Ajker Patrika

অস্ত্রের মুখে জিম্মি, হাত-পা বেঁধে বাড়িতে ডাকাতি

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
পাবনায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ জিনিসপত্র নিয়ে যায় ডাকাতেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ জিনিসপত্র নিয়ে যায় ডাকাতেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার ঈশ্বরদীতে ব্যবসায়ী ও কৃষিজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ঢুলটি গ্রামে মিজানুর রহমান ও তাঁর ভাই রুবেল হোসেনের যৌথ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মুলাডুলি ইউনিয়ন বিট পুলিশিংয়ের এসআই সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই বাড়িতে মিজানুর রহমান ও তাঁর ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে বসবাস করেন। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই, কিন্তু কাউকে পাইনি।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাইভেট কারের তেলের প্রয়োজনে শুক্রবার ভোরে মিজানুর রহমান প্রাইভেট কার নিয়ে বের হন। এর পরপরই ডাকাতেরা ওই বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে। এ সময় নারী-পুরুষসহ বেশ কয়েকজনের হাত-পা বেঁধে আলমারি থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ দামি জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।

মিজানুর রহমানের ছোট ভাই রুবেল হোসেন জানান, বড় ভাই ভোর ৪টার খানিকটা আগে ফিলিং স্টেশন থেকে প্রাইভেট কারের জন্য তেল আনতে বাড়ির বাইরে যাওয়ায় পরপরই ডাকাত দল বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় ডাকাত দলের কাছে থাকা পিস্তল ও রামদা উঁচিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সবার হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে। পরে তারা ঘরের আলমারি থেকে নগদ আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ৬টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির ভেতরে চার-পাঁচজন ছিল। চলে যাওয়ার পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়।

পাবনায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ জিনিসপত্র নিয়ে যায় ডাকাতেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ জিনিসপত্র নিয়ে যায় ডাকাতেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদীর আশপাশের এলাকাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার এবং গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। ডাকাতির সময় ওই বাড়িতে ২০ জন মানুষ ছিলেন। এর মধ্যে নারী-শিশু ১৫ জন, বাকি সবাই পুরুষ ছিলেন। ডাকাত দলের চার সদস্য বাড়ির ভেতরে ঢুকেছিল। আমরা সব বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি শিগগিরই ডাকাতদের ধরা সম্ভব হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত