প্রখ্যাত গল্পকার মোজাফ্ফর হোসেনের লেখা ছোটগল্পের সংকলন ‘মানুষের মাংসের রেস্তোরাঁ’ নিয়ে আলোচনা করেছেন ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সদস্যরা। মে মাসে গ্রুপে এই বই পড়া হয় এবং সদস্যদের মধ্যে এই আলোচনার অনুপ্রেরণা জোগায়।
অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এ প্রকাশিত হয়েছে তরুণ কথাসাহিত্যিক মারুফ ইসলামের চতুর্থ বই ‘বুড়োবুড়ি রেস্তোরাঁ’। এটা একটি গল্পগ্রন্থ, প্রকাশ করেছে প্রতিকথা প্রকাশনা। বইমেলায় বইটি পাওয়া যাবে ৩৩০ নম্বর স্টলে
ডিসিপ্লিন জিনিসটা তার বড় পছন্দের; তবু কোনো এক অলৌকিক ইশারায়, জুন মাসের এক সন্ধ্যায় সাংবাদিকতার চাকরিটা ছেড়ে দেয় রাহাত আলম। সন্ধ্যায় বৃষ্টি হচ্ছিল। অফিসে এসি চলছে, সহকর্মীরা ডেস্কে নিবিষ্ট হয়ে কাজ করছে, বাইরে বৃষ্টি; তবু কোথাও একটা অস্বস্তিকর গুমোট হাওয়া সে টের পায়। কাজে কোনোভাবেই মনটা থিতু হয় না। টে
আনিকার কথায় গ্যাব্রিয়েলা জিওভান্নির মুখে হাসি ফুটল কি ফুটল না, ঠিক বোঝা গেল না। কয়েক দিন টানা বৃষ্টির পরে আকাশ যখন পরিষ্কার হতে শুরু করে, তেমন একটি স্মিত ভাব তার চেহারায়। গ্যাব্রিয়েলার নীরবতায় আনিকা চারদিকে শুধু তাকাতে লাগল। এক কোণে একটা টেবিল ল্যাম্পের মৃদু আলো ঘরটাকে ছায়াঘেরা পরিবেশ এনে দিয়েছে। দু
২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী ইয়ন ফসেকে ‘নতুন ইবসেন’ বলে ডাকা হয়। মূলত নাট্যকার হলেও তিনি সাহিত্যে বহুপ্রজ। তাঁর উপন্যাস, কবিতাও বহু ভাষায় অনূদিত, আলোচিত। ইয়ন ফসে নাটকের ক্ষেত্রে একদম মিনিমালিস্ট। মানে, তিনি নাটকের মেদ, চর্বি সব ঝেড়ে ফেলেছেন। বক্তব্যে, বিষয়ে তিনি ইবসেনের নিকটবর্তী হলেও আঙ্গিক
অ্যাঁই, নাহার?—বলে রাগাশ্রিত ডাক দেয় আশরাফুল। এমন ডাকে কাছে আসার সম্ভাবনা কম দেখে পরবর্তী সময়ে সে মুখটা দরজার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলে, একটা ভালো কথা, এই দিক আইসো। ভেজা চুল গামছা দিয়ে মুছতে মুছতে ব্যালকনি থেকে নাহার জবাব দেয়, ভালো কথার কাল এখন আছেনি? বুঝলাম না কিছু।
সন্ধ্যার পর থেকে নিদারুণ অস্থিরতায় ভুগছি। কেন এমন লাগছে বুঝতে পারছি না। বারান্দায় বসে মোবাইল সেটের বাটন টিপছিলাম আনমনে। কোনো অজানা কারণে বুকের ভেতরে একটা গুমোট যন্ত্রণা আমাকে অস্থির করে তুলছে। সেই অস্থিরতা যেন আমার চারপাশেও ছড়িয়ে পড়ছে।
বাস থেকে নেমে আধা ঘণ্টার মতো উত্তরে হাঁটতে হাঁটতে ডানপাশে একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প বাগেরহাটের সন্তোষপুর স্কুলটা সহজেই শনাক্ত করে রিপন। কিন্তু শহীদ বাবার কবর খুঁজে বের করার অস্থিরতার তোড়ে রওনার সময় তার মাথায় আসেনি যে আজ সাপ্তাহিক ছুটি, স্কুল বন্ধ।
আমি পেশায় একজন ট্রুথ সার্জন, শুনতে হয়তো অদ্ভুত শোনাচ্ছে প্রফেশনটা, এটা আসলে একেবারেই নতুন একটা পেশা, সরকারি অনুমোদন এখনো নেই আমাদের। আপাতত আমরা খুব গোপনে চালাচ্ছি আমাদের চেম্বার। আমাদের সার্জারি কস্ট আনবিলিভেবেল,
সকালে ঘুম থেকে উঠে, খোলা জানালার বাইরে চোখ পড়তেই দেখে সাদা মশারির মতো কুয়াশাঘেরা চারপাশ, যদিও গ্রীষ্মে এমনটা দেখা যায় না প্রায়, কৌতূহলে দরজা খুলে উঠোনে এসে দাঁড়ায় ইখতিয়ার। কোনো দিকে বেশি দূর দেখা যায় না, মনের মধ্যে শিরশির করে ওঠে।
কাঁঠালিচাঁপার ঝোপের পাশে এক সন্ধ্যাকালে পিতাকে সে দেখেছিল নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে। তখন মেয়েটির চোখ থেকে ঝরছিল বিস্ময়ের বৃষ্টি। এক কি দুপলক। পরমুহূর্তেই বাড়ি ছুটে গিয়েছিল মাকে কথাটা জানাতে। মা ঘরে ছিল না। শাক কুড়াতে গিয়েছিল মাঠের ধানখেতের আলে। কার্তিকের মাঠে তখন কুয়াশা কিংবা ওস্ ঝরছিল। ওস্ ভেজা ঘেসো পথ
বাদলার মরসুম এলেই ঘোড়াউত্রার জলে যেন কী এক রহস্য খেলে যায়। এমনিতেই বছর-কাবারি তার ভাব-সাবের তেমন অদল-বদল নাই। আর দশটা নদ-নদী যেভাবে চলে-ফেরে, ঘাড়-ঘুরিয়ে, কোমর বাঁকিয়ে অন্য পথে ধায়—ঘোড়াউত্রাও তেমনি চলে। সারা বৎসর তেমন চেত-বেধ নাই, শুধু বাদলার মরসুম এলেই ভিন্নকথা। তখন আষাঢ়ে-জলধর আসমানে সামান্য
বিছানার পাশে সোফায় হেলান দিয়ে টিভি দেখছিলেন বাবা। হঠাৎ তার সামনে লম্বালম্বি করে সাইকেলটি রাখল নিধি। : বাবা, শক্ত করে ধরে রাখো। : কেন? : আ রে ধরো না। না ধরলে কিন্তু তোমার অনেক লস হয়ে যাবে। কথা শুনে বাবার তো আক্কেল গুড়ুম।
আষাঢ়ের গাদলা। তিন দিন ধরে বৃষ্টি শেষ না হওয়ায় মলনের ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে অবিনাশ। পলিথিনেও ধানের সুরক্ষা হচ্ছে না। মাত্র দুই দিন পাল্লায় থাকার পরই ধানের আঁটিতে সিধলা পড়ে যাচ্ছে। কষ্টে তোলা ধান গোলায় ওঠানোর আগেই এ কোন বিপদ এল। ইচ্ছা ছিল ধান ওঠার পর ঘরের টিনগুলো বদল করবে। বাবার কিছু বন্ধক রাখা জমি মুক
ঘুমের ঘোরে মাতাল করা সেই ভালোবাসা, আমার শরীর থেকে পুরুষ মাংসের স্বাদ নেওয়া, আনন্দের চূড়ায় উঠে ছোট্ট করে ভালোবাসি বলা, সব মিথ্যা ছিল! ধোঁকা?
রহস্য-রোমাঞ্চকাহিনি পছন্দ এমন পাঠকদের জন্য এবারের বইমেলায় বড় চমক নাহদি দ্য ইনভেস্টিগেটর সিরিজ। ফরাসি ম্যামের ধাঁধা আর পাহাড়চূড়ার খুনি নামে এ সিরিজের দুটি বই প্রকাশ পেয়েছে এবারের বই মেলায়।
ভোরেই ঘুম ভেঙে গিয়েছে রাশেদের। বাসায় তখন সিলিং ফ্যানের ঘটঘট ঘটঘট আওয়াজ ছাড়া অন্য কোনো শব্দ নেই। বাইরে পাখিদের কিচিরমিচির। কয়েকটি চড়ুই রোজকার মতো কার্নিশে দুরন্তপনায় মেতে উঠেছে। সারা রাত জেগে পাহারা দেওয়া কুকুরগুলো হয় তো বেঘোর ঘুমোচ্ছে। বিছানায় কিছুক্ষণ এপাশ-ওপাশ করে নামল রাশেদ।