নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আবারও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। এই খাতকে সিন্ডিকেটের প্রভাবমুক্ত রাখতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংগঠনটি।
শুধু তা–ই নয়, কর্মীদের সার্বিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে সরকারে কাছে আট দফা দাবি তুলে ধরেছে সংগঠনটি। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানান তাঁরা।
বক্তব্যে বায়রার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে প্রত্যেক সেক্টরে বিভিন্নভাবে সিন্ডিকেট প্রথা তৈরি হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বৈদেশিক কর্মসংস্থানের খাতকে সিন্ডিকেট চক্র চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অনিয়ম, দুর্নীতি ও অতিরিক্ত অভিবাসনের কারণে চলতি বছর ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় ৫০ হাজার কর্মী যেতে সেখানে পারেনি। যার মধ্যে ১৭ হাজার ছিল চূড়ান্তভাবে বিএমইটি সম্পন্ন করা। যার ফলে কর্মী ও এই সেক্টরের উদ্যোক্তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাবেক সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের নিয়ে এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নিজাম হাজারী, বেনজীর আহমেদ, মহিউদ্দিন মহিসহ আরও অনেকেই। ইতিমধ্যে আইএলও, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই বিষয়ে উদ্বেগ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে।’
রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে, যেখানে সিন্ডিকেটের চাঁদা ছিল জনপ্রতি ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এই অতিরিক্ত চাঁদার কারণে বড় বড় কোম্পানিগুলো, যারা বিনা পয়সায় কর্মী নেয়, তারা বাংলাদেশ থেকেও কর্মী না নিয়ে নেপাল থেকে নিয়েছে। অনেকে আবার কর্মী নিতেই পারেনি। এই সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় ৫০ হাজার কর্মী যেতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এত কিছুর পরও স্বৈরাচারী সরকারের দোসর রুহুল আমিন স্বপন ও কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আবারও সিন্ডিকেট করার অপচেষ্টা চলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিন্ডিকেট বন্ধে আট দফা দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। দাবিগুলো হলো—
১) সিন্ডিকেটের মূল হোতা রুহুল আমিন স্বপনসহ সিন্ডিকেটের পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী, নিয়ন্ত্রণকারী আওয়ামী লীগ সরকারে জড়িত মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে;
২) কোনোক্রমেই ‘সাবেক স্বৈরাচারী’ সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। যদি সিন্ডিকেট করার পুনরায় সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে বর্তমান সরকারের সঙ্গে পূর্বের সরকারের কোনো পার্থক্য থাকবে না;
৩) দুই দেশের এমওইউ সন্নিবেশিত বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়া সরকার সিলেকশন করার সুযোগ বাতিল করতে হবে। রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি সিলেকশন করবে নিয়োগকর্তা। সিন্ডিকেট মুক্ত ভাবে সকল এজেন্সি কম খরচে বা বিনা খরচে কর্মী পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল অনলাইন পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
৪) সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে যেসব কর্মী যেতে পারেননি, তাঁদের কম খরচে, সিন্ডিকেট মুক্তভাবে পুনরায় মালয়েশিয়া পাঠাতে হবে;
৫) নেপালসহ অন্যান্য ১৩টি দেশ থেকে মালয়েশিয়া যে প্রক্রিয়ায় কর্মী গ্রহণ করে, ঠিক বাংলাদেশ থেকেও একই প্রক্রিয়ায় শ্রমিক প্রেরণ করতে হবে;
৬) বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এফডব্লিউসিএমএস অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অনলাইন পদ্ধতি এবং মালয়েশিয়া সরকারের প্রস্তাবিত ই প্যাক্স বা ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে;
৭) এফডব্লিউসিএমএসের মাধ্যমে মেডিকেল পদ্ধতি বাদ দিয়ে, বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত যেকোনো মেডিকেল সেন্টারের মাধ্যমে মেডিকেল চেকআপ করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং
৮) ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চালু হওয়া দূতাবাসের সত্যায়ন অব্যাহত রাখা এবং সিন্ডিকেটকে সহায়তাকারী সাবেক ফ্যাসিবাদী আমলে নিয়োগকৃত মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বায়রার সিনিয়র সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, কার্যনির্বাহী সদস্য কামাল উদ্দীন প্রমুখ।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আবারও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। এই খাতকে সিন্ডিকেটের প্রভাবমুক্ত রাখতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংগঠনটি।
শুধু তা–ই নয়, কর্মীদের সার্বিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে সরকারে কাছে আট দফা দাবি তুলে ধরেছে সংগঠনটি। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানান তাঁরা।
বক্তব্যে বায়রার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে প্রত্যেক সেক্টরে বিভিন্নভাবে সিন্ডিকেট প্রথা তৈরি হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বৈদেশিক কর্মসংস্থানের খাতকে সিন্ডিকেট চক্র চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অনিয়ম, দুর্নীতি ও অতিরিক্ত অভিবাসনের কারণে চলতি বছর ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় ৫০ হাজার কর্মী যেতে সেখানে পারেনি। যার মধ্যে ১৭ হাজার ছিল চূড়ান্তভাবে বিএমইটি সম্পন্ন করা। যার ফলে কর্মী ও এই সেক্টরের উদ্যোক্তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাবেক সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের নিয়ে এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নিজাম হাজারী, বেনজীর আহমেদ, মহিউদ্দিন মহিসহ আরও অনেকেই। ইতিমধ্যে আইএলও, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই বিষয়ে উদ্বেগ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে।’
রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে, যেখানে সিন্ডিকেটের চাঁদা ছিল জনপ্রতি ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এই অতিরিক্ত চাঁদার কারণে বড় বড় কোম্পানিগুলো, যারা বিনা পয়সায় কর্মী নেয়, তারা বাংলাদেশ থেকেও কর্মী না নিয়ে নেপাল থেকে নিয়েছে। অনেকে আবার কর্মী নিতেই পারেনি। এই সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় ৫০ হাজার কর্মী যেতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এত কিছুর পরও স্বৈরাচারী সরকারের দোসর রুহুল আমিন স্বপন ও কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আবারও সিন্ডিকেট করার অপচেষ্টা চলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিন্ডিকেট বন্ধে আট দফা দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। দাবিগুলো হলো—
১) সিন্ডিকেটের মূল হোতা রুহুল আমিন স্বপনসহ সিন্ডিকেটের পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী, নিয়ন্ত্রণকারী আওয়ামী লীগ সরকারে জড়িত মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে;
২) কোনোক্রমেই ‘সাবেক স্বৈরাচারী’ সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। যদি সিন্ডিকেট করার পুনরায় সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে বর্তমান সরকারের সঙ্গে পূর্বের সরকারের কোনো পার্থক্য থাকবে না;
৩) দুই দেশের এমওইউ সন্নিবেশিত বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়া সরকার সিলেকশন করার সুযোগ বাতিল করতে হবে। রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি সিলেকশন করবে নিয়োগকর্তা। সিন্ডিকেট মুক্ত ভাবে সকল এজেন্সি কম খরচে বা বিনা খরচে কর্মী পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল অনলাইন পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
৪) সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে যেসব কর্মী যেতে পারেননি, তাঁদের কম খরচে, সিন্ডিকেট মুক্তভাবে পুনরায় মালয়েশিয়া পাঠাতে হবে;
৫) নেপালসহ অন্যান্য ১৩টি দেশ থেকে মালয়েশিয়া যে প্রক্রিয়ায় কর্মী গ্রহণ করে, ঠিক বাংলাদেশ থেকেও একই প্রক্রিয়ায় শ্রমিক প্রেরণ করতে হবে;
৬) বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এফডব্লিউসিএমএস অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অনলাইন পদ্ধতি এবং মালয়েশিয়া সরকারের প্রস্তাবিত ই প্যাক্স বা ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে;
৭) এফডব্লিউসিএমএসের মাধ্যমে মেডিকেল পদ্ধতি বাদ দিয়ে, বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত যেকোনো মেডিকেল সেন্টারের মাধ্যমে মেডিকেল চেকআপ করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং
৮) ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চালু হওয়া দূতাবাসের সত্যায়ন অব্যাহত রাখা এবং সিন্ডিকেটকে সহায়তাকারী সাবেক ফ্যাসিবাদী আমলে নিয়োগকৃত মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বায়রার সিনিয়র সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, কার্যনির্বাহী সদস্য কামাল উদ্দীন প্রমুখ।
রংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১৩ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১৭ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
২৭ মিনিট আগেগণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো আপসের পথে হাঁটছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আপস করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে। দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাও চলছে বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।
৩৪ মিনিট আগে