রাজশাহীতে ছাত্রদলের ৩ নেতাকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ২২: ৪১
Thumbnail image

শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজশাহীতে তিন ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন–জেলার বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন, রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব ও হাসিবুল ইসলাম হাসিব। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে সাংগঠনিক পদ ও অপরজনকে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১০১ জন নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন শাখা ছাত্রদলের এই যুগ্ম আহ্বায়ক। 

মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ২২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সম্প্রতি এই মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে বাদী মোহাম্মদ আহসান হাবিব ও ছাত্রদল নেতা হাসিবুল ইসলাম হাসিবের কথোপকথনের দুটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ 

অপর দিকে বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন বলেন, ‘যত দূর শুনেছি কিছুদিন আগে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন দলবলসহ পোড়াকয়া গ্রামের একটি পুকুর জবরদখল করে মাছ লুট করেন। লুট করা মাছ মোহনগঞ্জ বাজারে বিক্রির সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন। 

পরে পুকুরের মালিক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বাগমারা থানায়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এর ফলে তাকে দলের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’ 

এই বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা মহব্বত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দুই নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত