Ajker Patrika

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৯: ৪৮
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

ভাতা বৃদ্ধি এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৪ দফা দাবিতে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডাকা কর্মবিরতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালেও চলছে। এতে তিন দিন ধরে উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, সবকিছু ‘ম্যানেজ’ করা হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমবিবিএস শেষ করে রামেক হাসপাতালে ২১০ ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে ইন্টার্নশিপ করছেন। এ ছাড়া আগেই এমবিবিএস শেষ করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ না করা আরও প্রায় ৬০ জন চিকিৎসক এফসিপিএস ও এমডিএমএস কোর্স করছেন। তাঁরা সবাই কর্মবিরতিতে রয়েছেন গত রোববার (২৪ মার্চ) থেকে। ফলে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, এফসিপিএস ও এমডিএমএস কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকেরা প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পান। তাঁরা এই মাসিক ভাতা বাড়ানোর দাবি তোলেন। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা ২৫ হাজার টাকা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাই পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন সারা দেশেই কর্মবিরতির ডাক দেয়। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা এখন মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পান। তাঁরা এটি দ্বিগুণ করার দাবি জানাচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁদের এক বছরের ইন্টার্নশিপ দুই বছর করার দাবি করছেন। 

চার দফা দাবি নিয়ে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধিদল ২৪ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে আশানুরূপ ফলাফল না পেয়ে সেদিনই পরদিন ২৫ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত পূর্ণ কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন। তবে রামেক হাসপাতালে ২৪ মার্চ থেকেই কর্মবিরতি শুরু হয়ে যায়। এখন হাসপাতালটিতে মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ও মধ্যম পর্যায়ের চিকিৎসকদের দিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা ওয়ার্ডে নেই। মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ও মধ্যম পর্যায়ের চিকিৎসকেরা দায়িত্ব পালন করছেন। রোগীদের কেউ কেউ এই চিকিৎসকদের অত্যন্ত তৎপর থাকার কথা জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, আগের মতো ডাকলেই চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছেন না। কয়েকবার সমস্যার কথা জানানোর পর চিকিৎসক এসে রোগী দেখে যাচ্ছেন। ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকেরা না থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। 

জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকেরাই মূলত সারাক্ষণ ওয়ার্ডে থাকেন। তাঁরা না থাকার কারণে কিছু কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। তবে জুনিয়র প্রভাষক ও মিড লেভেলের ডাক্তারদের দিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা অত্যন্ত তৎপর আছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে সব সেবা কার্যক্রমই চলছে। গতরাতে আমি ১টা পর্যন্ত হাসপাতালেই ছিলাম। ঘুরে ঘুরে দেখেছি। কিন্তু এটা তো দাবি আদায়ের কৌশল হতে পারে না। আন্দোলন যদিও কেন্দ্রীয়ভাবে হচ্ছে, তারপরেও আমি তাদের সঙ্গে কাল বসব। কথা বলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত