Ajker Patrika

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও জড়িতদের শাস্তির দাবি

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
শেরপুরের শ্রীবরদীতে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও বালু উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
শেরপুরের শ্রীবরদীতে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও বালু উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে গারো পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, ফসলি জমি, পাহাড়, রাস্তাঘাট ধ্বংস করে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ছাত্র-জনতার উদ্যোগে শ্রীবরদী চৌরাস্তায় এই বিক্ষোভ–মিছিল হয়।

পরে মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে চৌরাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্র–জনতা। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রকৃতি ও পরিবেশকর্মী ব্যারিস্টার শাহাদাত হোসেন জিকু, শিক্ষার্থী ও পরিবেশকর্মী সুলতান মাহমুদ সুমন, শিক্ষার্থী আরিফ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, শ্রীবরদী উপজেলায় সরকার নির্ধারিত কোনো বালুমহাল না থাকার পরও গারো পাহাড় এলাকার চান্দাপাড়া, মাটি ফাটা, বাবেলাকোনা ও হারিয়াকোনা গ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদী ঢেউপা ও খাড়ামোড়া এবং হালুহাটি, রাঙাজান ও বালিজুরী গ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া সোমেশ্বরীর বিভিন্ন অংশে দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু লুটপাট অব্যাহত রয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ ও স্মারকলিপি দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে হুমকির মুখে রয়েছে চান্দাপাড়া ব্রিজ, রাঙাজান মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, বালিজুরী ঈদগাহ মাঠ, নদীর দুই পাশে বসবাসরত শত শত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, পাহাড়ি ছোট–বড় সড়ক। এ সময় স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বক্তারা। এ ছাড়া অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া ও অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত