সম্পাদকীয়
বিংশ শতকের বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জে বি এস হ্যালডেন। তিনি একই সঙ্গে শারীরবিদ্যা, বংশগতিবিদ্যা ও গণিত বিষয়ে গবেষণার জন্য খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তিনি নব্য-ডারউইনবাদের একজন প্রবক্তাও ছিলেন। তাঁর পুরো নাম জন বারডন স্যান্ডারসন হ্যালডেন।
হ্যালডেনের জন্ম লন্ডনের অক্সফোর্ডে ১৮৯২ সালের ৫ নভেম্বর। মাত্র তিন বছর বয়সে তিনি পড়তে শিখেছিলেন। আট বছর বয়সেই তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে তাঁদের বাড়ির গবেষণাগারে কাজ শুরু করেছিলেন।
স্যান্ডারসন হ্যালডেনের শিক্ষাজীবনের শুরু হয়েছিল অক্সফোর্ড প্রিপারেটরি স্কুলে। পরে বৃত্তি লাভ করে ১৯০৫ সালে ‘এটন’ নামে নামী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। তারপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিউ কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯১২ সালে জেনেটিকসের প্রতি আগ্রহ থেকে তিনি গবেষণা শুরু করেছিলেন মেরুদণ্ডী প্রাণীদের জিন নিয়ে। হ্যালডেনের প্রথম গবেষণা-সংক্রান্ত লেখা প্রকাশিত হয়েছিল হিমোগ্লোবিনের কার্যক্রম নিয়ে। পরে গবেষণাটি প্রকাশিত হলে বাবার সঙ্গে সহলেখক হিসেবে তাঁর নামও ছিল।
হ্যালডেন গবেষণার পাশাপাশি কয়েক বছর সেনাবাহিনীর উচ্চতর পদে যুক্ত ছিলেন। ১৯১৬ সালে তিনি মেসোপটেমিয়া (এখনকার ইরাক) যুদ্ধে যোগ দিয়ে শত্রুপক্ষের বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হলে তাঁকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এই বিজ্ঞানী ছিলেন একজন কমিউনিস্ট আদর্শের চিন্তক। রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে তিনি ১৯৫৬ সালে ইংল্যান্ড ছেড়ে ভারতে বসবাস শুরু করেন। ১৯৬১ সালে ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
জীববিদ্যায় তাঁর কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য রয়্যাল ইনস্টিটিউশন ও লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে এই বিষয়ে পড়িয়েছেন। ভারতে আসার পর তিনি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটেও শিক্ষকতা করেছেন। তাঁর লিখিত ‘বিজ্ঞান ও মার্কসীয় দর্শন’ বইটি বাংলাভাষী পাঠকের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
বিপুল প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি ১৯৬৪ সালের ১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
বিংশ শতকের বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জে বি এস হ্যালডেন। তিনি একই সঙ্গে শারীরবিদ্যা, বংশগতিবিদ্যা ও গণিত বিষয়ে গবেষণার জন্য খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তিনি নব্য-ডারউইনবাদের একজন প্রবক্তাও ছিলেন। তাঁর পুরো নাম জন বারডন স্যান্ডারসন হ্যালডেন।
হ্যালডেনের জন্ম লন্ডনের অক্সফোর্ডে ১৮৯২ সালের ৫ নভেম্বর। মাত্র তিন বছর বয়সে তিনি পড়তে শিখেছিলেন। আট বছর বয়সেই তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে তাঁদের বাড়ির গবেষণাগারে কাজ শুরু করেছিলেন।
স্যান্ডারসন হ্যালডেনের শিক্ষাজীবনের শুরু হয়েছিল অক্সফোর্ড প্রিপারেটরি স্কুলে। পরে বৃত্তি লাভ করে ১৯০৫ সালে ‘এটন’ নামে নামী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। তারপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিউ কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯১২ সালে জেনেটিকসের প্রতি আগ্রহ থেকে তিনি গবেষণা শুরু করেছিলেন মেরুদণ্ডী প্রাণীদের জিন নিয়ে। হ্যালডেনের প্রথম গবেষণা-সংক্রান্ত লেখা প্রকাশিত হয়েছিল হিমোগ্লোবিনের কার্যক্রম নিয়ে। পরে গবেষণাটি প্রকাশিত হলে বাবার সঙ্গে সহলেখক হিসেবে তাঁর নামও ছিল।
হ্যালডেন গবেষণার পাশাপাশি কয়েক বছর সেনাবাহিনীর উচ্চতর পদে যুক্ত ছিলেন। ১৯১৬ সালে তিনি মেসোপটেমিয়া (এখনকার ইরাক) যুদ্ধে যোগ দিয়ে শত্রুপক্ষের বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হলে তাঁকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এই বিজ্ঞানী ছিলেন একজন কমিউনিস্ট আদর্শের চিন্তক। রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে তিনি ১৯৫৬ সালে ইংল্যান্ড ছেড়ে ভারতে বসবাস শুরু করেন। ১৯৬১ সালে ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
জীববিদ্যায় তাঁর কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য রয়্যাল ইনস্টিটিউশন ও লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে এই বিষয়ে পড়িয়েছেন। ভারতে আসার পর তিনি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটেও শিক্ষকতা করেছেন। তাঁর লিখিত ‘বিজ্ঞান ও মার্কসীয় দর্শন’ বইটি বাংলাভাষী পাঠকের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
বিপুল প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি ১৯৬৪ সালের ১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
আজ ‘গৃহস্থালি কাজকে না বলুন’ দিবস। এই দিনে সবাইকে উৎসাহিত করা হয় গৃহস্থালি কাজ থেকে বিরতি নিয়ে নিজের জন্য সময় দেওয়ায়। ১৯৮০–এর দশকে এই দিনটির প্রচলন হয়। দিবসটির সূচনা করেন থমাস এবং রুথ রায়, যারা ওই সময় বিভিন্ন মজার ছুটি তৈরির জন্য পরিচিত ছিলেন।
৫ দিন আগে১৯৮৮ সালের ৮ আগস্ট, প্যারিসের শার্ল দ্য গল বিমানবন্দরে পৌঁছান ৪২ বছর বয়সী নাসেরি। তাঁর গন্তব্য ছিল লন্ডন। সে জন্য ফ্রান্সে ট্রানজিট নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাঁধে বিপত্তি। তাঁর কাছে বৈধ পাসপোর্ট ছিল না। এ কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে কোনো ফ্লাইটে উঠতে দেয়নি। ফলস্বরূপ তিনি আটকা পড়ে যান সেখানেই।
৯ দিন আগেকানাডার অন্টারিও প্রদেশের কিংস্টোন শহরে বৈরী আবহাওয়ার মাঝেই ঈদ উল্ ফিতর উদ্যাপন করেছেন কুইনস ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী ও কমিউনিটির সদস্যরা। প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারা ইন-ডোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন...
৯ দিন আগে১৭০০ সালের ফ্রান্সে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো প্রকাশ্যে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ত মানুষ। তবে এখানেও ছিল শ্রেণিবৈষম্য! গরিব অপরাধীদের জন্য সাধারণ শাস্তি ছিল কোয়ার্টারিং। কোয়ার্টারিং এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে অপরাধীর চার হাত-পা চারটি গরুর সঙ্গে বাঁধা হতো।
১৫ দিন আগে