জাল সনদে ৯ বছর শিক্ষকতা করা সেই নারীর বেতন-ভাতা বন্ধ 

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ২২
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ৩৫

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় জাল সনদে চাকরি নেওয়া শিক্ষক মোছা. আঞ্জুমান আরার বেতন-ভাতা বন্ধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তিনি উপজেলার থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. তৈয়ব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আঞ্জুমান আরা ২০১৫ সালে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স সনদ দিয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি নেন। ৯ বছর ধরে বেতন-ভাতাও উত্তোলন করে আসছেন। 

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্তে জানা যায়, তিনি যে সনদটি দিয়েছেন—সেটি প্রকৃতপক্ষে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আহাম্মদ আলীর মেয়ে মোছা. আঞ্জুমান আরার। শুধু নামের মিল থাকায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ওই সনদপত্রটি দিয়ে চাকরি নেন আঞ্জুমান আরা। একই ইউনিয়নের শামসপাড়া এলাকার ফারদিন হাসান ফাহিম নামে এক অভিযোগকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি কর্তৃক তদন্তে সনদপত্র জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। 

এরপর তাঁর বেতন-ভাতাদি বন্ধের সুপারিশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহম্মেদ স্বাক্ষরিত পত্রটি গত ১৩ মার্চ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। 

এ বিষয়ে থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শাহজাহান মিয়া বলেন, ওই শিক্ষকের এমপিও শিটে তাঁর নামের পাশে বেতন-ভাতাদি স্থগিত করা হয়েছে উল্লেখ করে ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত