এমরান হোসাইন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
নানা উৎসবকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শুরু হয়েছে প্রকৃতির রং বদলের হাওয়া। প্রকৃতির এ দোলাচলে মানুষ আর প্রকৃতির মাঝে নতুনের আহ্বান যেন কানে বাজছে। জীবজগৎ ও প্রাণীকুলের মাঝে রঙের হাওয়া এসে লেগেছে। পৃথিবীর অন্য সব দেশের মতো এখানেও শরতের শিশির ভেজা, শিহরণ জাগা উৎসবের মাস শরৎ এসেছে আবার।
এখানে ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণত শুরু হয় শরৎকাল। আর শরৎ মানেই যেখানে চোখ যায় শুধু লাল, কমলা আর হলুদের ছড়াছড়ি। ক্যানসাস রাজ্যের প্রতিটি শহরের প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যগুলোতে (নেচার সেন্টার) নানা রঙের প্রজাপতি পাখা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে। উচিটা শহর থেকে ক্যানসাস সিটি আঁকা বাঁকা উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথে সুনসান নীরবতায় মড়মরে পাতাঝরার বাতাসে কেন জানি কোন সুদূরে হারিয়ে যায় মন। রাস্তার দুপাশে ঝরাপাতার নৃত্যের সঙ্গে সন্ধ্যার গোধূলি বেলায় দল বেঁধে গরুর ছুটে চলা। মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায় কোন নতুন কুঁড়ির সন্ধানে। শত শত পাখির কিচিরমিচির শব্দে হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় নিষ্পাপ হরিণের মায়াবী দুচোখ।
এখন যে দিকে চোখ যায়, দেখা যায় প্রকৃতি যেন নববধূর সাজে গায়ে নানান রঙের গয়না পড়তে শুরু করেছে। এ দেখে মনের অজান্তে কবিগুরুর কবিতার পংক্তিমালা স্মরণে আসে–‘জাগুক মন, কাঁপুক বন, উড়ুক ঝরাপাতা/উঠুক জয়, তোমারই জয়, তোমারই জয়গাথা।’
প্রকৃতির এ বর্ণিল আয়োজন দেখতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ এখান থেকে ওখানে ঘুরে বেড়ায়। শরতের শুভ্র সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নানা রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
এদিকে শীতের পোশাক নিয়েও এখানে আগ্রহের কমতি নেই। প্রকৃতির রং বদলের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যেও বদলের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। অক্টোবরের শুরু থেকে নানা উৎসবে মেতে ওঠে মিশ্র জাতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আদি আমেরিকান বা রেড ইন্ডিয়ানদের ভুট্টা উৎসব, অ্যাপল পিকিং উৎসব ইত্যাদি। ৩১ অক্টোবর আমেরিকানদের সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎসব ‘হ্যালোইন’ অনুষ্ঠিত হয়। এ দিনে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে নানা ধরনের ভুতুড়ে মুখোশ বাড়িতে বাড়িতে সাজিয়ে রাখা হয়। সেদিন ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা মুখোশ পরে পামকিনের ঝুড়ি হাতে এ বাড়ি থেকে ও বাড়িতে ক্যানডি সংগ্রহে নেমে পড়ে।
নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের খুবই জনপ্রিয় উৎসব ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’। এসব উৎসবকে সামনে রেখে এখন থেকেই ক্যানসাসসহ সারা যুক্তরাষ্ট্রের ছোট-বড় সব দোকানগুলো থরে থরে হলুদ কুমড়াসহ নানা অবয়বের খেলনা দিয়ে সেজে উঠেছে। জানা যায়, ষোলো শতকের দিকে জাহাজে চেপে যে কজন ধর্মযাজক যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে ছিলেন তাঁরা আদিবাসী স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রচুর ভুট্টা চাষে সফল হন। আর এ ভুট্টা ঘরে তুলতে সবাই বুনো হাঁসের (ট্যারকি) বারবিকিউ আনন্দে মেতে ওঠে। সে দিন থেকেই দিনটি ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ হিসেবে পালিত হয়। এদিন ইয়া বড়-বড় বনমোরগ দিয়ে ‘টাকি ফিস্ট’ এর আয়োজন করা হয়। মূলত এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে রেড ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে দখলদার ব্রিটিশদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন তৈরি হয়। আর এ দিন থেকেই থ্যাংকস গিভিং ডের যাত্রা।
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে এই সময়ে গাছে গাছে পাতায় পাতায় জীবনের নতুন পরশ লাগে। সে জন্যই হয়তো কবি বলেছেন—‘শেষ পাতা ঝরে গেল/যেতে যেতে বলে গেল/এ বছর আমি আর আসব না।’
নানা উৎসবকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শুরু হয়েছে প্রকৃতির রং বদলের হাওয়া। প্রকৃতির এ দোলাচলে মানুষ আর প্রকৃতির মাঝে নতুনের আহ্বান যেন কানে বাজছে। জীবজগৎ ও প্রাণীকুলের মাঝে রঙের হাওয়া এসে লেগেছে। পৃথিবীর অন্য সব দেশের মতো এখানেও শরতের শিশির ভেজা, শিহরণ জাগা উৎসবের মাস শরৎ এসেছে আবার।
এখানে ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণত শুরু হয় শরৎকাল। আর শরৎ মানেই যেখানে চোখ যায় শুধু লাল, কমলা আর হলুদের ছড়াছড়ি। ক্যানসাস রাজ্যের প্রতিটি শহরের প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যগুলোতে (নেচার সেন্টার) নানা রঙের প্রজাপতি পাখা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে। উচিটা শহর থেকে ক্যানসাস সিটি আঁকা বাঁকা উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথে সুনসান নীরবতায় মড়মরে পাতাঝরার বাতাসে কেন জানি কোন সুদূরে হারিয়ে যায় মন। রাস্তার দুপাশে ঝরাপাতার নৃত্যের সঙ্গে সন্ধ্যার গোধূলি বেলায় দল বেঁধে গরুর ছুটে চলা। মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায় কোন নতুন কুঁড়ির সন্ধানে। শত শত পাখির কিচিরমিচির শব্দে হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় নিষ্পাপ হরিণের মায়াবী দুচোখ।
এখন যে দিকে চোখ যায়, দেখা যায় প্রকৃতি যেন নববধূর সাজে গায়ে নানান রঙের গয়না পড়তে শুরু করেছে। এ দেখে মনের অজান্তে কবিগুরুর কবিতার পংক্তিমালা স্মরণে আসে–‘জাগুক মন, কাঁপুক বন, উড়ুক ঝরাপাতা/উঠুক জয়, তোমারই জয়, তোমারই জয়গাথা।’
প্রকৃতির এ বর্ণিল আয়োজন দেখতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ এখান থেকে ওখানে ঘুরে বেড়ায়। শরতের শুভ্র সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নানা রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
এদিকে শীতের পোশাক নিয়েও এখানে আগ্রহের কমতি নেই। প্রকৃতির রং বদলের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যেও বদলের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। অক্টোবরের শুরু থেকে নানা উৎসবে মেতে ওঠে মিশ্র জাতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আদি আমেরিকান বা রেড ইন্ডিয়ানদের ভুট্টা উৎসব, অ্যাপল পিকিং উৎসব ইত্যাদি। ৩১ অক্টোবর আমেরিকানদের সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎসব ‘হ্যালোইন’ অনুষ্ঠিত হয়। এ দিনে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে নানা ধরনের ভুতুড়ে মুখোশ বাড়িতে বাড়িতে সাজিয়ে রাখা হয়। সেদিন ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা মুখোশ পরে পামকিনের ঝুড়ি হাতে এ বাড়ি থেকে ও বাড়িতে ক্যানডি সংগ্রহে নেমে পড়ে।
নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের খুবই জনপ্রিয় উৎসব ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’। এসব উৎসবকে সামনে রেখে এখন থেকেই ক্যানসাসসহ সারা যুক্তরাষ্ট্রের ছোট-বড় সব দোকানগুলো থরে থরে হলুদ কুমড়াসহ নানা অবয়বের খেলনা দিয়ে সেজে উঠেছে। জানা যায়, ষোলো শতকের দিকে জাহাজে চেপে যে কজন ধর্মযাজক যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে ছিলেন তাঁরা আদিবাসী স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রচুর ভুট্টা চাষে সফল হন। আর এ ভুট্টা ঘরে তুলতে সবাই বুনো হাঁসের (ট্যারকি) বারবিকিউ আনন্দে মেতে ওঠে। সে দিন থেকেই দিনটি ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ হিসেবে পালিত হয়। এদিন ইয়া বড়-বড় বনমোরগ দিয়ে ‘টাকি ফিস্ট’ এর আয়োজন করা হয়। মূলত এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে রেড ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে দখলদার ব্রিটিশদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন তৈরি হয়। আর এ দিন থেকেই থ্যাংকস গিভিং ডের যাত্রা।
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে এই সময়ে গাছে গাছে পাতায় পাতায় জীবনের নতুন পরশ লাগে। সে জন্যই হয়তো কবি বলেছেন—‘শেষ পাতা ঝরে গেল/যেতে যেতে বলে গেল/এ বছর আমি আর আসব না।’
ভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
২১ ঘণ্টা আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
২ দিন আগেআনুমানিক ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৪ সালের দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বড় কাটরার আদলে কিন্তু আকৃতিতে ছোট ইমারতের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭১ সালে। ইমারতটি পরিচিত ছোট কাটরা নামে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
৩ দিন আগেটেরাকোটা শিল্পের অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের মধ্যযুগীয় কান্তজিউ মন্দির। নানা পৌরাণিক কাহিনি পোড়ামাটির অলংকরণে মন্দিরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ শুরু করেন ১৭০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
৫ দিন আগে