রাতভর বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে বন্যার অবনতি

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১: ০৮
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১: ৫৪

রাতভর বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে আবারও বেড়েছে পানি। এতে দীর্ঘ হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। জেলায় এখনো পানিবন্দী প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। এদিকে গতকাল সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত আছে। 

বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন জানান, গত কয়েক দিন রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ থাকার কারণে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পানি নামতে শুরু করে। তবে বেশির ভাগ উঁচু এলাকা থেকে পানি নামলেও বেশির ভাগ নিম্ন এলাকা ছিল জলাবদ্ধ। এরই মধ্যে সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নিচু এলাকাগুলোতে পানি বেড়েছে, জেগে ওঠা কিছু সড়কে আবারও তলিয়েছে। এই বৃষ্টিতে নিচু এলাকাগুলোতে তিন থেকে চার ইঞ্চি পানি বেড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। 

স্থানীয়রা বলছেন, বিভিন্ন স্থানে খাল দখল ও ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ, অপরিকল্পিত কালভার্ট তৈরি এবং যেখানে-সেখানে বাঁধ দেওয়ায় পানি নামছে না। 

কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের গৃহবধূ সালেহা খাতুন জানান, দুই দিন আগে তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন। বসতঘর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় সেটি পরিষ্কারে কাজ করছেন। কিন্তু রান্নাঘরে এখনো পানি। চুলা পানির নিচে এখনো নিমজ্জিত, যার কারণে রান্নাবান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গত কয়েক দিন রোদ থাকায় পানি নেমেছিল, কিন্তু এখন আবার বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত তারা। 

জেলার বন্যাক্রান্ত আট উপজেলার মধ্যে সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচর উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো জলমগ্ন কবিরহাট, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার অধিকাংশ এলাকা। কোথাও কোথাও এখনো হাঁটু থেকে কোমরপানি রয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন, বন্যার পানিতে রান্নাঘরে চুলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। ফলে খাদ্য সমস্যায় ভুগছেন। বন্যার শুরুর দিকে জেলার বাইরে ও জেলার বিভিন্ন সংগঠন থেকে খাবার ও ত্রাণসহায়তা দিলেও তা বর্তমানে অনেকটা কমে এসেছে। 

জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে এখনো পানিবন্দী প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে ৭০ হাজার মানুষ। 

জেলায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগের সংখ্যা। বন্যাকবলিত আটটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে ৪৪৮ জন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত