নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তিনি অভিজাত চোর। টার্গেট করেন চাকরিজীবী নারী-পুরুষদের। অংশ নেন বিভিন্ন সভা-সেমিনারে। চুরি করেন ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, রেডিসন এবং সোনারগাঁয়ের মতো অভিজাত হোটেলে। চোরাইকৃত জিনিস ব্যবহার করে যাপন করতেন অভিলাষী জীবন। এক যুগ ধরে এই নারী চুরি করেন ঢাকায়।
সম্ভ্রান্ত পরিবারের এই নারী চুরি করায় পরিবারও তাঁকে এড়িয়ে চলেন। এই নারী সর্বশেষ নিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রখ্যাত চিকিৎসক পরিচয়ে চিকিৎসা করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ডিবির হাতে। তাঁর নাম জুবাইদা সুলতানা (৪৪)।
আজ শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এডিসি মো. সাইফুর রহমান বলেন, রমনা থানার একটি মামলার সূত্র ধরে জুবাইদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে নারীদের চুরি করা ব্যাগ, ল্যাপটপ, টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নিজেকে ঢাকা মেডিকেলের গাইনি ওনকোলজি বিভাগের হেড অব ওনকোলজি হিসেবে নিজেকে ডা. ফারহানা হক পরিচয় দেন। তাঁর প্রকৃত নাম জুবাইদা সুলতানা (৪৪)। অনলাইন ও হোয়াটসঅ্যাপে দেদার দিয়েছেন রোগীদের চিকিৎসা। যদিও আসলে তিনি চোর। বিভিন্ন পাঁচ-তারকা হোটেলে ও রেস্টুরেন্টে পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের সভা-সিম্পোজিয়াম, সেমিনারে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে অংশগ্রহণ করতেন। সারা দিন গুরুগম্ভীর আলোচনার ফাঁকে চুরি করে সটকে পড়তেন।
৩ মার্চ ঢাকা ক্লাবে গাইনোকোলজিক্যাল ওনকোলজি বিষয়ক এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানে ডা. ফারহানা হক নামের এক চিকিৎসকের মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও গয়না চুরি করেন। দামি সব জিনিসপত্র বিক্রি করে দিলেও ডা. ফারহানার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি স্থানান্তর করে নেন নিজের মোবাইলে। সেই থেকে ডা. ফারহানা সেজে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন রোগীকে। অবশেষে গোয়েন্দা তৎপরতায় গ্রেপ্তার হন কথিত ডা. ফারহানা হক ওরফে জুবাইদা সুলতানা। তাঁর বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি চুরির মামলা হয়েছে।
ডিবির কর্মকর্তারা বলেন, জুবাইদার বাবা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব। বড় বোন একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির বড় পদে চাকরি করেন। তাঁর স্বামী সৌদিপ্রবাসী। চুরির অভ্যাসের জন্য বাবা ও পরিবার থেকে বিতাড়িত। চুরি করেন ১২ বছর যাবৎ। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০-৮০০ মোবাইল, ল্যাপটপ ও দামি ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি করেন অভিজাত এলাকা থেকে। টার্গেট করতেন কর্মজীবী মহিলা ও স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের। রেজিস্ট্রেশন করে অংশ নিতেন বড় বড় সভা-সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপে। নিয়মিত যাতায়াত ছিল ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, শুটিং ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। করতেন বিলাসী জীবনযাপন। নিজেকে রাখতেন পরিমিতভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে।
তিনি অভিজাত চোর। টার্গেট করেন চাকরিজীবী নারী-পুরুষদের। অংশ নেন বিভিন্ন সভা-সেমিনারে। চুরি করেন ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, রেডিসন এবং সোনারগাঁয়ের মতো অভিজাত হোটেলে। চোরাইকৃত জিনিস ব্যবহার করে যাপন করতেন অভিলাষী জীবন। এক যুগ ধরে এই নারী চুরি করেন ঢাকায়।
সম্ভ্রান্ত পরিবারের এই নারী চুরি করায় পরিবারও তাঁকে এড়িয়ে চলেন। এই নারী সর্বশেষ নিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রখ্যাত চিকিৎসক পরিচয়ে চিকিৎসা করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ডিবির হাতে। তাঁর নাম জুবাইদা সুলতানা (৪৪)।
আজ শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এডিসি মো. সাইফুর রহমান বলেন, রমনা থানার একটি মামলার সূত্র ধরে জুবাইদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে নারীদের চুরি করা ব্যাগ, ল্যাপটপ, টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নিজেকে ঢাকা মেডিকেলের গাইনি ওনকোলজি বিভাগের হেড অব ওনকোলজি হিসেবে নিজেকে ডা. ফারহানা হক পরিচয় দেন। তাঁর প্রকৃত নাম জুবাইদা সুলতানা (৪৪)। অনলাইন ও হোয়াটসঅ্যাপে দেদার দিয়েছেন রোগীদের চিকিৎসা। যদিও আসলে তিনি চোর। বিভিন্ন পাঁচ-তারকা হোটেলে ও রেস্টুরেন্টে পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের সভা-সিম্পোজিয়াম, সেমিনারে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে অংশগ্রহণ করতেন। সারা দিন গুরুগম্ভীর আলোচনার ফাঁকে চুরি করে সটকে পড়তেন।
৩ মার্চ ঢাকা ক্লাবে গাইনোকোলজিক্যাল ওনকোলজি বিষয়ক এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানে ডা. ফারহানা হক নামের এক চিকিৎসকের মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও গয়না চুরি করেন। দামি সব জিনিসপত্র বিক্রি করে দিলেও ডা. ফারহানার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি স্থানান্তর করে নেন নিজের মোবাইলে। সেই থেকে ডা. ফারহানা সেজে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন রোগীকে। অবশেষে গোয়েন্দা তৎপরতায় গ্রেপ্তার হন কথিত ডা. ফারহানা হক ওরফে জুবাইদা সুলতানা। তাঁর বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি চুরির মামলা হয়েছে।
ডিবির কর্মকর্তারা বলেন, জুবাইদার বাবা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব। বড় বোন একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির বড় পদে চাকরি করেন। তাঁর স্বামী সৌদিপ্রবাসী। চুরির অভ্যাসের জন্য বাবা ও পরিবার থেকে বিতাড়িত। চুরি করেন ১২ বছর যাবৎ। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০-৮০০ মোবাইল, ল্যাপটপ ও দামি ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি করেন অভিজাত এলাকা থেকে। টার্গেট করতেন কর্মজীবী মহিলা ও স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের। রেজিস্ট্রেশন করে অংশ নিতেন বড় বড় সভা-সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপে। নিয়মিত যাতায়াত ছিল ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, শুটিং ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। করতেন বিলাসী জীবনযাপন। নিজেকে রাখতেন পরিমিতভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে।
ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করলে আহত ব্যক্তিদের বন্ধুরা পুলিশের ওপর চড়াও হন। তাঁরা দুই পুলিশ সদস্যকে কিল-ঘুষি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি সেখান থেকে নিয়ে সটকে পড়েন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত দুই সহকর্মীকে উদ্ধ
৩৭ মিনিট আগেপাবনার ঈশ্বরদীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে নারীসহ দুজন মারা গেছেন। অটোরিকশায় চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুতাহত ব্যক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে এক বৃদ্ধাও মারা যান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পাকশী বিভাগীয় রেল শহরের এম এস কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন পাকশীর হঠাৎপাড়া এলাকার মৃত ফজল মাতুব্বরের ছেলে...
৪৪ মিনিট আগেচাঁদা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণ মো. আশরাফুলকে ধরতে অভিযান চালানো হয়। রাতে ধানমন্ডি এলাকায় থেকে তাঁকে আটক করা হয়। বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জে। থাকেন হাজারিবাগ এলাকায়।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে