বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় চার নেতার বিরুদ্ধে পদ পাইয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার ব্যবসায়ী স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই অভিযোগের সমর্থনে লেনদেনের তথ্যও সরবরাহ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তথ্যপ্রমাণসহ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এ বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছর বরগুনা-২ আসনের বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুর পর বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির ৩ নম্বর সদস্য জাকির হোসেন খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী ওই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি ঢাকার আশকোনা এলাকায় বসবাস করেন এবং রাজধানীতে সিঅ্যান্ডএফের ব্যবসা করেন। নিজের অনুসারীদের বরগুনা-২ আসনের আওতাধীন বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী উপজেলা ও পৌর ইউনিটে পদ পাইয়ে দিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্যসচিব প্রয়াত (৭ জানুয়ারি ২০২৩) তারিকুজ্জামান টিটু, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক ও তালিমুল ইসলাম পলাশকে ‘ম্যানেজ’ করতে ১০ লাখ টাকা দেন তিনি।
জাকির খানের হয়ে বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেন পাথরঘাটা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আউয়াল। টাকা নিয়ে জাকির খানের অনুসারী বেতাগী উপজেলায় রিয়াদ খানকে সদস্যসচিব, পৌর শাখায় মিজান খানকে সদস্যসচিব, উপজেলায় মো. দুলাল হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, অধ্যাপক শাহীনকে বেতাগী উপজেলায় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বামনা উপজেলার মোরশেদ খন্দকারকে সদস্যসচিব, পাথরঘাটায় কামরুল ইসলামকে সদস্যসচিব, একই উপজেলায় মো. সোয়েনকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঢাকার দক্ষিণ খানের আশকোনা শাখা থেকে ২০২২ সালের ৩ জুলাই চার নেতার নামে আট লাখ টাকা দেওয়া হয়। একই বছরের ৪ জুলাই ২৯১৬৫৯৩ নম্বর চেকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা তুলে নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা। ২৯১৬৫৯৫ নম্বর চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা তোলেন সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু।
২৯১৬৫৯৬ নম্বর চেকে ৫০ হাজার টাকা নেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ ফারুক এবং ২৯১৬৫৯৪ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নেন যুগ্ম আহ্বায়ক তালমিল ইসলাম পলাশ। পদ-বাণিজ্যে জড়ানো বিএনপি নেতাদের ২৪টি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। যেখানে বিকাশের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লাসহ কয়েক নেতাকে লাখ লাখ টাকা ও স্মার্টফোন উপহার দেওয়ার তথ্য রয়েছে।
বরগুনা জেলা বিএনপির শীর্ষ পদের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লার ভাতিজা। তিনি কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভীকে “ম্যানেজ” করে গত বছরের ১৫ এপ্রিল আগের কমিটি (নজরুল-হালিম) ভেঙে রাতের আঁধারে ফারুক মোল্লাকে আহ্বায়ক করে কমিটি এনেছেন।’
সেই নেতা আরও বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গত ১৮ জুন বিএনপির বরগুনা জেলার উপজেলা পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল নতুন ইউনিট গঠনের নামে পদ-বাণিজ্য। আর সেটাই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি করেছে। টাকা নিয়েই জেলার ইউনিট কমিটিগুলো করা হয়েছে। এই ১০টি ইউনিট কমিটি গঠনে প্রায় এক কোটি টাকার পদ-বাণিজ্য হয়েছে। বিষয়টি গত বছরের অক্টোবরে লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে ১০৮ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্তও দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন এবং কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজের কাছে ইউনিট কমিটি থেকে বাণিজ্যের অভিযোগ এলে তাঁরা তথ্য-উপাত্তসহ কেন্দ্রে লিখিতভাবে সরবরাহ করেছেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু গত ৭ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মাদ্রাসার কাজের জন্য আমি জাকির খানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। এখানে পদ দেওয়ার কোনো বিষয় নেই।’
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘বাড়ির পাশে একটি মাদ্রাসার জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।’ পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তিনি বলেন, ‘পদ-বাণিজ্য হলে জাকির খানকেই বামনার আহ্বায়ক করা হতো। সেটা তো করা হয়নি।’
জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই। আমি যদি চেক বা টাকা নিয়ে থাকি, প্রমাণ করতে পারলে সাংগঠনিক ও সামাজিক যে শাস্তি হয় মেনে নেব—এটা ষড়যন্ত্র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন খানের সঙ্গেও। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘অডিও ক্লিপ, চেক ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখেছি। ইতিমধ্যে তৃণমূল বিএনপি নেতারা কেন্দ্রকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কিছু অনুসারীকে দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল বিএনপি থেকে আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আমি কেন্দ্রকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ শুনেছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা তৃণমূলের অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছি। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় চার নেতার বিরুদ্ধে পদ পাইয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার ব্যবসায়ী স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই অভিযোগের সমর্থনে লেনদেনের তথ্যও সরবরাহ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তথ্যপ্রমাণসহ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এ বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছর বরগুনা-২ আসনের বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুর পর বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির ৩ নম্বর সদস্য জাকির হোসেন খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী ওই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি ঢাকার আশকোনা এলাকায় বসবাস করেন এবং রাজধানীতে সিঅ্যান্ডএফের ব্যবসা করেন। নিজের অনুসারীদের বরগুনা-২ আসনের আওতাধীন বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী উপজেলা ও পৌর ইউনিটে পদ পাইয়ে দিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্যসচিব প্রয়াত (৭ জানুয়ারি ২০২৩) তারিকুজ্জামান টিটু, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক ও তালিমুল ইসলাম পলাশকে ‘ম্যানেজ’ করতে ১০ লাখ টাকা দেন তিনি।
জাকির খানের হয়ে বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেন পাথরঘাটা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আউয়াল। টাকা নিয়ে জাকির খানের অনুসারী বেতাগী উপজেলায় রিয়াদ খানকে সদস্যসচিব, পৌর শাখায় মিজান খানকে সদস্যসচিব, উপজেলায় মো. দুলাল হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, অধ্যাপক শাহীনকে বেতাগী উপজেলায় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বামনা উপজেলার মোরশেদ খন্দকারকে সদস্যসচিব, পাথরঘাটায় কামরুল ইসলামকে সদস্যসচিব, একই উপজেলায় মো. সোয়েনকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঢাকার দক্ষিণ খানের আশকোনা শাখা থেকে ২০২২ সালের ৩ জুলাই চার নেতার নামে আট লাখ টাকা দেওয়া হয়। একই বছরের ৪ জুলাই ২৯১৬৫৯৩ নম্বর চেকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা তুলে নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা। ২৯১৬৫৯৫ নম্বর চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা তোলেন সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু।
২৯১৬৫৯৬ নম্বর চেকে ৫০ হাজার টাকা নেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ ফারুক এবং ২৯১৬৫৯৪ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নেন যুগ্ম আহ্বায়ক তালমিল ইসলাম পলাশ। পদ-বাণিজ্যে জড়ানো বিএনপি নেতাদের ২৪টি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। যেখানে বিকাশের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লাসহ কয়েক নেতাকে লাখ লাখ টাকা ও স্মার্টফোন উপহার দেওয়ার তথ্য রয়েছে।
বরগুনা জেলা বিএনপির শীর্ষ পদের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লার ভাতিজা। তিনি কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভীকে “ম্যানেজ” করে গত বছরের ১৫ এপ্রিল আগের কমিটি (নজরুল-হালিম) ভেঙে রাতের আঁধারে ফারুক মোল্লাকে আহ্বায়ক করে কমিটি এনেছেন।’
সেই নেতা আরও বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গত ১৮ জুন বিএনপির বরগুনা জেলার উপজেলা পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল নতুন ইউনিট গঠনের নামে পদ-বাণিজ্য। আর সেটাই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি করেছে। টাকা নিয়েই জেলার ইউনিট কমিটিগুলো করা হয়েছে। এই ১০টি ইউনিট কমিটি গঠনে প্রায় এক কোটি টাকার পদ-বাণিজ্য হয়েছে। বিষয়টি গত বছরের অক্টোবরে লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে ১০৮ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্তও দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন এবং কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজের কাছে ইউনিট কমিটি থেকে বাণিজ্যের অভিযোগ এলে তাঁরা তথ্য-উপাত্তসহ কেন্দ্রে লিখিতভাবে সরবরাহ করেছেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু গত ৭ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মাদ্রাসার কাজের জন্য আমি জাকির খানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। এখানে পদ দেওয়ার কোনো বিষয় নেই।’
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘বাড়ির পাশে একটি মাদ্রাসার জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।’ পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তিনি বলেন, ‘পদ-বাণিজ্য হলে জাকির খানকেই বামনার আহ্বায়ক করা হতো। সেটা তো করা হয়নি।’
জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই। আমি যদি চেক বা টাকা নিয়ে থাকি, প্রমাণ করতে পারলে সাংগঠনিক ও সামাজিক যে শাস্তি হয় মেনে নেব—এটা ষড়যন্ত্র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন খানের সঙ্গেও। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘অডিও ক্লিপ, চেক ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখেছি। ইতিমধ্যে তৃণমূল বিএনপি নেতারা কেন্দ্রকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কিছু অনুসারীকে দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল বিএনপি থেকে আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আমি কেন্দ্রকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ শুনেছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা তৃণমূলের অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছি। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৩৯ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
২ ঘণ্টা আগে