সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা খেতের পাট পচানো বা জাগ দেওয়ার মতো পানি পাচ্ছেন না আশপাশে। এতে পাটের ভালো ফলন হওয়ার পরও বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ফলে কোনো কোনো কৃষকের পাটগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে জমিতেই। আবার অনেকে জমি থেকে দূরে পাট জাগ দিতে নেওয়ায় বাড়ছে খরচ।
হরিপুর উপজেলার আমগাঁও গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল ৩৩ শতক জমিতে পাটের আবাদ করে এখন লোকসানের আশঙ্কা করছেন। কারণ পাটখেতের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে জাগ দেওয়ার পানি পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে মহিষের গাড়ি ভাড়া করে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে নাগর নদীতে পাট পচানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। এতে তাঁর প্রতি বিঘায় অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা।
আবদুল জলিল বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে এবার খালে বা বিলে পানি নেই। এদিকে পাট কাটার সময় হয়ে গেছে, কিন্তু জাগ দেওয়ার পানি না থাকায় পাট কাটতে পারছিলাম না। শেষে উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে ৪ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে মহিষের গাড়ি ভাড়া নিয়ে নদীতে পাট জাগ দিচ্ছি।
আবদুল জলিলের মতো এবার পাট পচানো নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলার হাজারও পাটচাষি। পানির অভাবে জমি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গরু বা মহিষের গাড়িতে করে পানিসমৃদ্ধ এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন পাট জাগ দিতে। এতে পাটের উৎপাদন খরচের সঙ্গে অতিরিক্ত যোগ হয়েছে পরিবহন খরচ, পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরি খরচও বেড়ে যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগিয়া গ্রামের কৃষক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের মতো অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন ও মোটর দিয়ে ডোবা-নালায় পানি তুলে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।’
একই এলাকার কৃষক হরপা রায় জানান, পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারার কারণে দুই বিঘা জমির পাট বৃষ্টির জন্য জমিতেই রেখে দিয়েছেন।
সালন্দর এলাকার কৃষক নুরুন নবী বলেন, এবার পাটের ভালো ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছি না। এতে পাট নিয়ে চরম বিপদে পড়েছি।
গৌরিপুর এলাকার কৃষক আমির হোসেন বলেন, এবার ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১২ মণ ও ফলন খারাপ হলে প্রকারভেদে ৫ থেকে ৭ মণ করে পাট উৎপাদন হবে। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ পাট ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাটকাঠি থেকেও বাড়তি টাকা উঠে আসবে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হিসাবমতে এবার প্রায় ৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। জেলায় এবার পাট ভালো হয়েছে। তবে সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষক বিপাকে পড়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা খেতের পাট পচানো বা জাগ দেওয়ার মতো পানি পাচ্ছেন না আশপাশে। এতে পাটের ভালো ফলন হওয়ার পরও বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ফলে কোনো কোনো কৃষকের পাটগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে জমিতেই। আবার অনেকে জমি থেকে দূরে পাট জাগ দিতে নেওয়ায় বাড়ছে খরচ।
হরিপুর উপজেলার আমগাঁও গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল ৩৩ শতক জমিতে পাটের আবাদ করে এখন লোকসানের আশঙ্কা করছেন। কারণ পাটখেতের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে জাগ দেওয়ার পানি পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে মহিষের গাড়ি ভাড়া করে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে নাগর নদীতে পাট পচানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। এতে তাঁর প্রতি বিঘায় অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা।
আবদুল জলিল বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে এবার খালে বা বিলে পানি নেই। এদিকে পাট কাটার সময় হয়ে গেছে, কিন্তু জাগ দেওয়ার পানি না থাকায় পাট কাটতে পারছিলাম না। শেষে উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে ৪ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে মহিষের গাড়ি ভাড়া নিয়ে নদীতে পাট জাগ দিচ্ছি।
আবদুল জলিলের মতো এবার পাট পচানো নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলার হাজারও পাটচাষি। পানির অভাবে জমি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গরু বা মহিষের গাড়িতে করে পানিসমৃদ্ধ এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন পাট জাগ দিতে। এতে পাটের উৎপাদন খরচের সঙ্গে অতিরিক্ত যোগ হয়েছে পরিবহন খরচ, পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরি খরচও বেড়ে যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগিয়া গ্রামের কৃষক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের মতো অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন ও মোটর দিয়ে ডোবা-নালায় পানি তুলে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।’
একই এলাকার কৃষক হরপা রায় জানান, পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারার কারণে দুই বিঘা জমির পাট বৃষ্টির জন্য জমিতেই রেখে দিয়েছেন।
সালন্দর এলাকার কৃষক নুরুন নবী বলেন, এবার পাটের ভালো ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছি না। এতে পাট নিয়ে চরম বিপদে পড়েছি।
গৌরিপুর এলাকার কৃষক আমির হোসেন বলেন, এবার ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১২ মণ ও ফলন খারাপ হলে প্রকারভেদে ৫ থেকে ৭ মণ করে পাট উৎপাদন হবে। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ পাট ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাটকাঠি থেকেও বাড়তি টাকা উঠে আসবে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হিসাবমতে এবার প্রায় ৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। জেলায় এবার পাট ভালো হয়েছে। তবে সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষক বিপাকে পড়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে আবাসিক ভাতা প্রদানের বিষয়ে পরবর্তী বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিস্তারিত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করার নিমিত্তে একটি কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। আগামী বাজেটে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে কমিটি সার্বিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। আজ রোববার উপাচার্যের
৫ মিনিট আগেছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুরে জামায়াত নেতার আলমসাধু ভর্তি মাছ লুট করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যের ঘেরের মাছ মনে করে লুট করা হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের চন্দনাইশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে কক্সবাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলকারীরা জসীমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখল ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে তাঁর বিচার দাবি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে