ছোট ভাইকে বেঁধে রেখে সাঁওতাল কিশোরীকে ধর্ষণ

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫: ৩৩
Thumbnail image

রাজশাহীর তানোরে কাশফুলের গাছ কাটতে গিয়ে এক কিশোরী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীর ছোট ভাইকে বেঁধে রেখে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এদিকে মামলার দুদিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। 

পুলিশ বলছে, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। 

গত শনিবার দুপুরে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের শালবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে তানোর থানায় মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন—উপজেলার কলমা ইউনিয়নের শালবাড়ি এলাকার আলেক চানের ছেলে জনি (২২) ও আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২০)। 

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার স্কুল ছুটি থাকায় উপজেলার কলমা ইউনিয়নের জনৈক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (সাঁওতাল) ব্যক্তির পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে ও তাঁর ১০ বছরের ছেলে একসঙ্গে বাড়ির অদূরে মাঠে উলুবন (কাশ) কাটতে যায়। ওই সময়ে পাশের জমিতে কাজ করতে থাকা জনি ও মোহাম্মদ আলী তাদের দেখতে পায়। পরে ভুক্তভোগীর ছোট ভাইকে জোর করে নিয়ে মাঠের এক কোণে বেঁধে রাখে মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে জনি ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে পরিবার। 

এ বিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে এ ঘটনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত