সম্পাদকীয়
মুক্তিযুদ্ধের সময় গোবিন্দ হালদারের সাড়া জাগানো উদ্দীপক গানগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করতে প্রেরণা জুগিয়েছিল। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের গীতিকার হিসেবে তাঁর নাম চিরকাল অমর হয়ে থাকবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে।
গোবিন্দ হালদার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। এরপর কলকাতার আয়কর বিভাগে যোগদান করেন। চাকরির পাশাপাশি তিনি কবিতা ও গান রচনা করতেন। একাত্তরে বন্ধু কামাল আহমেদের অনুপ্রেরণায় ও উৎসাহে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ওপর গান রচনা করেন। কামাল আহমেদ তাঁকে স্বাধীন বাংলা বেতারের কর্ণধার কামাল লোহানীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিনি তখন তাঁর হাতে ১৫টি গানের একটি খাতা তুলে দেন। এ গানগুলোর মধ্যে স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রথম প্রচারিত হয় বাংলাদেশের সমর দাস সুরারোপিত ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ গানটি। এরপর তিনি রচনা করেন—‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা’, ‘তোমার আমার ঠিকানা’, পদ্মা মেঘনা যমুনা, ‘চলো বীর সৈনিক’, ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’-এর মতো কালজয়ী গানগুলো। এ গানগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আপামর বীর বাঙালির মধ্যে সাহস সঞ্চার করেছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর পাওয়ার পরপরই ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর রচিত ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ গানটি প্রচারিত হয়। এ গানে সুর দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুরকার-কণ্ঠশিল্পী আপেল মাহমুদ এবং মূল কণ্ঠ দিয়েছিলেন স্বপ্না রায়।
জীবনের শেষপ্রান্তে এসে চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন তিনি। শেষ দিকে এসে তাঁর আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই পর্যন্ত ছিল না। এ রকম উপায়হীন অবস্থায় বাধ্য হয়ে তাঁকে হাওড়া জেলার বকুলতলার নজিরগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে সস্ত্রীক আশ্রয় নিতে হয়।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীরগাথার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ মহান এই গীতিকার ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় গোবিন্দ হালদারের সাড়া জাগানো উদ্দীপক গানগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করতে প্রেরণা জুগিয়েছিল। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের গীতিকার হিসেবে তাঁর নাম চিরকাল অমর হয়ে থাকবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে।
গোবিন্দ হালদার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। এরপর কলকাতার আয়কর বিভাগে যোগদান করেন। চাকরির পাশাপাশি তিনি কবিতা ও গান রচনা করতেন। একাত্তরে বন্ধু কামাল আহমেদের অনুপ্রেরণায় ও উৎসাহে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ওপর গান রচনা করেন। কামাল আহমেদ তাঁকে স্বাধীন বাংলা বেতারের কর্ণধার কামাল লোহানীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিনি তখন তাঁর হাতে ১৫টি গানের একটি খাতা তুলে দেন। এ গানগুলোর মধ্যে স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রথম প্রচারিত হয় বাংলাদেশের সমর দাস সুরারোপিত ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ গানটি। এরপর তিনি রচনা করেন—‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা’, ‘তোমার আমার ঠিকানা’, পদ্মা মেঘনা যমুনা, ‘চলো বীর সৈনিক’, ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’-এর মতো কালজয়ী গানগুলো। এ গানগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আপামর বীর বাঙালির মধ্যে সাহস সঞ্চার করেছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর পাওয়ার পরপরই ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর রচিত ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ গানটি প্রচারিত হয়। এ গানে সুর দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুরকার-কণ্ঠশিল্পী আপেল মাহমুদ এবং মূল কণ্ঠ দিয়েছিলেন স্বপ্না রায়।
জীবনের শেষপ্রান্তে এসে চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন তিনি। শেষ দিকে এসে তাঁর আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই পর্যন্ত ছিল না। এ রকম উপায়হীন অবস্থায় বাধ্য হয়ে তাঁকে হাওড়া জেলার বকুলতলার নজিরগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে সস্ত্রীক আশ্রয় নিতে হয়।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীরগাথার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ মহান এই গীতিকার ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
আহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
১৬ ঘণ্টা আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৪ দিন আগে