ভাতিজার দায়ের কোপে আহত চাচির মৃত্যু, নতুন করে মামলা না নেওয়া অভিযোগ

লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম প্রতিনিধি
Thumbnail image

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভাতিজার দায়ের কোপে আহত চাচির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাতিজা রিপনের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা পুলিশ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

আজ সোমবার উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে আর্জিনা বেগমের (৫০) মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের গোলাপ উদ্দিনের স্ত্রী। গ্রেপ্তার ভাতিজা রিপন আলী (৩২) একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে গত ১৬ জুন বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে ভাতিজা রিপনের দেশি অস্ত্রে হামলায় গুরুতর আহত হন আর্জিনা বেগম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৬ জুন বিকেলে প্রতিবেশী চাচি আর্জিনাকে নিজ বাড়ির সামনে একা পেয়ে দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন রিপন আলী। পরে স্থানীয়রা আহত আর্জিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ছেলেকে বাঁচাতে নিজে বাদী হয়ে পরদিন ১৭ জুন ছেলে রিপন আলীর বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করেন রফিকুল ইসলাম। এ মামলায় পুলিশ রিপনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।

আর্জিনা বেগম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা শেষে গত তিন দিন আগে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফেরেন। সোমবার সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান আর্জিনা বেগম।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি কুচক্রী মহল। নতুন মামলা না দিতে চাপ দিচ্ছে।

এ কারণে নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম বোনকে হত্যার দায়ে হাতীবান্ধা থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।

নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বোনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অথচ হত্যাকারীকে বাঁচাতে তার বাবা কৌশলে মামলা দিয়ে ছেলেকে হাজতে পাঠিয়েছেন। যা পরবর্তীতে নিজেরা আপস করে নিয়ে মামলার আলামত নষ্ট করবে বলে কৌশল করছে। আমরা মামলা দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করছে না। পুলিশের দাবি, একই ঘটনায় যেহেতু আগে মামলা হয়েছে তাই পুনরায় করা যাবে না। হত্যাকারীকে বাঁচাতে মরিয়া চক্রটি পুলিশকে ম্যানেজ করেছে। আমি আমার বোনের হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, চাচির ওপর হামলার ঘটনায় ভাতিজা রিপন আলীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে আর্জিনার মৃত্যুর খবরে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ দিলে নতুন করে মামলা নেওয়া হবে। না দিলে আগের অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবেই নথিভুক্ত করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত