চমেক হাসপাতালে হামলায় গুলিবিদ্ধ ৮ জন পালিয়েছেন, পুলিশের ওয়াকিটকি লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১০: ১৮
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১০: ৪৫

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আন্দোলনকারীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা আটজন পালিয়ে গেছেন। হামলাকারীরা পুলিশের ওয়াকিটকি ও মোবাইল ফোন লুট করলে পরে তা উদ্ধার করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘চলমান আন্দোলন-সহিংসতার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু রাত সাড়ে ৮টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে হামলা চালায়। এ সময় চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধরা হাসপাতাল ছেড়ে যান।’ 

জানা গেছে, চমেকে চিকিৎসাধীন ৮ জন পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা গতকাল শনিবার নগরীর ২ নম্বর গেট ও বহদ্দারহাট মোড়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন। 

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার মন্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে বিক্ষোভকারীরা হামলা করে পুলিশের একজন কনস্টেবলকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশের ওয়াকিটকি ও মোবাইল ফোন লুট করে। পরে অবশ্য কনস্টেবলকে ছেড়ে দেয় এবং মোবাইল ফোন, ওয়াকিটকিও উদ্ধার হয়।’ 

এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিক থেকে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের বাসাবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায়, ৭টার দিকে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ২ নম্বর গেট থেকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। 

গতকাল রাত ৮টা থেকে শুরু হয় বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. শাহাদাৎ হোসেন, মীর নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও এরশাদ উল্লাহার বাসায় ভাঙচুর, গুলি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা। 

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা থেকে আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রশাসন কাজ করছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত