সম্পাদকীয়
‘দ্য হোমকামিং’ নাটকের প্রথম লাইন হলো ‘কাঁচিগুলো নিয়ে তুমি আলোর মধ্যে ছায়ার মতোকী করলে?’
‘ওল্ড টাইমস’-এর প্রথম লাইনটি একটি শব্দের ‘অন্ধকার।’
এই দুটি ক্ষেত্রেই এর বেশি কোনো তথ্যের নির্মাণ আমার কাছে নেই। প্রথমটির ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, কোনো একজন একজোড়া কাঁচি খুঁজছে। সেগুলো সম্পর্কে জানতে চাইছে এবং সন্দেহ করছে যে অন্য একজন তা চুরি করেছে। তবে কোনোভাবে আমি জানতাম যে যাকে প্রশ্নটা করা হচ্ছে, তার কাঁচি নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই অথবা প্রশ্নটা নিয়েও নয়।
‘অন্ধকার’ শব্দটির মাধ্যমে আমি কারও বর্ণনা দিতে চেয়েছিলাম, কোনো নারীর চুলের। এটা একটা প্রশ্নের উত্তর। এই দুটি ক্ষেত্রেই আমি বাধ্য হয়েছিলাম বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। চোখের সামনে ঘটেছিল সব, খুবই ধীরে এবং আবছাভাবে, আলোর মধ্যে ছায়ার মতো।
সব সময়ই নাটকের চরিত্রগুলোর ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ নাম দিয়ে শুরু করি আমি। ‘দ্য হোমকামিং’ নাটকে শুরুতেই আমি দেখতে পাই একজন পুরুষ সাধারণ একটি ঘরে ঢুকে এ প্রশ্নটি করছে অপেক্ষাকৃত অল্পবয়স্ক একজন ছেলেকে। যে কিনা একটি বিচ্ছিরি সোফায় বসে ঘোড়দৌড়ের কাগজ পড়ছে। আমার সন্দেহ হয়, ‘এ’ হলো বাবা এবং ‘বি’ তার ছেলে। কিন্তু আমার কাছে তো কোনো প্রমাণ নেই। একটু পরেই সেটা প্রমাণ হয়ে যায়, যখন ‘বি’ (পরে যার নাম হয় লেনি) ‘এ’কে (পরে যার নাম হয় ম্যাক্স) বলে, ‘বাবা, কিছু মনে কোরো না, আলোচনার বিষয়টা বদলাতে পারি? একটা কথা জিজ্ঞেস করতে চাই। এর আগে রাতে যে ডিনারটা খেলাম, তার নাম কী? কী বলো সেটাকে তুমি?’ ‘কেন, তুমি একটা কুকুর কিনছ না? তুমি কুকুরদের রাঁধুনি আসলে! সত্যি বলছি। ভাবো যে তুমি অনেকগুলো কুকুরের জন্য রাঁধছ।’ ফলে ‘বি’ যখন ‘এ’কে বাবা ডাকছে, আমার মনে করে নেওয়ার সংগত কারণ রয়েছে, এরা বাপ-ছেলে। এ অবশ্যই একজন রাঁধুনি এবং যার রান্নার উচ্চ প্রশংসা হয় না! তার মানে কি মা নেই এখানে? জানি না।
ব্রিটিশ নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতা হ্যারল্ড পিন্টার ২০০৫ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
‘দ্য হোমকামিং’ নাটকের প্রথম লাইন হলো ‘কাঁচিগুলো নিয়ে তুমি আলোর মধ্যে ছায়ার মতোকী করলে?’
‘ওল্ড টাইমস’-এর প্রথম লাইনটি একটি শব্দের ‘অন্ধকার।’
এই দুটি ক্ষেত্রেই এর বেশি কোনো তথ্যের নির্মাণ আমার কাছে নেই। প্রথমটির ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, কোনো একজন একজোড়া কাঁচি খুঁজছে। সেগুলো সম্পর্কে জানতে চাইছে এবং সন্দেহ করছে যে অন্য একজন তা চুরি করেছে। তবে কোনোভাবে আমি জানতাম যে যাকে প্রশ্নটা করা হচ্ছে, তার কাঁচি নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই অথবা প্রশ্নটা নিয়েও নয়।
‘অন্ধকার’ শব্দটির মাধ্যমে আমি কারও বর্ণনা দিতে চেয়েছিলাম, কোনো নারীর চুলের। এটা একটা প্রশ্নের উত্তর। এই দুটি ক্ষেত্রেই আমি বাধ্য হয়েছিলাম বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। চোখের সামনে ঘটেছিল সব, খুবই ধীরে এবং আবছাভাবে, আলোর মধ্যে ছায়ার মতো।
সব সময়ই নাটকের চরিত্রগুলোর ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ নাম দিয়ে শুরু করি আমি। ‘দ্য হোমকামিং’ নাটকে শুরুতেই আমি দেখতে পাই একজন পুরুষ সাধারণ একটি ঘরে ঢুকে এ প্রশ্নটি করছে অপেক্ষাকৃত অল্পবয়স্ক একজন ছেলেকে। যে কিনা একটি বিচ্ছিরি সোফায় বসে ঘোড়দৌড়ের কাগজ পড়ছে। আমার সন্দেহ হয়, ‘এ’ হলো বাবা এবং ‘বি’ তার ছেলে। কিন্তু আমার কাছে তো কোনো প্রমাণ নেই। একটু পরেই সেটা প্রমাণ হয়ে যায়, যখন ‘বি’ (পরে যার নাম হয় লেনি) ‘এ’কে (পরে যার নাম হয় ম্যাক্স) বলে, ‘বাবা, কিছু মনে কোরো না, আলোচনার বিষয়টা বদলাতে পারি? একটা কথা জিজ্ঞেস করতে চাই। এর আগে রাতে যে ডিনারটা খেলাম, তার নাম কী? কী বলো সেটাকে তুমি?’ ‘কেন, তুমি একটা কুকুর কিনছ না? তুমি কুকুরদের রাঁধুনি আসলে! সত্যি বলছি। ভাবো যে তুমি অনেকগুলো কুকুরের জন্য রাঁধছ।’ ফলে ‘বি’ যখন ‘এ’কে বাবা ডাকছে, আমার মনে করে নেওয়ার সংগত কারণ রয়েছে, এরা বাপ-ছেলে। এ অবশ্যই একজন রাঁধুনি এবং যার রান্নার উচ্চ প্রশংসা হয় না! তার মানে কি মা নেই এখানে? জানি না।
ব্রিটিশ নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতা হ্যারল্ড পিন্টার ২০০৫ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
ভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১ দিন আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
২ দিন আগেআনুমানিক ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৪ সালের দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বড় কাটরার আদলে কিন্তু আকৃতিতে ছোট ইমারতের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭১ সালে। ইমারতটি পরিচিত ছোট কাটরা নামে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
৩ দিন আগেটেরাকোটা শিল্পের অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের মধ্যযুগীয় কান্তজিউ মন্দির। নানা পৌরাণিক কাহিনি পোড়ামাটির অলংকরণে মন্দিরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ শুরু করেন ১৭০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
৫ দিন আগে