রামেক হাসপাতাল: আসলের খোলসে ভরে নকল এসি সরবরাহ

  • ব্রাদার্স কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
  • প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪: ০৭
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ৫৯
Thumbnail image
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে লাগানো নকল এসি খুলে রাখা হয়েছে বারান্দায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এবার নকল শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে। ব্রাদার্স কনস্ট্রাকশন নামের ওই প্রতিষ্ঠান এর আগে দরজা ও লিফট লাগাতেও জালিয়াতি করেছে। বদলানো হয়েছে সেই দরজা। লিফটও খুলে রাখা হয়েছে। এবার সামনে এসেছে এসি জালিয়াতির বিষয়টি।

এদিকে ওই ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবিতে গত সোমবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ব্রাদার্স কনস্ট্রাকশন ১০ কোটি ৯৫ লাখ ৯০ হাজার টাকায় রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট নির্মাণের কাজ পায়। আইসিইউ ইউনিটে স্মার্ট দরজা লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার সৈয়দ জাকির হোসেন কাঠের দরজা লাগিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে দরজা তিনটি পাল্টে কাচের দরজা লাগানো হয়েছে। একইভাবে স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী বেড কাম প্যাসেঞ্জার লিফট লাগানোর কথা ছিল। ঠিকাদার শুধু প্যাসেঞ্জার লিফট লাগিয়ে দেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে সাত মাস আগে লিফটটি খুলে নিলেও কার্যাদেশের লিফট সরবরাহ করা হয়নি। ফলে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে আইসিইউ ইউনিটে ২৩টি এসি লাগিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। লাগানোর পর সমস্যা দেখা দেওয়ায় ৯টি খুলে দেখা গেছে, এগুলো স্থানীয়ভাবে তৈরি। এ ব্যাপারে গত ৩ অক্টোবর সভা শেষে বিশেষজ্ঞ ডেকে এসিগুলো যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া যায়, ঠিকাদার নকল এসি সরবরাহ করেছেন।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ‘সবগুলো অরিজিনাল এসি না দেওয়া পর্যন্ত নকলগুলো সরাতে দেওয়া হবে না।’

রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ইমারত) কাউসার সরকার বলেন, কয়েকটা এসির সমস্যা ছিল। সেগুলো পাল্টে দেওয়া হয়েছে। এসিগুলো নকল, তা স্বীকার করতে চাননি গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াত মুহাম্মদ শাকিউল আজম। তিনি বলেন, ‘কিছু একটা সমস্যা ছিল বলেই তো চেঞ্জ করে দেওয়া হচ্ছে।’

কথা বলতে ঠিকাদার সৈয়দ জাকির হোসেনকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত