শিপুল ইসলাম, রংপুর
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চবিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পরিবারের সদস্যই ৭ জন।
অভিযোগ উঠেছে, আধিপত্য বিস্তারের জন্য গোপনে প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান নিয়মনীতি না মেনে তাঁর স্ত্রী, ভাই, ভাতিজা এবং ভাতিজার বউকে চাকরি পাইয়ে দেন। এরপর যৌথভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। রংপুর শহরে বিলাসবহুল বাড়ি, গ্রামে কোটি টাকার জমি কিনেছেন আলিয়ার রহমান।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের বড়গোলা এলাকায় ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান আলিয়ার রহমান। এরপর তাঁর বড় ভাই মফিজাল রহমানকে কৌশলে ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করেন।
স্থানীয় ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান ও সভাপতি মফিজাল মিলে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গোপনে ভাই, ভাতিজা, ভাতিজার বউকে নিয়োগ পাইয়ে দেন। ২০০০ সালে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী আলেয়া বেগম সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৪ সালে ভাতিজা আজম আলী, ২০১৬ সালে ভাতিজার স্ত্রী মোরশেদা বেগমকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালে আরেক ভাতিজা আজমির সরকারকে পিয়ন ও ভাতিজার স্ত্রীকে মালি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে আরেক ভাতিজাকে ঝাড়ুদার পদে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য গোলাম রসূল অভিযোগ করেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ১১ শতক জমি দিয়েছি। প্রতিষ্ঠার সময় আমরা যারা কমিটিতে ছিলাম, তাদের কাউকেই বর্তমান কমিটিতে রাখেননি প্রধান শিক্ষক আলিয়ার। কমিটিতে তাঁর বড় ভাই মফিজালকে সভাপতি করা হয়। এরপর গোপনে বাইরের আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষক তাঁর ৭ স্বজনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন। স্কুলে এখন লেখাপড়ার থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি বেশি চলছে।’
ঘনিরামপুর এলাকার বাসিন্দা লেবু মিয়া বলেন, ‘স্কুলটি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যাঁদের ভূমিকা রয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগকে কমিটিতে রাখেনি। কৌশলে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলেছেন প্রধান শিক্ষক আলিয়ার। এ কারণে এখানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁর অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শিক্ষক, অভিভাবক, সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী তাঁর (আলিয়ার) পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী হওয়ার সুবাদে সহকারী প্রধান শিক্ষক সপ্তাহে এক-দুই দিন বিদ্যালয়ে আসেন। কিছু বললে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেন। নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। প্রতিবাদ করলে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। প্রধান শিক্ষক কথায় কথায় চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন।’
আরেক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা কখনোই জানতে পারিনি কখন, কবে, কোথায় বিজ্ঞাপন হয়েছে, পরীক্ষা হয়েছে। যোগদানের পর জানতে পারি, কেউ একজন আমাদের বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছে।’
অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম করছেন। কেউ কিছু বললে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। বিভিন্ন খাতের কথা বলে রসিদ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। এভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গত কয়েক বছরে টাকা আদায় করে অঢেল সম্পদ অর্জন করেছেন। রংপুর শহরে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল বাড়ি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান বলেন, ‘নিজের জমি-জায়গা দিয়ে অনেক কষ্টে এই বিদ্যালয় আমার ভাইসহ প্রতিষ্ঠা করেছি। নিয়ম অনুযায়ী আমার ভাই মফিজাল রহমান সভাপতি হয়েছেন। বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একটি মহল প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, ‘নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অন্যান্য অভিযোগ পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি জবাব দিয়েছেন।’ আজ রোববার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চবিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পরিবারের সদস্যই ৭ জন।
অভিযোগ উঠেছে, আধিপত্য বিস্তারের জন্য গোপনে প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান নিয়মনীতি না মেনে তাঁর স্ত্রী, ভাই, ভাতিজা এবং ভাতিজার বউকে চাকরি পাইয়ে দেন। এরপর যৌথভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। রংপুর শহরে বিলাসবহুল বাড়ি, গ্রামে কোটি টাকার জমি কিনেছেন আলিয়ার রহমান।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের বড়গোলা এলাকায় ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান আলিয়ার রহমান। এরপর তাঁর বড় ভাই মফিজাল রহমানকে কৌশলে ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করেন।
স্থানীয় ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান ও সভাপতি মফিজাল মিলে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গোপনে ভাই, ভাতিজা, ভাতিজার বউকে নিয়োগ পাইয়ে দেন। ২০০০ সালে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী আলেয়া বেগম সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৪ সালে ভাতিজা আজম আলী, ২০১৬ সালে ভাতিজার স্ত্রী মোরশেদা বেগমকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালে আরেক ভাতিজা আজমির সরকারকে পিয়ন ও ভাতিজার স্ত্রীকে মালি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে আরেক ভাতিজাকে ঝাড়ুদার পদে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য গোলাম রসূল অভিযোগ করেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ১১ শতক জমি দিয়েছি। প্রতিষ্ঠার সময় আমরা যারা কমিটিতে ছিলাম, তাদের কাউকেই বর্তমান কমিটিতে রাখেননি প্রধান শিক্ষক আলিয়ার। কমিটিতে তাঁর বড় ভাই মফিজালকে সভাপতি করা হয়। এরপর গোপনে বাইরের আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষক তাঁর ৭ স্বজনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন। স্কুলে এখন লেখাপড়ার থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি বেশি চলছে।’
ঘনিরামপুর এলাকার বাসিন্দা লেবু মিয়া বলেন, ‘স্কুলটি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যাঁদের ভূমিকা রয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগকে কমিটিতে রাখেনি। কৌশলে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলেছেন প্রধান শিক্ষক আলিয়ার। এ কারণে এখানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁর অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শিক্ষক, অভিভাবক, সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী তাঁর (আলিয়ার) পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী হওয়ার সুবাদে সহকারী প্রধান শিক্ষক সপ্তাহে এক-দুই দিন বিদ্যালয়ে আসেন। কিছু বললে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেন। নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। প্রতিবাদ করলে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। প্রধান শিক্ষক কথায় কথায় চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন।’
আরেক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা কখনোই জানতে পারিনি কখন, কবে, কোথায় বিজ্ঞাপন হয়েছে, পরীক্ষা হয়েছে। যোগদানের পর জানতে পারি, কেউ একজন আমাদের বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছে।’
অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম করছেন। কেউ কিছু বললে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। বিভিন্ন খাতের কথা বলে রসিদ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। এভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গত কয়েক বছরে টাকা আদায় করে অঢেল সম্পদ অর্জন করেছেন। রংপুর শহরে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল বাড়ি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান বলেন, ‘নিজের জমি-জায়গা দিয়ে অনেক কষ্টে এই বিদ্যালয় আমার ভাইসহ প্রতিষ্ঠা করেছি। নিয়ম অনুযায়ী আমার ভাই মফিজাল রহমান সভাপতি হয়েছেন। বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একটি মহল প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, ‘নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অন্যান্য অভিযোগ পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি জবাব দিয়েছেন।’ আজ রোববার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
২ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
৩ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে