মিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের প্রায় সব মাঠের ধানখেতে এখন দেখা মিলবে পাখিদের দল। দূর থেকে দেখতে সাদা বকের মতো মনে হলেও লম্বা সরু দুটি পা নিয়ে ওড়াউড়ি করা পাখিটির নাম শামুকখোল। খেত থেকে অদ্ভুত গঠনের লম্বা দুটি ঠোঁট দিয়ে শামুক খুঁজে বেড়ায় এরা।
দীর্ঘ এক যুগ ধরে এই পাখির দেখা মিলছে রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামে। স্থানীয় আনসার আলী নামের এক ব্যক্তির বাঁশঝাড়ে আবাস গড়েছে শামুকখোলের দল। গ্রামের লোকজন ভালোবাসায় আগলে রেখেছে পাখিগুলো। দেবীপুর গ্রামে শামুকখোল পাখি ধরা ও মারা নিষিদ্ধ। পাখির কলকাকলিতেই ঘুম ভাঙে এই গ্রামের মানুষের। খুব সকালে দল বেঁধে খাবারের সন্ধানে মাঠে মাঠে বেরিয়ে যায় পাখিগুলো।
গ্রামের লোকজন জানান, এখন বোরো মৌসুম। বেশির ভাগ সময়ই ধানখেতে চরে শামুকখোল। সারা দিন ঘুরেফিরে, খেয়েদেয়ে সন্ধ্যার আগেই পাখিগুলো ফিরে আসে—আশ্রয় নেয় গ্রামের বাঁশঝাড়, শিমুল ও কড়ইগাছের ডালে। গ্রামের লোকজনও পরম মমতায় নিরাপদ আশ্রয় করে দিয়েছে এদের।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষজন পাখিগুলো দেখলেই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে থাকে। গ্রামে নেই কোনো পাখি শিকারি, নেই স্থানীয়দের শ্যেন দৃষ্টি। অনুকূল পরিবেশ পেয়ে প্রতিবছর বারবারই ফিরে আসে পাখির দল, থাকে একটানা প্রায় ছয় থেকে আট মাস।
দেবীপুর গ্রামের কামারুজ্জামান আলেক বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে ধানখেতে গেলেই দেখা মেলে শামুকখোল পাখির। দেখতেও ভালো লাগে। প্রথমে দেখতে বকের মতো মনে হলেও পরে আমরা খেয়াল করি পাখিগুলো বকের চেয়ে একটু বড়। আর পাখিগুলো কালো আর ধূসর রঙের।’
আলেক বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে এই গ্রামে পাখিগুলো দেখতে পাই। তবে আগের চেয়ে এ পাখির সংখ্যা এখন একটু কম দেখা যায়। আমরা গ্রামবাসী মিলে এই শিকারিদের বাধা দিই। এর ফলে পাখিগুলো নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে এখানে বসবাস করছে।’
একই গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এই পাখিগুলো ধানখেতে থাকা শামুক আর পোকা খেয়ে থাকে। এর ফলে আমাদের খেতেরও উপকার হয়। এ ছাড়া পাখির বর্জ্যে সারের মতো কাজ করে। তাই কৃষকেরা জমিতে পড়লে এ পাখি তাড়ায় না। কারণ ধানখেত পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাচ্ছে আর পাখির বর্জ্যে সারও হচ্ছে।’
উপজেলার দাওকান্দি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আয়নাল হক বলেন, ‘শামুকখোল পাখি দলবদ্ধ এবং খাবারের প্রাচুর্য থাকলে অল্প জায়গায় গাদাগাদি করে থাকতে পছন্দ করে। এই পাখির ঠোঁট অনেকটাই জাঁতাকলের মতো কাজ করায় শক্ত শামুকগুলো তারা অনায়াসে গিলে ফেলতে পারে। ফসলের জন্য পাখিটি উপকারী।’
রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের প্রায় সব মাঠের ধানখেতে এখন দেখা মিলবে পাখিদের দল। দূর থেকে দেখতে সাদা বকের মতো মনে হলেও লম্বা সরু দুটি পা নিয়ে ওড়াউড়ি করা পাখিটির নাম শামুকখোল। খেত থেকে অদ্ভুত গঠনের লম্বা দুটি ঠোঁট দিয়ে শামুক খুঁজে বেড়ায় এরা।
দীর্ঘ এক যুগ ধরে এই পাখির দেখা মিলছে রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামে। স্থানীয় আনসার আলী নামের এক ব্যক্তির বাঁশঝাড়ে আবাস গড়েছে শামুকখোলের দল। গ্রামের লোকজন ভালোবাসায় আগলে রেখেছে পাখিগুলো। দেবীপুর গ্রামে শামুকখোল পাখি ধরা ও মারা নিষিদ্ধ। পাখির কলকাকলিতেই ঘুম ভাঙে এই গ্রামের মানুষের। খুব সকালে দল বেঁধে খাবারের সন্ধানে মাঠে মাঠে বেরিয়ে যায় পাখিগুলো।
গ্রামের লোকজন জানান, এখন বোরো মৌসুম। বেশির ভাগ সময়ই ধানখেতে চরে শামুকখোল। সারা দিন ঘুরেফিরে, খেয়েদেয়ে সন্ধ্যার আগেই পাখিগুলো ফিরে আসে—আশ্রয় নেয় গ্রামের বাঁশঝাড়, শিমুল ও কড়ইগাছের ডালে। গ্রামের লোকজনও পরম মমতায় নিরাপদ আশ্রয় করে দিয়েছে এদের।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষজন পাখিগুলো দেখলেই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে থাকে। গ্রামে নেই কোনো পাখি শিকারি, নেই স্থানীয়দের শ্যেন দৃষ্টি। অনুকূল পরিবেশ পেয়ে প্রতিবছর বারবারই ফিরে আসে পাখির দল, থাকে একটানা প্রায় ছয় থেকে আট মাস।
দেবীপুর গ্রামের কামারুজ্জামান আলেক বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে ধানখেতে গেলেই দেখা মেলে শামুকখোল পাখির। দেখতেও ভালো লাগে। প্রথমে দেখতে বকের মতো মনে হলেও পরে আমরা খেয়াল করি পাখিগুলো বকের চেয়ে একটু বড়। আর পাখিগুলো কালো আর ধূসর রঙের।’
আলেক বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে এই গ্রামে পাখিগুলো দেখতে পাই। তবে আগের চেয়ে এ পাখির সংখ্যা এখন একটু কম দেখা যায়। আমরা গ্রামবাসী মিলে এই শিকারিদের বাধা দিই। এর ফলে পাখিগুলো নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে এখানে বসবাস করছে।’
একই গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এই পাখিগুলো ধানখেতে থাকা শামুক আর পোকা খেয়ে থাকে। এর ফলে আমাদের খেতেরও উপকার হয়। এ ছাড়া পাখির বর্জ্যে সারের মতো কাজ করে। তাই কৃষকেরা জমিতে পড়লে এ পাখি তাড়ায় না। কারণ ধানখেত পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাচ্ছে আর পাখির বর্জ্যে সারও হচ্ছে।’
উপজেলার দাওকান্দি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আয়নাল হক বলেন, ‘শামুকখোল পাখি দলবদ্ধ এবং খাবারের প্রাচুর্য থাকলে অল্প জায়গায় গাদাগাদি করে থাকতে পছন্দ করে। এই পাখির ঠোঁট অনেকটাই জাঁতাকলের মতো কাজ করায় শক্ত শামুকগুলো তারা অনায়াসে গিলে ফেলতে পারে। ফসলের জন্য পাখিটি উপকারী।’
আজ রোববার ভোর ৬টায় ও ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১২ মিনিট আগেরাত ১০টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে কপালে টিপ পরে, ঘোমটা দিয়ে হলে প্রবেশ করে ওই যুবক। এ সময় পোশাক ও হাঁটা দেখে আশপাশের শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা হল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপারসহ ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে যান...
২ ঘণ্টা আগেবরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
২ ঘণ্টা আগেডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৯ ঘণ্টা আগে