রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে বনের জমি দখল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী এবং কৃষক লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। পরে তাঁরা সেগুলো নিজেদের নামে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, মার্কেট নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ে নামমাত্র বাধা দিয়েছিল বন বিভাগ। তবে তাতে নির্মাণকাজ বন্ধ করা যায়নি। তাদের নীরবতার কারণেই বনের জমিতে মার্কেট হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানে না দাবি করে বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বনভূমি উদ্ধারে ওই মার্কেট উচ্ছেদ করা হবে।
এদিকে মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এ বিষয়ে জানতে সভাপতি শাহাবুদ্দিন মাস্টারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়াকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা ধরেননি।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের বাউনী বাজারের পাশে সরকারের ২ নম্বর খতিয়ানভুক্ত শ্রীপুর রেঞ্জের সদর বিটের আওতাধীন সিএস দাগ ২১, আরএস ৪৯০ নম্বর দাগের ৩ একর ৭০ শতাংশ জমিতে নির্মাণ করা করা হয়েছে মার্কেট। দূর থেকে মনে হবে লম্বা বিদ্যালয় ভবন।
মার্কেটে রয়েছে বেশ কিছু রুম। রুমগুলো অভিযুক্তরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে বনের জায়গা দখল করে এ মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁর কাজে সহযোগিতা করছেন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী আবুল হাসেন, ওমর ফারুক, বেলায়েত, কফিল উদ্দিন, আবুল কাশেম ও শামসুদ্দিন। আরও রয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ইউসুফ ও মনিরুল ইসলাম।
পাশের বাউনী বাজার কমিটির সভাপতি কৃষক লীগ নেতা তোফাজ্জল বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে বনের জায়গা দখল করে মার্কেট হয়নি। আমি তাঁদের সহযোগিতা করেছি। আশপাশের লোকজন সবাই মিলে এই মার্কেট নির্মাণ করেছেন। এটি সম্পূর্ণ বনভূমি। এই মার্কেটে আমার কোনো রুমও নেই। বাজারের সভাপতি হিসেবে আমাকে তো একটু সহযোগিতা করতে হয়। সে জন্য একটু সহযোগিতা করেছি। তবে বন বিভাগের লোকজন একবার সামান্য ভেঙে ফেলে। এরপর পুনরায় মার্কেটের নির্মাণকাজ শেষ হয়।’
মার্কেট নির্মাণের সঙ্গে জড়িত শামসুদ্দিন বলেন, ‘জমি তো বন বিভাগের, এটা সবাই জানে। আপনাদের কোনো কথা থাকলে বন বিভাগের সঙ্গে বলেন।’
পাশের গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলী বলেন, ‘আমার বাড়ির আশপাশে বনভূমি রয়েছে। আমরা একটা টয়লেট করতে গেলে কত হয়রানির শিকার হতে হয়। কত মামলার আসামি হতে হয়। অথচ বিশাল মার্কেট নির্মাণ হয়ে গেল। কেউ কিছু বলল না, কেউ বাধা দিল না। আসলেই যত আইন গরিবের জন্য।’
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহিন বলেন, ‘বনের জায়গা দখল করে মার্কেট হয়েছে কি না, জানা নেই।’
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বনের জায়গায় মার্কেট হয়েছে, সেটা জানি। কিন্তু যুবলীগের কোনো কর্মী জড়িত কি না, সেটা জানি না।’
শ্রীপুর সদর বিট কর্মকর্তা আলাল খান বলেন, ‘মার্কেট নির্মাণের শুরু থেকেই আমরা বাধা দিয়েছি। চক্রটি খুবই শক্তিশালী। আমাদের ওপর হামলা করে তারা। পরপর কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ওরা আমাদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়।’
শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘যে জমিতে মার্কেট নির্মাণ হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ বনভূমি। জবরদখল করে একটি চক্র মার্কেট নির্মাণ করেছে। এখানে আমি নিজে দুবার অভিযান পরিচালনা করে ভেঙে দিয়েছি। তবুও রক্ষা করতে পারিনি বনভূমি। দখলদারদের নামে মামলা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। আপনারা নিশ্চিত থাকেন, বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্কেট উচ্ছেদ করে বনভূমি উদ্ধার করা হবে। বনভূমি জবরদখল করে মার্কেট নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে বনের জমি দখল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী এবং কৃষক লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। পরে তাঁরা সেগুলো নিজেদের নামে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, মার্কেট নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ে নামমাত্র বাধা দিয়েছিল বন বিভাগ। তবে তাতে নির্মাণকাজ বন্ধ করা যায়নি। তাদের নীরবতার কারণেই বনের জমিতে মার্কেট হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানে না দাবি করে বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বনভূমি উদ্ধারে ওই মার্কেট উচ্ছেদ করা হবে।
এদিকে মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এ বিষয়ে জানতে সভাপতি শাহাবুদ্দিন মাস্টারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়াকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা ধরেননি।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের বাউনী বাজারের পাশে সরকারের ২ নম্বর খতিয়ানভুক্ত শ্রীপুর রেঞ্জের সদর বিটের আওতাধীন সিএস দাগ ২১, আরএস ৪৯০ নম্বর দাগের ৩ একর ৭০ শতাংশ জমিতে নির্মাণ করা করা হয়েছে মার্কেট। দূর থেকে মনে হবে লম্বা বিদ্যালয় ভবন।
মার্কেটে রয়েছে বেশ কিছু রুম। রুমগুলো অভিযুক্তরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে বনের জায়গা দখল করে এ মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁর কাজে সহযোগিতা করছেন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী আবুল হাসেন, ওমর ফারুক, বেলায়েত, কফিল উদ্দিন, আবুল কাশেম ও শামসুদ্দিন। আরও রয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ইউসুফ ও মনিরুল ইসলাম।
পাশের বাউনী বাজার কমিটির সভাপতি কৃষক লীগ নেতা তোফাজ্জল বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে বনের জায়গা দখল করে মার্কেট হয়নি। আমি তাঁদের সহযোগিতা করেছি। আশপাশের লোকজন সবাই মিলে এই মার্কেট নির্মাণ করেছেন। এটি সম্পূর্ণ বনভূমি। এই মার্কেটে আমার কোনো রুমও নেই। বাজারের সভাপতি হিসেবে আমাকে তো একটু সহযোগিতা করতে হয়। সে জন্য একটু সহযোগিতা করেছি। তবে বন বিভাগের লোকজন একবার সামান্য ভেঙে ফেলে। এরপর পুনরায় মার্কেটের নির্মাণকাজ শেষ হয়।’
মার্কেট নির্মাণের সঙ্গে জড়িত শামসুদ্দিন বলেন, ‘জমি তো বন বিভাগের, এটা সবাই জানে। আপনাদের কোনো কথা থাকলে বন বিভাগের সঙ্গে বলেন।’
পাশের গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলী বলেন, ‘আমার বাড়ির আশপাশে বনভূমি রয়েছে। আমরা একটা টয়লেট করতে গেলে কত হয়রানির শিকার হতে হয়। কত মামলার আসামি হতে হয়। অথচ বিশাল মার্কেট নির্মাণ হয়ে গেল। কেউ কিছু বলল না, কেউ বাধা দিল না। আসলেই যত আইন গরিবের জন্য।’
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহিন বলেন, ‘বনের জায়গা দখল করে মার্কেট হয়েছে কি না, জানা নেই।’
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বনের জায়গায় মার্কেট হয়েছে, সেটা জানি। কিন্তু যুবলীগের কোনো কর্মী জড়িত কি না, সেটা জানি না।’
শ্রীপুর সদর বিট কর্মকর্তা আলাল খান বলেন, ‘মার্কেট নির্মাণের শুরু থেকেই আমরা বাধা দিয়েছি। চক্রটি খুবই শক্তিশালী। আমাদের ওপর হামলা করে তারা। পরপর কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ওরা আমাদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়।’
শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘যে জমিতে মার্কেট নির্মাণ হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ বনভূমি। জবরদখল করে একটি চক্র মার্কেট নির্মাণ করেছে। এখানে আমি নিজে দুবার অভিযান পরিচালনা করে ভেঙে দিয়েছি। তবুও রক্ষা করতে পারিনি বনভূমি। দখলদারদের নামে মামলা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। আপনারা নিশ্চিত থাকেন, বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্কেট উচ্ছেদ করে বনভূমি উদ্ধার করা হবে। বনভূমি জবরদখল করে মার্কেট নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।’
নওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও প্রতিপক্ষের মারধরে মাছচাষীসহ চারজন আহত হয়েছেন। এক ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার টেকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১১ মিনিট আগেসিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
২৭ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে