আনিসুল ইসলাম, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন অনেকে।
এখন শুধু দখল টিকিয়ে রাখার জন্য মাঝেমধ্যে তাঁরা এসব ঘরে আসেন।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলায় পাঁচ ধাপে ২ শতাংশ জমিসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি আধাপাকা ঘর পেয়েছে ৩২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। উপজেলার ১০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে উপকারভোগী পরিবারগুলোকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিটি ঘরে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-সংযোগ, স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ, রিংওয়েল নলকূপ ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন। যাঁরা এই সেবার আওতায় এসেছেন, এর বাইরেও বহু গৃহহীন দরিদ্র পরিবার আছে কাপাসিয়ায়। তারপরও ২০২৩ সালের ২২ মার্চ কাপাসিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে তিন ধাপে ১১৪টি পরিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরের বরাদ্দ পেয়েছে। এ ঘরগুলোর মাঝে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের গাড়িচালক সোহেল রানার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপের ১২ নম্বর ঘরটি। সেখানে কেউ থাকেন না। ঘরটি এখন কুকুরের দখলে। সম্প্রতি এ ঘরে একটি কুকুর তিনটি বাচ্চা প্রসব করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ১৩ নম্বর ঘর। তিনি সেখানে থাকেন না। এ ছাড়া আশ্রয়ণের ১৩, ১৪, ৩৬ ও ৫৪ নম্বর ঘরেও কেউ থাকেন না। এ ধাপের ৪৭ নম্বর ঘরে কেউ বসবাস না করায় এক প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি ছাগল লালনপালন করেন।
১৮ নম্বর ঘরে বসবাসকারী একজন কাঠমিস্ত্রি পাশের ১৭ নম্বর ঘরটি খালি পেয়ে প্রথম থেকে তাঁর আসবাব তৈরির কাঠগুলো সেই ঘরে রেখে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তা ছাড়া ৩, ১২, ১৬, ২৯, ৪৯, ৫৭, ৬৫ নম্বর ঘরসহ ৩৫-৪০টি ঘর প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন।
রায়েদ ইউনিয়নের চৌরাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, মোট ৬৫ ঘর রয়েছে। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ, ৬ নম্বর ঘরের বাসিন্দা ইন্তাজ মিয়া, ২২ নম্বর ঘরের বাসিন্দা শামীমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দুই বছর ধরে ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৫, ১৬, ১৭, ২৭, ২৯, ৩৫, ৩৬, ৪২, ৪৪, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪, ৫৭, ৬৫ ও ৩৮ নম্বর ঘরগুলো খালি পড়ে রয়েছে। এখানেও ২৫-২৬টি ঘর খালি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাড়ির মালিক না আসায় স্থানীয় বখাটেরা এসব ঘরে আড্ডা দেন। এখানে একটি গভীর নলকূপ এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত পানির ট্যাংক দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ্বর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৭টি ঘর রয়েছে। সেখানে ৫, ১০, ৩৪ ও ৪৭ নম্বর ঘরগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী বাসিন্দা জানান, সেখানেও ১৪-১৫টি ঘর প্রথম থেকেই খালি পড়ে রয়েছে।
বারিষাব ইউনিয়নের শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর রয়েছে ৩৮টি। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা আসমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৭, ২৮ নম্বর ঘরসহ ১৫-১৬টি ঘরে কেউ কোনো দিন বসবাস করতে দেখেনি। সেখানকার ২১ নম্বর ঘরে এক প্রতিবেশী গরু পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম জানান, তিনি যোগদানের বহু আগে এসব ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বহু ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্তরা থাকেন না বলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন অনেকে।
এখন শুধু দখল টিকিয়ে রাখার জন্য মাঝেমধ্যে তাঁরা এসব ঘরে আসেন।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলায় পাঁচ ধাপে ২ শতাংশ জমিসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি আধাপাকা ঘর পেয়েছে ৩২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। উপজেলার ১০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে উপকারভোগী পরিবারগুলোকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিটি ঘরে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-সংযোগ, স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ, রিংওয়েল নলকূপ ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন। যাঁরা এই সেবার আওতায় এসেছেন, এর বাইরেও বহু গৃহহীন দরিদ্র পরিবার আছে কাপাসিয়ায়। তারপরও ২০২৩ সালের ২২ মার্চ কাপাসিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে তিন ধাপে ১১৪টি পরিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরের বরাদ্দ পেয়েছে। এ ঘরগুলোর মাঝে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের গাড়িচালক সোহেল রানার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপের ১২ নম্বর ঘরটি। সেখানে কেউ থাকেন না। ঘরটি এখন কুকুরের দখলে। সম্প্রতি এ ঘরে একটি কুকুর তিনটি বাচ্চা প্রসব করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ১৩ নম্বর ঘর। তিনি সেখানে থাকেন না। এ ছাড়া আশ্রয়ণের ১৩, ১৪, ৩৬ ও ৫৪ নম্বর ঘরেও কেউ থাকেন না। এ ধাপের ৪৭ নম্বর ঘরে কেউ বসবাস না করায় এক প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি ছাগল লালনপালন করেন।
১৮ নম্বর ঘরে বসবাসকারী একজন কাঠমিস্ত্রি পাশের ১৭ নম্বর ঘরটি খালি পেয়ে প্রথম থেকে তাঁর আসবাব তৈরির কাঠগুলো সেই ঘরে রেখে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তা ছাড়া ৩, ১২, ১৬, ২৯, ৪৯, ৫৭, ৬৫ নম্বর ঘরসহ ৩৫-৪০টি ঘর প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন।
রায়েদ ইউনিয়নের চৌরাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, মোট ৬৫ ঘর রয়েছে। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ, ৬ নম্বর ঘরের বাসিন্দা ইন্তাজ মিয়া, ২২ নম্বর ঘরের বাসিন্দা শামীমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দুই বছর ধরে ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৫, ১৬, ১৭, ২৭, ২৯, ৩৫, ৩৬, ৪২, ৪৪, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪, ৫৭, ৬৫ ও ৩৮ নম্বর ঘরগুলো খালি পড়ে রয়েছে। এখানেও ২৫-২৬টি ঘর খালি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাড়ির মালিক না আসায় স্থানীয় বখাটেরা এসব ঘরে আড্ডা দেন। এখানে একটি গভীর নলকূপ এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত পানির ট্যাংক দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ্বর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৭টি ঘর রয়েছে। সেখানে ৫, ১০, ৩৪ ও ৪৭ নম্বর ঘরগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী বাসিন্দা জানান, সেখানেও ১৪-১৫টি ঘর প্রথম থেকেই খালি পড়ে রয়েছে।
বারিষাব ইউনিয়নের শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর রয়েছে ৩৮টি। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা আসমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৭, ২৮ নম্বর ঘরসহ ১৫-১৬টি ঘরে কেউ কোনো দিন বসবাস করতে দেখেনি। সেখানকার ২১ নম্বর ঘরে এক প্রতিবেশী গরু পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম জানান, তিনি যোগদানের বহু আগে এসব ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বহু ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্তরা থাকেন না বলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সোনাটিলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ১৩ বাংলাদেশিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কী কারণে তারা ভারত অনুপ্রবেশ করেছেন বা বিএসএফ কীভাবে তাদের ধরে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি এখনো সুনির্দিষ্টভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি তা
২ ঘণ্টা আগেচাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবস ছিল খুন হওয়া জাহাজ মাস্টার কিবরিয়া বিশ্বাসের (৬০)। জাহাজের মালামাল খালাস করে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন বাড়িতে। আগামী ১০ জানুয়ারি বড় মেয়ে হাবিবা আক্তারের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল, তাই চলছিল এর প্রস্তুতি। কিন্তু নৃশংসভাবে খুন হন কিবরিয়া বিশ্বাস।
২ ঘণ্টা আগেবরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। ইউনিটের স্থায়ী তিন চিকিৎসকের মধ্যে একজনকে রেখে বাকিদের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। প্রেষণে সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক কোনোরকমে এর দেখভাল করছেন। এতে করে শীতের মৌসুমে হাসপাতালে আসা পোড়া রোগীদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কাজ না করেই বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সফিকুর রহমান নামের এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। তিনি রহমানিয়া বাণিজ্য সংস্থা নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজের অনেক অভিযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
২ ঘণ্টা আগে