর্যাপদ থেকে শুরু করে আধুনিক সাহিত্য বিষয়ে তাঁর বক্তৃতা ২০টি ক্যাসেটে বন্দী করেছেন। এ ছাড়া ‘প্রিয় পঙ্ক্তিমালা’ ও ‘উচ্চারণ শিক্ষাবিষয়ক বক্তৃতামালা’ দুটি ক্যাসেটে লিপিবদ্ধ করেছেন। ‘ঐতিহ্যের অঙ্গীকার’ শিরোনামে ১৩টি ক্যাসেটের জন্য তিনি কলকাতার ‘আনন্দ পুরস্কার’ লাভ করেন।
এই গুণী মানুষটি ১৯৪৫ সালের ১৬ নভেম্বর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার মাঝিগাতীতে জন্মগ্রহণ করেন।
আহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
২১ ঘণ্টা আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৪ দিন আগে