মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
বিশেষ দিন বা টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের শীর্ষে থাকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। ফলে এবারের ঈদ ও পয়লা বৈশাখের পাঁচ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটক সমাগমের আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে পর্যটকদের বরণে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামীকাল শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউসের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে। পর্যটকেরা আগামীকাল থেকে কক্সবাজারমুখী হবেন।
হোটেলমালিকেরা বলছেন, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল শতভাগ কক্ষ বুকিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কক্সবাজার শহর ও মেরিন ড্রাইভে ৫ শতাধিক আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টে প্রায় দেড় লাখ পর্যটক রাতযাপনের সুবিধা রয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউসের মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, এবারের ঈদ ও পয়লা বৈশাখের ছুটিতে মাঝারি ও তারকা মানের হোটেলগুলোতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বুকিং হয়েছে।
আবুল কাশেম বলেন, ‘পর্যটকদের বরণ করতে পাঁচ শতাধিক হোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও সাত শতাধিক রেস্তোরাঁ নতুন করে সাজানো হয়েছে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল। হোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্টগুলোও খালি পড়ে ছিল। এ সময় অধিকাংশ হোটেল, রেস্তোরাঁর সংস্কার ও সাজসজ্জা করা হয়েছে।’
সাগরপাড়ের তারকা মানের হোটেল কক্সবাজার টুডেতে কক্ষ আছে ১৪৫টি। হোটেলটির জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) আবু তালেব শাহ বলেন, ‘১৩ এপ্রিল শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। অন্য দিনগুলোতে আশানুরূপ কক্ষ বুকিং চলছে।’
আরেক তারকা মানের হোটেল সি গালের প্রধান নির্বাহী ইমরুল ছিদ্দিকী জানান, ঈদের পরের কয়েক দিন বুকিং ভালো আছে।
ট্যুর অপারেটর অব কক্সবাজার (টুয়াক) সূত্র জানায়, ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিন সৈকতে চার-পাঁচ লাখ পর্যটক আসতে পারে। পর্যটকেরা সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, সাগরদ্বীপ মহেশখালী ও সোনাদিয়া, রামুর বৌদ্ধবিহার, চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ও সুরাজপুরের নিভৃতে নিসর্গসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় করবেন।
এদিকে এবারের ঈদ ও পয়লা বৈশাখের ছুটিতে পর্যটকদের চাপ সামলাতে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটেও প্রথমবারের মতো স্পেশাল কমিউটার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পর্যটকদের জন্য স্পেশাল ট্রেনটি ঈদের পরদিন থেকে টানা ১০ দিন পর্যন্ত চলবে।’
আকাশপথেও পর্যটকদের চাপ থাকায় বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হোসেন।
গোলাম মোর্তজা বলেন, ‘ঈদের এক দিন আগ থেকে কক্সবাজার রুটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এ রুটে পর্যটন মৌসুমে দৈনিক ২০ থেকে ২২টি বিমান চলাচল করে।’
এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামলাতে এবারের ঈদ ও পয়লা বৈশাখের ছুটিতে কক্সবাজারের রাস্তাঘাট এবং পর্যটন স্পটসমূহে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া শহরের কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আপেল মাহমুদ বলেন, ‘দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ইন্টারকম ও ইমার্জেন্সি বাটন স্থাপন করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। যার মাধ্যমে পর্যটকেরা কোনো সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানাতে পারবেন।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্রমণে এসে যাতে পর্যটকেরা হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন। দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পর্যটন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে থাকবে।’
উল্লেখ্য, চলতি পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে উল্লেখযোগ্য সময় পর্যটক খরায় কেটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, জাতীয় নির্বাচন ও ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ মৌসুমে মানুষ তেমন ঘুরতে বের হয়নি। পর্যটক শূন্যতার এই মন্দা কাটে জানুয়ারির শেষের দিকে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শুরুতে মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে আবারও প্রভাব পড়ে পর্যটনশিল্পে।
বিশেষ দিন বা টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের শীর্ষে থাকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। ফলে এবারের ঈদ ও পয়লা বৈশাখের পাঁচ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটক সমাগমের আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে পর্যটকদের বরণে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামীকাল শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউসের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে। পর্যটকেরা আগামীকাল থেকে কক্সবাজারমুখী হবেন।
হোটেলমালিকেরা বলছেন, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল শতভাগ কক্ষ বুকিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কক্সবাজার শহর ও মেরিন ড্রাইভে ৫ শতাধিক আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টে প্রায় দেড় লাখ পর্যটক রাতযাপনের সুবিধা রয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউসের মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, এবারের ঈদ ও পয়লা বৈশাখের ছুটিতে মাঝারি ও তারকা মানের হোটেলগুলোতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বুকিং হয়েছে।
আবুল কাশেম বলেন, ‘পর্যটকদের বরণ করতে পাঁচ শতাধিক হোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও সাত শতাধিক রেস্তোরাঁ নতুন করে সাজানো হয়েছে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল। হোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্টগুলোও খালি পড়ে ছিল। এ সময় অধিকাংশ হোটেল, রেস্তোরাঁর সংস্কার ও সাজসজ্জা করা হয়েছে।’
সাগরপাড়ের তারকা মানের হোটেল কক্সবাজার টুডেতে কক্ষ আছে ১৪৫টি। হোটেলটির জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) আবু তালেব শাহ বলেন, ‘১৩ এপ্রিল শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। অন্য দিনগুলোতে আশানুরূপ কক্ষ বুকিং চলছে।’
আরেক তারকা মানের হোটেল সি গালের প্রধান নির্বাহী ইমরুল ছিদ্দিকী জানান, ঈদের পরের কয়েক দিন বুকিং ভালো আছে।
ট্যুর অপারেটর অব কক্সবাজার (টুয়াক) সূত্র জানায়, ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিন সৈকতে চার-পাঁচ লাখ পর্যটক আসতে পারে। পর্যটকেরা সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, সাগরদ্বীপ মহেশখালী ও সোনাদিয়া, রামুর বৌদ্ধবিহার, চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ও সুরাজপুরের নিভৃতে নিসর্গসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় করবেন।
এদিকে এবারের ঈদ ও পয়লা বৈশাখের ছুটিতে পর্যটকদের চাপ সামলাতে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটেও প্রথমবারের মতো স্পেশাল কমিউটার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পর্যটকদের জন্য স্পেশাল ট্রেনটি ঈদের পরদিন থেকে টানা ১০ দিন পর্যন্ত চলবে।’
আকাশপথেও পর্যটকদের চাপ থাকায় বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হোসেন।
গোলাম মোর্তজা বলেন, ‘ঈদের এক দিন আগ থেকে কক্সবাজার রুটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এ রুটে পর্যটন মৌসুমে দৈনিক ২০ থেকে ২২টি বিমান চলাচল করে।’
এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামলাতে এবারের ঈদ ও পয়লা বৈশাখের ছুটিতে কক্সবাজারের রাস্তাঘাট এবং পর্যটন স্পটসমূহে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া শহরের কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আপেল মাহমুদ বলেন, ‘দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ইন্টারকম ও ইমার্জেন্সি বাটন স্থাপন করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। যার মাধ্যমে পর্যটকেরা কোনো সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানাতে পারবেন।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্রমণে এসে যাতে পর্যটকেরা হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন। দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পর্যটন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে থাকবে।’
উল্লেখ্য, চলতি পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে উল্লেখযোগ্য সময় পর্যটক খরায় কেটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, জাতীয় নির্বাচন ও ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ মৌসুমে মানুষ তেমন ঘুরতে বের হয়নি। পর্যটক শূন্যতার এই মন্দা কাটে জানুয়ারির শেষের দিকে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শুরুতে মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে আবারও প্রভাব পড়ে পর্যটনশিল্পে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
১১ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
২১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৪০ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগে