Ajker Patrika

ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক পারাপার নিয়ে বিপাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি 
ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক পারাপার নিয়ে বিপাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নতির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এখন চলছে সড়ক বিভাজক বসানো। কিন্তু মিঠাপুকুর উপজেলায় সড়ক পারাপারের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন দুই পাশে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা। অনেক পথ ঘুরে তাঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। 

মহাসড়ক পারাপারের জন্য মিঠাপুকুরের তিন জায়গায় আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলা সদর ও জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে নির্মাণ শেষ হয়েছে এবং শঠিবাড়ি হাটে কাজ চলছে। সড়ক পার হতে গেলে এসব আন্ডারপাস দিয়েই যেতে হবে। 

তবে স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সড়ক পারাপারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। মিঠাপুকুর উপজেলার ২৫ কিলোমিটার মহাসড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বর্তমানে সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 

উপজেলার হেনা মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খাজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, যে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে তা এখান থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। এর আগে তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলেজের সামনে সড়ক বিভাজক খোলা রাখার অনুরোধ করেছিলেন। নির্মাণকাজ চলাকালে তা রাখা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

মহাসড়কের পাশে দুলহাপুর গ্রামের আল ফারুক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান থেকে আন্ডারপাসের দূরত্ব ১ কিলোমিটারের বেশি। নির্মাণকাজের সময় প্রতিষ্ঠানের সামনে মহাসড়ক পারাপারের জন্য বিভাজক খোলা রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নাহিদ হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, অনুমোদিত নকশার বাইরে তাঁদের করার কিছু নেই। তা ছাড়া সড়ক বিভাজকের মধ্যে খোলা রাখা হলে মহাসড়ক পারাপারের সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। 

 ২০১৬ সালে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করা হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত